মরিয়ম আমিদ

ইরানী সাংবাদিক

মরিয়ম আমিদ-সেমনানি ( ফার্সি: مریم عمید سمنانی) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে সক্রিয় একজন ইরানি বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিক ছিলেন।। ইরানে তিনি একটি প্রভাবশালী মহিলা ম্যাগাজিন শোকুফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য স্মরণীয়।[১] তিনি ইরানি উউইমেন্স সোসাইটিও প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীন সংগঠনটির ৫,০০০ সদস্য ছিল বলে জানা গেছে। [২]

মরিয়ম আমিদ-সেমানী

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

আমিদ-সেমনানি কাজার যুগে উত্তর-মধ্য ইরানের সেমনানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মীর সাইদ রাজি সেমনানি (রেইস আল-আতাবেহ নামেও পরিচিত) এবং মির্জা ইব্রাহিম আ'মিনআল-সালতানাহর তৃতীয় কন্যা ছিলেন। তার বাবা পারস্যের শাহ, নাসের আল-দিন শাহ কাজারের একজন ডাক্তার এবং জাতীয় সংসদে সেমনান ও শাহরুদের প্রথম প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন, এবং পরে ফরাসি এবং ফটোগ্রাফি অধ্যয়ন করেন।[৩] তার পরিবার তার ১৬ বছর বয়সে হোসেইনি প্রিন্স মির্জা এমাদ আল-সালতানাহ সালভারের সাথে তার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তিনি বিয়ের তীব্র বিরোধী ছিলেন, এবং বিয়ের এক বছর পরে বিবাহবিচ্ছেদ করতে সক্ষম হন।[৪] সাত বছর পর তিনি কাওয়ামুল হাকমাহ নামে একজন বুদ্ধিজীবীকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান ছিল। বিয়ের সাত বছর পর কাওয়ামুল মারা যান, তিনি আমিদ-সেমনানি ছেড়ে তাদের সন্তানদের নিজে বড় করেন।[৫]

আঞ্জুমান হিম্মত খাওয়াতিন সম্পাদনা

আমিদ-সেমনানি আমিদ-সেমনানি আঞ্জুমান হিম্মত খাওয়াতিনের (সোসাইটি ফর দ্য এফোর্টস অফ উইমেন) সদস্য ছিলেন এবং শোকুফেহ-এর পাতায় এর কার্যক্রমকে সমর্থন করেছিলেন।[৬] নূর আল-দাজির নেতৃত্বে গঠিত সমিতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল বিদেশি পণ্য আমদানি ও ব্যবহার রোধ করা।

কুসংস্কারের বিরোধিতা সম্পাদনা

আমিদ-সেমনানি কুসংস্কার এবং পুরানো ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। বিশেষ করে তিনি মহিলাদের মধ্যে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধেই অধিক কাজ করেছেন। তিনি নিপীড়ন ও প্রতিক্রিয়াশীল ধারণাগুলি উন্মোচন করতে শোকৌফেহ ব্যবহার করেছিলেন। ইরানে নারীদের অনুন্নত ঐতিহ্যের নিন্দা জানিয়ে আমি-সেমনানি বিশ্বের অন্যান্য অংশে, বিশেষ করে ইউরোপে নারীদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও তুলনা করেন এবং ইরানে নারী সচেতনতা উন্নত করার সবচেয়ে অপরিহার্য উপায় হিসেবে বিবেচনা করেন। [৩]

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার নিজ শহর সেমনানে ভ্রমণের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমিদ-সেমনানি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর বলে জানা গেছে।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

 

  1. BBC News (2018) Women and their achievements feature on billboards in Iran. BBC News, 13 October. Available at: https://www.bbc.co.uk/news/blogs-trending-43386877 [Accessed 19 April 2020].
  2. Women in the Middle East: Past and Present। Princeton University (Accessed 19 April 2020)। ৯ আগস্ট ২০১২। আইএসবিএন 9781400845057 
  3. The biography of the first female Iranian journalist.
  4. "Azema, L. (2019) Petits Contes persans non-conventionnels"। Courrier International 25 October (Accessed 19 April 2020)। .
  5. Truth, Abdul Rafiee. The first female journalist in Iran, Gohar, numbers 11–12 (December 1973 – January 1974).
  6. Keddie, N.R. (2012) Women in the Middle East: Past and Present. Princeton University Press. Available through: https://books.google.com.pk/books?id=L-T-ng2v47QC&pg=PA85&lpg=PA85&dq=Maryam+Amid&source=bl&ots=Wr8cqnmByp&sig=ACfU3U1yVVgATI-Gub-DVegkfbzLhrNb-Q&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwj5le3I8N3oAhXHDGMBHdX-DM84ChDoATADegQICxAw#v=onepage&q=Maryam%20Amid&f=false [Accessed 19 April 2020].
  7. Azema, L. (2019) Petits Contes persans non-conventionnels. Courrier International, 25 October. Available at: https://blog.courrierinternational.com/ma-vie-a-teheran/2019/10/25/petits-contes-persans-non-conventionnels/ [Accessed 19 April 2020].