মধুমালতী
মধুমালতী / মধুমঞ্জরী (ইংরেজি: Chinese honeysuckle বা Rangoon creeper) লতানো গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Quisqualis indica/Combretum Indicum পরিবার Combretaceae। মাধুমালতীর হিন্দি নাম রঙ্গন-কা-বেল, বোম্বে অঞ্চলে বারমাসী, লাল চামেলী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Quisqualis indica/Combretum Indicum বৈজ্ঞানিক নামের এই ফুলটির নামকরণ করেন মধুমঞ্জরি।[১]
মধুমালতী Rangoon Creeper | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Myrtales |
পরিবার: | Combretaceae |
গণ: | Quisqualis |
প্রজাতি: | Q. indica |
দ্বিপদী নাম | |
Quisqualis indica |
বিবরণ
সম্পাদনালতা খুব শক্ত, কয়েক বছর হয়ে গেলে মোটা হয়। তখন হয় মোচড়ানো, ধূসর রঙের। গর্ভকাষ্ঠ বা মাঝখানে ছিদ্র হয়। পাতা বিপরীত দিকে সাজানো থাকে। পাতা আয়তকার, ডিম্বাকৃতি ও আগা সরু; কিনারা হালকা ঢেউ খেলানো এবং একটু খসখসে। মধুমালতীকে অনেকে '"মাধবীলতা" বলে ভুল করেন। কিন্তু মাধবীলতা ও মধুমালতী দুটি সম্পূর্ণ পৃথক প্রজাতির লতা গাছ। মধুমালতীর ফুল গন্ধে ভরপুর। ফুল গুচ্ছবদ্ধ, সাদা-লাল-কমলা রঙে মেশানো। পাপড়ি ৫ টি। ফুলের গন্ধ "মাধবী"র থেকে একটু কম। ফুলের রঙ সাদা থেকে ধীরে ধীরে বদল হয়। রঙের জন্যও এই ফুল খুব সুন্দর।
চাষাবাদ
সম্পাদনাগ্রীষ্ম ও বর্ষায় এর ফুল বেশি হলেও সারা বছর কিছু দিন পরপর ফুল ফোটে। এজন্যে একে বারমাসী ফুল বলা হয়। লতা বড় হয়ে গাছ হলে দীর্ঘজীবী হয়। গোড়া এবং শেকড় থেকেও লতা গজায়। কাটিং করে বা লতা কেটে মাটিতে পুঁতলেও চারা হয়। খুব ক্বচিৎ ফল হয়।
কুঞ্জ তৈরির জন্যে মধুমালতী আদর্শ গাছ। এর আদি বাসস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দো-মালয়েশিয়া। কেউ কেউ মনে করেন, এটি মালয় (মালয়েশিয়া) দেশের গাছ এবং এখানে এনে লাগানো হয়েছে।[২]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Madhumalati (Quisqualis indica)
- QUISQUALIS INDICA Linn
- niyog-niyogan.doc
- Quisqualis indica (PIER species info) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "রবীন্দ্রনাথের নাম রাখা ফুলগুলো"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৬।
- ↑ "গাছপালা তরুলতা",বিপ্রদাশ বড়ুয়া, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।