মাঝের চর
মাঝের চর বাংলাদেশের সুন্দরবন-ঘেঁষা বলেশ্বর নদের মধ্যবর্তী একটি চর বা দ্বীপ। এ দ্বীপের আয়তন ৬৪০ একর। বলেশ্বর নদের বুকে গড়ে ওঠা মাঝের চর দৈর্ঘ্যে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১.৪ কিলোমিটার। ৪০ এর দশকে এ দ্বীপটি জেগে ওঠে।[১][২]
স্থানীয় নাম: মাঝের চর | |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | বলেশ্বর নদী |
দৈর্ঘ্য | ২.৫ কিমি (১.৫৫ মাইল) |
প্রস্থ | ১.৫ কিমি (০.৯৩ মাইল) |
প্রশাসন | |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ১২০০ (প্রায়) |
অবস্থান
সম্পাদনাসুন্দরবনের তটরেখা থেকে মাঝের চরের দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী নামক স্থান থেকে নদীপথে মাঝের চরের দূরত্ব এক থেকে দেড় কিলোমিটার। এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে নদীপথে দূরত্ব ২ থেকে ৩ কিলোমিটার। এ চরের এক অংশ শরণখোলা ও অন্য অংশ মঠবাড়িয়া অঞ্চলে পরেছে।
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাএ দ্বীপে উপকুলীয় বিভিন্ন উপজেলা লোকজন এসে বসতি স্থাপন করছে। এক সময় এখানে বালুচর থাকলেও বিগত ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে থেকে এখানে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, গুল্ম-লতা, গোলপাতা জন্মাচ্ছে। বর্তমানে সুন্দরবন অঞ্চলে মাছ শিকার করে থাকেন এমন জেলেরা এ দ্বীপকে নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছেন।[১][৩]
জীবন-যাত্রা
সম্পাদনা২০১৬ সালের হিসাবে মাঝের চরে ১২০ টি জেলে ও কৃষক পরিবার ও প্রায় ১২০০ মানুষ বসবাস করে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে এ দ্বীপের চার বাসিন্দা নিহত হন এবং প্রায় শতাধিক আহত হন। এছাড়া প্রায় সব বাড়ি-ঘরই ভেঙ্গে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এখানে পাকা ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, সাইক্লোন শেল্টার, হাসপাতাল, মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হয়। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাই জেলে।[৪][৩]
সম্ভাবনা
সম্পাদনাজনকল্যাণে মাঝের চরকে কাজে লাগানোর জন্য এ দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।[১] এখান থেকে একইসাথে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য অবলোকন করা যায় বলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এখানে পর্যটন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছে।[৫]
যাতায়াত
সম্পাদনাএ দ্বীপের সাথে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "'মাঝের চর' ঘিরে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনের পরিকল্পনা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ ক খ "তুষখালী ইউনিয়ন"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। তুষখালি ইউনিয়ন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ ক খ "মঠবাড়িয়ার মাঝের চর বিলীনের পথে | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাঝের চরে তামাশার ঘর"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ "সুন্দরবনসহ তিন অঞ্চলে পর্যটন পার্ক হচ্ছে"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।