মনোয়ারা ইসলাম
অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (জন্ম: ১৯৩৬)[২] হলেন একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।[২] ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।[১]
মনোয়ারা ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৬ খুলনা জেলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
পরিচিতির কারণ | অধ্যাপনা |
পুরস্কার | একুশে পদক[১] (২০১৯) |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
সম্পাদনামনোয়ারা ১৯৩৬ সালে তদাননীত ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানঃ বাংলাদেশ) খুলনার মির্জা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।[২]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতিনি ছিলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও তিনি বি.এড ও এম.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনামনোয়ারার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এবং পরবর্তীতে যোগ দেন আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।[২] এরপর তিনি ইডেন কলেজ আর হোম ইকোনমিক্স কলেজেও দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেন।[৩]
গবেষণা ও প্রকাশনা
সম্পাদনা২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনীর সংকলন অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে প্রকাশিত হয় কথাপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে।[২][৩]
পুরস্কার ও সম্মননা
সম্পাদনাতিনি ভাষা আন্দোলনে[৪] অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "একুশে পদক ২০১৯ প্রদান (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)"। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "মনোয়ারা ইসলামের সংকলন 'অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে'"। সারাবাংলা.নেট অনলাইন। ৪ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "'অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন"। দৈনিক কালের কণ্ঠ অনলাইন। ৫ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "একুশে পদক পাচ্ছেন একাডেমির মহাপরিচালক ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী"। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "২১ গুণীজনকে প্রধানমন্ত্রীর একুশে পদক প্রদান"। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।