মনোরঞ্জন ঘোষাল বাংলাদেশের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।[] তিনি সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০২৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। []

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ঘোষাল জগন্নাথ কলেজ থেকে বিকম এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে এম কম ডিগ্রি নিয়েছেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

ঘোষাল দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  []

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

সম্পাদনা

ঘোষাল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন শব্দসৈনিক। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের দুঃশাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সময় যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ শিল্পীগোষ্ঠীতে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গুলিতে তার বড় ভাই রতন ঘোষাল শহীদ হন। ৩১ মার্চ সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন মনোরঞ্জন। সেখান থেকে বেঁচে তিনি ভারত পালিয়ে যান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে ছোট ভাই মদন ঘোষালকেও হত্যা করে পাকিস্তানিরা।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. TV, News24 (২০২২-১১-২৬)। "স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের মনোরঞ্জন ঘোষালের স্ত্রী বিয়োগ"news24bd.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৪ 
  2. "বিদ্যানন্দসহ ২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান একুশে পদকে ভূষিত | Dainikbangla"www.dainikbangla.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৪ 
  3. "মানুষের উন্নয়ন নির্ভর করে মনুষ্যত্ব ও মানবতার উপর: মনোরঞ্জন ঘোষাল"ভোরের আকাশ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৪ 
  4. "মৃত্যুঞ্জয়ী মনোরঞ্জনের গল্প"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৪