মারিয়া ভিটেক
মারিয়া ভিটেক (যুদ্ধকালীন কোডনাম:- মীরা, পানি মারিয়া, জন্ম ১৬ আগস্ট ১৮৯৯ সালে, পোলান্ডের গোস্তানিনের নিকট ট্রেবকিতে। মারা যান ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৭ সালে , পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে)। মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে তিনি পোলিশ সেনাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের পরে তিনিই ছিলেন ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রথম পোলিশ মহিলা।
মারিয়া ভিটেক | |
---|---|
জন্ম | ১৬ আগস্ট ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ ট্রেবকি, Mazowsze, রুশ সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ১৯ এপ্রিল ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ |
পেশা | সেনা অধিনায়ক |
প্রারম্ভিক চাকরি
সম্পাদনামারিয়া ভিটেক পোলান্ডের রুশ অংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় একজন ছুতোর মিস্ত্রি ছিলেন।যিনি পোলিশ সমাজতান্ত্রিক দলের (পিপিএস) সদস্য ছিলেন। রুশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেফতারী এড়াতে ১৯১৫ সালে তিনি তাঁর পরিবারকে সাথে নিয়ে ইউক্রেনে চলে এসেছিলেন। মারিয়া স্কুলে পড়ার সময় কিয়েভে পোলিশ স্কাউট ট্রুপে যোগ দিয়েছিল। তিনিই ছিলেন কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম মহিলা ছাত্রী । পাশাপাশি তিনি ১৯১৫ সালে পোলাস্কা অর্গানিজাজা ওয়াজস্কোয়ায় (পোলিশ সামরিক সংস্থা) যোগ দিয়েছিলেন । এবং তিনি এনসিও প্রশিক্ষণ কোর্সটি সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯১৯ সালে তিনি ইউক্রেনের বলশেভিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা পোলিশ সেনা দলে যোগ দেন। তারপরে ১৯২০ সালে মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সদস্য হিসাবে তিনি লুইউ (বর্তমানে লভিভ) এর হয়ে যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ পোলিশ পদক ভার্চুতি মিলিতারি পেয়েছিলেন।[১]
যুদ্ধ চলাকালীন
সম্পাদনা১৯২৮ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রিজপসোসবিয়েনী ওয়াজস্কো কোবিয়টের সেনাপতি ছিলেন। এটি একটি সংগঠন যা মহিলাদের সামরিক চাকরীর প্রশিক্ষণ দেয়। ১৯৩৫ সালে তিনি ওয়ারশ এর কাছে বেইলিনি তে শারীরিক শিক্ষা ও সামরিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারীদের বিভাগের প্রধান পদে নিযুক্ত হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
সম্পাদনাপোল্যান্ড আক্রমণ করার সময় ১৯৩৯ সালে তিনি মহিলা সামরিক সহায়তা ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। ১৯৩৯ সালের অক্টোবরে তিনি ভূগর্ভস্থ জেডডব্লিউজেডে যোগ দেন যা পরে হোম আর্মিতে পরিনত হয়। তিনি জেনারেল গ্রট-রোয়েকি এবং পরে জেনারেল বোর-কোমরোভস্কি স্টাফদের মহিলা আর্মি সার্ভিসের প্রধান ছিলেন। তিনি ওয়ারশ বিদ্রোহে লড়াই করেছিলেন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এ যুদ্ধে আত্মসমর্পণের পর পরে তিনি জার্মানদের দ্বারা বন্দী হওয়া এড়াতে এবং ওয়ারশ এর ধ্বংসাবশেষ অসামরিক লোকদের ফেলে পালিয়ে যান। তিনি ১৯৪৪ সালের জানুয়ারিতে হোম আর্মির বিলুপ্ত হওয়া অবধি তার পদে অব্যাহত ছিলেন।
যুদ্ধের পর
সম্পাদনাপোল্যান্ডের কমিউনিস্ট সরকার শারীরিক শিক্ষা ও সামরিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পুনরায় চালু করলে তিনি প্রাথমিকভাবে মহিলা বিভাগের প্রধান হিসাবে তার আগের অবস্থানে ফিরে এসেছিলেন। তবে ১৯৪৯ সালে তিনি কমিউনিস্ট সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং তিনি বেশ কয়েক মাস কারাগারে কাটিয়েছিলেন। মুক্তির পরে তিনি কিয়স্কে একটি খবরের কাগজে কাজ করেতেন। পরে তিনি "কমিশন ফর দ্য হিস্ট্রি অফ ওম্যান" প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। পোল্যান্ডে কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পরে, রাষ্ট্রপতি লেচ ওয়াশা তাঁকে ২রা মে ১৯৯৩ সালে তার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ নিযুক্ত করেন। এভাবে তিনি জেনারেল পদমর্যাদা অর্জনকারী প্রথম পোলিশ মহিলা হন। তিনি আজীবন অবিবাহিত হিসেবেই কাটিয়ে ছিলেন ।
১৯ এপ্রিল ২০০৭ তাঁর মৃত্যুর দশম বার্ষিকীতে, তাঁর একটি ব্রোঞ্জের স্মৃতিসৌধ ওয়ারশের পোলিশ আর্মি যাদুঘরে উন্মোচন করা হয়েছিল।
পুরস্কার
সম্পাদনা- ভার্চুতি মিলিটারির সিলভার ক্রস, - দুবার পেয়েছিলেন
- তলোয়ার দিয়ে স্বাধীনতার ক্রস, (Krzyż Niepodległości)
- বীরত্বের ক্রস ( ক্রিজি ওয়েলেকনিচ )
- বিদ্রোহের ওয়ারসো ক্রস
আরো দেখুন
সম্পাদনা- হালস্কা ওয়াসিলিউস্কা (সৈনিক)
- ওয়ান্ডা হার্টজ
উৎস
সম্পাদনা- ↑ Newsletter of the Polish Ministry of Defence (in Polish) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে