মানু

ভারতীয় অভিনেত্রী

মানু, হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। পরিচালক সরণের এর কাধাল মন্নান (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিষেক হলেও, মানু অভিনয় জীবন ছেড়ে পারফর্মিং আর্টস কোম্পানি স্থাপন করেন। নর্তকী হবার স্বপ্ন সফল করতে তিনি বিশ্বব্যাপী তাঁর নাচের দল নিয়ে নৃত্য প্রদর্শন করেছেন। তিনি ২০১১ সালে আবারও ফিরে আসেন এবং সিঙ্গাপুরে অসুস্থ অভিনেতা রজনীকান্তের চিকিৎসায় সহায়তায় করেন। [১][২]

মানু
জন্ম
কৃষ্ণাক্ষি শর্মা

(1978-07-23) ২৩ জুলাই ১৯৭৮ (বয়স ৪৫)
পেশাঅভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী
কর্মজীবন১৯৯৮-২০১৪

পেশা সম্পাদনা

মানুর জন্ম ও বেড়ে ওঠা দুটোই আসামের গুয়াহাটিতে এবং তিনি ৪ বছর বয়সে নাচ শুরু করেন। তিনি গুরুমণি সিনহা সিংহ, গুরু অরবিন্দ কালীতা এবং গুরু হাজুওয়ারীর পরিচালনায় মণিপুরীকথক নৃত্যে তাঁর বিশারদ সম্পন্ন করেন যথাক্রমে ১৯৯২ এবং ১৯৯৫ সালে। এরপর তিনি ব্যাপকভাবে তাঁর গুরু, পদ্মা হরগোপালের তত্ত্বাবধানে ভরতনাট্যমের প্রশিক্ষণ নেন। তাঁর আরঙ্গেত্রম (মঞ্চে প্রথম জনসমক্ষে প্রদর্শন) হয় ১৯৯৫ সালে। একটি জাতীয় নৃত্য ভ্রমণ শুরু করার পর, নাচের প্রতি তাঁর অনুরাগ তাঁকে ধনঞ্জয় যুগলের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে চেন্নাই টেনে আনে। [৩] তাঁর সঞ্চালনায় একটি নৃত্য দেখার পর অভিনেতা বিবেক পরিচালক সরণকে তাঁর নাম সুপারিশ করেন। সরণ তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র কাধাল মন্নান (১৯৯৮)-এর জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন। মানু প্রথমে সুযোগটি প্রত্যাখ্যান করেন, তবে তাঁর বাবা-মা সম্মতি দেওয়ায় ছয় মাস পরে তিনি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। [৪] ছবিটির সাফল্য সত্ত্বেও, মানু অভিনেত্রী জীবনকে পেশা হিসেবে না নিয়ে নিজের নৃত্য সংস্থা 'মানু আর্টজ' প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিশ্বজুড়ে তাঁর নাচের দলের প্রধান হিসাবে অংশ নিয়ে, শিবগামী, লিভিং ট্রি, মাধবী এবং কোঞ্জুম সালাঙ্গাইয়ের মত শাস্ত্রীয় নৃত্যানুষ্ঠান করেছেন।

বিয়ে করার পরে, তিনি সিঙ্গাপুরে চলে আসেন। ২০১১ সালে ভারতে সিঙ্গাইল কুরুশেত্রম নামে একটি সিঙ্গাপুরীয় চলচ্চিত্রের প্রচার করার জন্য তিনি পুনরায় চলচ্চিত্র মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তারপরে তিনি অসুস্থ রজনীকান্তের সুস্থতায় সহায়তার জন্য কাজ করেন। ছবিটির প্রযোজক রজনীকান্তের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, এবং সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন মানুকে অনুরোধ করেছিলেন অভিনেতার দেখাশোনা করার জন্য। [৫] সেই বছরেই, তিনি শ্রীলঙ্কায় এজুথাথা কদাই নামের একটি দূরদর্শন চলচ্চিত্রের জন্য শ্যুটিং করেছিলেন। একই সাথে তিনি কলম্বোর একটি মেডিকেল ক্যাম্পে তাঁর স্বামী, ক্যান্সার সার্জন সন্দীপ দুরাহের সঙ্গেও কাজ করছিলেন। [৬] তিনি চেন্নাইয়ে ভীষ্ম, দ্য গ্র্যান্ডসায়ার, দি পিতামহ র মঞ্চ প্রযোজনায়ও সহায়তা করেছিলেন। সেখানে পরিচালক কৈলাস বালাচন্দ্র, রজনীকান্ত এবং অভিনেতা বিবেক উপস্থিত ছিলেন। [৭] তিনি, অভিষেকের ষোল বছর পরে, তাঁর দ্বিতীয় তামিল চলচ্চিত্র, এন্না সাথাম ইন্দা নেরাম (২০১৪)-এ অভিনয় করেন। ছবিটির পরিচালক গুরু রমেশ তাঁকে চিত্রনাট্যটি বর্ণনা করেছিলেন এবং তিনি প্রাথমিকভাবে তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ছবিতে অভিনয় করতে আগ্রহী নন। পরে তিনি তাঁকে এবং সিঙ্গাপুর- ভিত্তিক নাট্য অভিনেতা পুরাভালান নারায়ণস্বামীকে অভিনেতা রজনীকান্তের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর সামনে চিত্রনাট্যটি আবার পড়ে শোনান। রজনীকান্তের পরামর্শে, অবশেষে মানু ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন,[৮] যদিও রজনীকান্তের একমাত্র উদ্বেগ ছিল "চারটি সাত বছরের বাচ্চার মা"য়ের চরিত্রে মানুর অভিনয় করা উচিত কিনা। তবে সেটা মানুর পক্ষে সমস্যা ছিল না। ছবিটি অনাড়ম্বরভাবে মুক্তি পেয়েছিল এবং ভাল চলেনি। [৯]

চলচ্চিত্রের তালিকা সম্পাদনা

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা ভাষা মন্তব্য
১৯৯৮ কাধল মন্নান তিলাথাম্মা তামিল
২০১৪ এন্না সাথাম ইন্দা নেরাম চার সন্তানের জননী তামিল

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "- Bollywood Movie News - IndiaGlitz.com"IndiaGlitz.com। ২০১৫-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  2. "The Hindu : Ebullient presentation"www.thehindu.com। ২০০৪-১১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  3. "Dancing all the way: Krishnakshi Sharma | Assam Portal"www.assam.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  4. "My first break -- Maanu"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৩-১৩। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  5. "Ayngaran International"www.ayngaran.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  6. "Maanu is on a high - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  7. "- Tamil Movie News - IndiaGlitz.com"IndiaGlitz.com। ২০১৫-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২০ 
  8. "I've grown to call Rajinikanth appa"Deccan Chronicle। ২৫ নভেম্বর ২০১৩। ২৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  9. Malathi Rangarajan (১৪ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Act II"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা