মালতী কৃষ্ণামূর্তি হোল্লা

ভারতীয় অ্যাথলেট

মালতী কৃষ্ণামূর্তি হোল্লা হলেন ভারতের একজন আন্তর্জাতিক প্যারা অ্যাথলেট। তিনি তাঁর কৃতিত্বের জন্য অর্জুন পুরস্কার এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

মালতী কৃষ্ণামূর্তি হোল্লা
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1958-07-06) ৬ জুলাই ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)
কোটা, কর্ণাটক, ভারত
ক্রীড়া
ক্রীড়াপ্যারালিম্পিক রেসিং

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

তিনি ১৯৫৮ সালের ৬ই জুলাই ভারতের কর্ণাটকের কোটাতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কৃষ্ণমূর্তি হোল্লা একটি ছোট হোটেল চালাতেন, আর তাঁর মা পদ্মাবতী হোল্লা তাঁদের চার সন্তানের দেখাশোনা করতেন। মালতী এক বছর বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বৈদ্যুতিক শক চিকিৎসা, তাঁর শরীরের ওপরের অংশকে শক্তিশালী করে তুলেছে।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

মালতী ৩৮৯ টিরও বেশি স্বর্ণপদক, ২৭টি রৌপ্য পদক এবং ৫টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে মর্যাদাপূর্ণ অর্জুন এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।[২] তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, বার্সেলোনা, এথেন্স এবং বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত প্যারালিম্পিকে; বেইজিং, ব্যাংকক, দক্ষিণ কোরিয়া ও কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে; ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মাস্টার্সে, অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ গেমস এবং বেলজিয়াম, কুয়ালা লামপুর ও ইংল্যান্ডে ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

সামাজিক কাজ সম্পাদনা

মালতীর এখনও পর্যন্ত ৩৪টি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কে একজন ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করেন এবং মাতৃ ফাউন্ডেশনে ১৬জন প্রতিবন্ধী শিশুকে আশ্রয় দিয়েছেন - এই ফাউন্ডেশনটি একটি দাতব্য ট্রাস্ট, যা তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে মিলে তৈরি করেছেন।[৩] প্রধানত গ্রামীণ এলাকার পোলিও আক্রান্তরা, যাদের বাবা-মা নিজেদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে বা চিকিৎসা করাতে পারেন না, তিনি তাদের দিকেই মূলত মনোনিবেশ করেন।[১][৪]

জীবনী সম্পাদনা

২০০৯ সালের ৮ জুলাই, তিনি তাঁর অনুমোদিত প্রথম জীবনীগ্রন্থ, এ ডিফারেন্ট স্পিরিট প্রকাশ করেন।[৫]

“যখন আমি ছোট ছিলাম, আমি আমার বন্ধুদের, যারা পড়ে যাওয়া আম তুলতে বাড়ির উঠোনে ছুটে যেত, তাদের মধ্যে প্রথম হতে চেয়েছিলাম। আমি পাখির মতো নির্ভয়ে উড়ে যেতে চেয়েছিলাম এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে দৌড়ানোর জন্য আপনার পা দরকার এবং উড়তে ডানা দরকার। আমি কষ্ট পেয়েছিলাম, কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমি জানতাম, একদিন, আমি দৌড়াবো...” এই বইটিতে মালতী বলেছেন।

“এইভাবে আমি খেলাধুলাকে সঙ্গে নিয়েছি এবং জীবনে ভিন্ন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হ্যাঁ, আমরা আলাদা এবং তাই আমাদের জীবনও সেই পার্থক্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হওয়া উচিত,” তিনি যোগ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Excerpt about Malathi Holla from India At The Olympic Games"Women's Web: For Women Who Do (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২১ 
  2. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  3. "Sri Vanamali Seva Award and Dr. Mathoor Krishnamurthy Award presented - Star of Mysore"Star of Mysore (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২১ 
  4. "Excerpt about Malathi Holla from India At The Olympic Games". Women's Web: For Women Who Do. Retrieved 21 August 2018.
  5. "TBI BLOGS: International Para-Athlete Malathi Holla is a Champion for the Differently-Abled in India"The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২১