মানবী - দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের জন্য একটি সংস্থা
মানবী সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল মূলত ছয়জন দক্ষিণ এশীয় মহিলা দ্বারা, যাঁরা হলেন শমিতা দাশ দাশগুপ্ত, রাধা শর্মা হেগড়ে, শশী জৈন, রশ্মি জয়পাল, বিভা ঝা এবং কাবেরী দত্ত। মানবীর সৃষ্টি হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয় নারীদের সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়ে সহায়তা করতে আগ্রহী একটি সংস্থা হিসাবে এবং এই সঙ্গে এদের লক্ষ ছিল নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অল্প সময়ের মধ্যে, এই নিউ জার্সি ভিত্তিক সংস্থাটি সহিংসতা এবং নির্যাতনের সম্মুখীন মহিলাদের পরিষেবা প্রদান শুরু করে এবং সেই সঙ্গে মহিলা সম্প্রদায়ের অনুরোধকে কার্যকরী করতে তার লক্ষ্যগুলিকে প্রসারিত করে।[১]
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৫ |
---|---|
উৎপত্তি | নিউ ব্রান্সউইক, নিউ জার্সি |
এলাকাগত সেবা | নিউ জার্সি |
ওয়েবসাইট | www |
সাধারণ বর্ণনা
সম্পাদনা১৯৮৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবীর (সংস্কৃতে যার অর্থ 'আদি নারী') প্রতিষ্ঠা হয়। এটি প্রথম এমন একটি সংস্থা যা বিশেষভাবে সহিংসতার শিকার হওয়া দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের প্রয়োজনের কথা বলে। যদিও এটি একটি চেতনা-উত্থাপনকারী গোষ্ঠী হিসাবে শুরু হয়েছিল, কিন্তু মানবীর প্রতিষ্ঠাতারা শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিলেন যে নির্যাতনের সম্মুখীন দক্ষিণ এশীয় নারীরা বিভিন্ন কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং মূলধারার সংস্থাগুলির কাছ থেকে সাহায্য চাইতে অক্ষম। অনেক কারণের মধ্যে কিছু কারণকে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং অভিবাসনগত বাধার জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
মানবীর প্রতিষ্ঠার পর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবীর অনুকরণে মহিলাদের জন্য আরও অনেক দক্ষিণ এশীয় সংস্থা গঠিত হয়েছে।[২] আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মানবী কাজ করছে, সেইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয় নারীদের পরিবর্তিত চাহিদার সাথে নিজেদের পরিষেবার ব্যবস্থাকে ক্রমাগত মানিয়ে নিয়ে মানবী তার নতুন কৌশলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রগামী হয়ে কাজ করে চলেছে।
দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের প্রয়োজনে সরাসরি পরিষেবা প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্যও মানবী কাজ করে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার মূলধারার আন্দোলনের পাশাপাশি এটি সাংস্কৃতিক দক্ষতার শিক্ষা এবং বৈচিত্র্যের প্রশিক্ষণ দেয়। সংক্ষেপে, মানবী একই সাথে নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া নারীদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটায় এবং শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করে লিঙ্গ - ভিত্তিক সহিংসতা থেকে মুক্ত এক দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
পীড়িতের সহায়তার উপায়
সম্পাদনা- শুনুন। পীড়িতা যা বলছেন তা বিশ্বাস করুন।
- পীড়িতাকে আশ্বাস দিন যে তাঁরা একা নন এবং তাঁরা নিরাপত্তা পাবার যোগ্য।
- বিচার করতে যাবেন না। পীড়িতাদের জানান যে অপব্যবহার যে কারো সাথে হতে পারে।
- তাঁদের সম্মতি এবং গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান করুন। কখনও কখনও পীড়িতার জন্য অপব্যবহার সম্পর্কে কথা বলা খুব কঠিন।
- কোড ওয়ার্ড স্থাপন করে পীড়িতার সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁরা নিরাপদ তা নিশ্চিত করুন।
- তাঁদের একটি গার্হস্থ্য সহিংসতা সহায়তা লাইন খুঁজে পেতে সাহায্য করুন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলুন।
- যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারোর সহায়তার প্রয়োজন হয়, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন আমাদের ২৪/৭ বহুভাষিক হটলাইন নম্বরে (৭৩২) ৪৩৫-১৪১৪ অথবা manavi@manavi.org.[৩]
সহিংসতা জয় করে ফেরা এক পীড়িতার উক্তি
সম্পাদনা“যখন আমার জন্য কেউ ছিল না, তখন মানবী আমার হাত ধরেছিল এবং তার কারণে আমি মর্যাদা ও ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে বেঁচে আছি। আজ, আমি নিজেকে গর্বিতভাবে একজন বেঁচে থাকা ব্যক্তি বলে দাবি করি।”