আফ্রিকীয় সাহিত্যের মধ্যে মালির সাহিত্য ব্যাপক ও সুপরিচিত স্থানের অধিকারী।

মালির নব সাহিত্য সম্পাদনা

সোংহাই রাজত্বের সময়, মহান আশকিয়া মালির সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[১] ষোড়শ শতকের মরক্কী অনুসন্ধানকারী লিও আফ্রিকানাস, এর লেখা অনুযায়ী

তিমবুক্তুতে অনেক বিচারক, চিকিৎসক এবং খ্রিষ্টীয় যাজক ছিল, সকলেই রাজার কাছ থেকে ভালো পারিশ্রমিক পেত। তিনি শিক্ষিত ব্যক্তিদের অনেক সম্মান করতেন। সেখানে বারবারি (উত্তর আফ্রিকা) থেকে আনা পাণ্ডুলিপির অনেক চাহিদা ছিল। অন্য যেকোনো ব্যবসা থেকে বই আমদানী অনেক লাভজনক ছিল। [২]

আধুনিক মালির সাহিত্য সম্পাদনা

মালির সাহিত্য সংগীতের চেয়ে কম বিখ্যাত হলেও,[১] মালি আফ্রিকার অন্যতম সাহিত্যের কেন্দ্র।[২] মালির সাহিত্য সাধারণত মৌখিক যেমন: আবৃত্তি ও গানের মাধ্যমে ইতিহাস বলা অথবা সৃতিচারণ করা।[২][৩] আমদোউ হামপাতি বা, মালির অন্যতম ইতিহাসবিদ, তিনি তার জীবনের বৃহৎ অংশ কাটিয়েছেন বারবারা ও মানদে এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের এই ধরনের কথ্য সাহিত্য যোগাড়ের মাধ্যমে।[৩]

মালীয় সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাস হলো ইয়ামবু ওউওলোগাম এর লি ডেভোইর ডি ভায়োল্যান্স, যেটি ১৯৬৮সালে প্রিক্স রিনেউডট জিতেছিল কিন্তু রচনা চুরি করার অপরাধে এর স্বতাধীকারি বাতিল করা হয়। এই উপন্যাসটি দাসত্ব, অবিচার ও দুর্ভোগের দিকে মনোনিবেশ করে বাঁশবারা সাম্রাজ্যের অন্ধকার ইতিহাস নিয়ে লেখা।

মাসা মাকান ডিয়াবেট, গ্রিওট-এর একজন বংশধর, বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লেখা উপন্যাস সুনডিয়াটা কিইতার মহাকাব্য এবং "কোউতা ট্রাইলগি" এর কারণে ফ্রাংকোফোন জগতে অধিক বিখ্যাত। "গ্রিওট" হচ্ছেন একজন ঐতিহ্যগত গল্পকথক। অন্যান্য বিখ্যাত মালীয় লেখক হচ্ছেন মোবিডো সোউনকালো কেয়িতা মেরিস কনডে , যিনি বামবারা অধিবাসীদের নিয়ে লিখছেন। মোউসা কোনেতি, এবং ফিলি ডাবো সিসোকো[২][৩]

ওউসমানে সেমবেনে, একজন ওলুফ সেনেগালীয় ঔপন্যাসিক, তার উপন্যাস গডস বাইট অব ইড-এর অর্ধেক আবর্তিত হয় বামাকোতে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Velton, p29.
  2. Milet & Manaud, p128.
  3. Velton, p28.

টেমপ্লেট:মালি প্রসঙ্গ টেমপ্লেট:আফ্রিকীয় প্রসঙ্গ