মায়োডিয়া গিরিপথ
মায়োডিয়া গিরিপথ[১] হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশের একটি উল্লেখযোগ্য গিরিপথ এবং ভারত-চীন সীমান্তের প্রবেশদ্বার[২]। এই পথটি অরুণাচল প্রদেশের রয়িঙ থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার কাছে।[১] এই পথটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৬৫৫ মিটার (৮,৭১১) উচ্চতায় অবস্থিত।[১] শীতকালে হওয়া প্রবল তুষারপাতের জন্য মায়োডিয়ায় অনেক পর্যটকের আগমন ঘটে। এর নিকটবর্তী শহর হল রয়িং (৫৬ কি.মি.)।[৩]
মায়োডিয়া গিরিপথ | |
---|---|
উচ্চতা | ২৬৫৫ মিটার(৮,৭১১ ফুট) |
অবস্থান | অরুণাচল প্রদেশ, ভারত |
পর্বতশ্রেণী | হিমালয় |
মায়োডিয়া গিরিপথ | |
---|---|
Country | India |
State | অরুণাচল প্রদেশ |
District | নামনি দিবাং উপত্যকা জিলা |
Head Quarter | রয়িং |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30) |
Postal Index Code (India) | ৭৯২১১০ |
Indian Telephone Prefix | ০৩৮০৩ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-AR |
নামের উৎপত্তি সম্পাদনা
শুনতে পাওয়া যায়, এই স্থানে বরফর মধ্যে মায়া নামের একজন নেপালী মেয়ে হারিয়ে গেছিল। মায়াকে আর কোথায়ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মায়ার নাম অনুসারেই এই স্থানখণ্ডের নাম মায়োডিয়া রাখা হয়।[২]
তুষারপাত সম্পাদনা
সাধারণত নভেম্বর মাসে আরম্ভ হওয়া মায়োডিয়ার তুষারপাত মার্চ মাস পর্যন্ত বহাল থাকে। প্রবল তুষারপাত দেখতে পাওয়া যায় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে।[১]
যাতায়াত সম্পাদনা
পর্যটকরা বাহন ভাড়া করে কিংবা অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য পরিবহনের বাসে যাত্রা করে জাতীয় সড়ক দিয়ে মায়োডিয়ায় যেতে পারে। নিকটবর্তী রেলওয়ে জংশন হল তিনিসুকীয়া জংশন। এবং নিকটবর্তী বিমানবন্দর হচ্ছে ডিব্রুগড়ে অবস্থিত।[২][৪]
পর্যটন সম্পাদনা
মায়োডিয়া গিরিপথের সৌন্দর্য সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভিতর উল্লেখযোগ্য। বরফে ঢাকা পড়ে থাকা পাহাড়গুলি গোটা পরিবেশটিকে নৈসর্গিক নান্দনিকতায় পূর্ণ করে তোলে। রয়িঙ থেকে মায়োডিয়ামুখী পথটির যাত্রা পর্যটকদের এক অভিযানসদৃশ শিহরণ এনে দেয়। পথ দিয়ে অতিক্রম করা ঘূর্ণনশীল বার গলা (Twelve-Necked Point)-ও যাত্রীদের মায়োডিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।[৫]
অভিযানপ্রিয় ব্যক্তিদের জন্য মায়োডিয়া একটি ভ্রমণযোগ্য স্থান। অবশ্য পর্যটকদের জন্য সকল জরুরীকালীন সুবিধা এবং যাবতীয় ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সেজন্য প্রচণ্ড শীতপ্রবাহের সময়ে মায়োডিয়ায় গেলে পর্যটকদের নিত্য-ব্যবহার্য সামগ্রী সাথে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন - খাওয়ার জিনিস, জল, প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী ইত্যাদি। মায়োডিয়াকে এক আদর্শ পর্যটনস্থল হিসাবে গড়ে তুলতে অরুণাচল সরকার যৎপরোনাস্তি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।[২]
চিত্র-সম্ভার সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ "Official website of District Administration - Places of interest"।
- ↑ ক খ গ ঘ "Mayodia"।
- ↑ https://roing.nic.in/places-of-interest/
- ↑ Call of snow & adventure - Snowcapped Mayodia is fast becoming a tourist hotspot
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০।