মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়[৩] ('মধুপুর শহীদ স্মৃতি স্কুল এণ্ড কলেজ' নামেও পরিচিত) টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম স্বনামধন্য স্কুল ও কলেজ। এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
তথ্য | |
ধরন | বেসরকারী |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭২ |
প্রতিষ্ঠাতা | মোঃ আলহা্জ্ব নূর রহমান |
বিদ্যালয় কোড | ৪২০৭০৫১৩০২ এবং ৪৫০২ |
ইআইআইএন | ১১৪৪৬০ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ২৯+১৬ [২] |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৯৩৬ [২] |
ভাষা | বাংলা |
শ্রেণিকক্ষ | ৪৩ [২] |
শিক্ষায়তন | ৪.০৬ একর [২] |
ইতিহাস
সম্পাদনাটাঙ্গাইল জেলার সন্তান মোঃ আলহা্জ্ব নূর রহমান ১৯৭২ সালের ২৮ই আগষ্ট বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।[১] ১৯৯৫-১৯৯৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারের শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতির আওতায় অগ্রসরমান বিদ্যালয় হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিপ্রপ্ত মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাম নিয়ে কলেজ হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করে।[১] প্রথম ১৯৭৬ সালে এস,এস,সি এবং ১৯৯৭ সালে এইস,এস,সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তখন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়েছে এইস,এস,সি পরীক্ষা কেন্দ্র।
অবস্থান
সম্পাদনাএটি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, এবং জামালপুর জেলাকে সংযুক্তকারী সড়কের পাশে বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত।
প্রকাশনা
সম্পাদনামধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাগরণ নামে একটি বৎসরিক সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করে। এতে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের লিখা ছড়া,কবিতা,গল্গ ও প্রবন্ধ ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
পুরস্কার
সম্পাদনামধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০৩ সালের এস এস সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ দশ কলেজের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করে এবং ২০০৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত পদক পায়।[১]
এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা বরাবরই তাদের জ্ঞানের পর্য়ি দিয়ে আসছে। প্রতিবছর এই বিদ্যালয় থেকে অনেক ছাত্র বিভিন্ন জাতিয় পুরষ্কার পেয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে সাবিকুন্নাহার বাণী নামক এক ছাত্রি তাৎক্ষণিক অভিনয়ে জাতিয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন।
ফলাফল
সম্পাদনাএস.এস.সি. পরীক্ষাঃ
সাল | মোট পরীক্ষার্থী | কৃতকার্য | এ+ | এ | এ- | শতকরা |
---|---|---|---|---|---|---|
২০০৩ | ২৪৫ | ২৪১ | ০ | ২৮ | ৭৬ | ৯৮.৩৭% |
২০০৪ | ২৭২ | ২৫৮ | ৩ | ১৩০ | ৮২ | ৯৫% |
২০০৫ | ২৬৫ | ২৩৩ | ২ | ৮২ | ৯৩ | ৮৭.৯২% |
২০০৬ | ৩৪০ | ৩১৪ | ২৪ | ১৯৪ | ৬৪ | ৯২.৩৫% |
২০০৭ | ২৮৫ | ২৭৩ | ২৭ | ১৫৯ | ৬৫ | ৯৫.৭৮% |
২০০৮ | ৩১৯ | ৩১৬ | ৬০ | ২০০ | ৪৭ | ৯৯.০৬% |
২০০৯ | ৩৩০ | ৩২৩ | ৪৬ | ২১৬ | ৪৮ | ৯৭.৮৮% |
২০১০ | ৩৩৫ | ৩০২ | ৭৩ | ১৭৪ | ৮০ | ৯০.১৫% |
২০১১ | ৩৪২ | ৩২৯ | ৯১ | ২০৮ | ২২ | ৯৬.২০% |
স্থিরচিত্র
সম্পাদনা-
কলেজ ভবন।
-
কলেজ শাখার ছাত্রাবাস।
-
স্কুলের নতুন ভবন।
-
বার্ষিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ (বা থেকে ১ম), প্রতিষ্ঠাতা (বা থেকে ৩য়) ও নাঠ্যকার মামুনুর রশীদ।
-
বাহাজ উদ্দিন ফকির, যিনি সাড়ে ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এক দিনও প্রাপ্য ছুটি কাটাননি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ http://web01.grameen.com/gc/vcip/database/education.html#shahid/%7C আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে Shahid Smrity High School & College
- ↑ http://www.dctangail.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=48%7C[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মধুপুর, টাঙ্গাইল
- ↑ বার্ষিক কলেজ প্রকাশনা জাগরণ(২০১০-২০১১) পৃষ্ঠা ১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- "জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা-২০১০ : সুন্দরগঞ্জ ও মধুপুরের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শীর্ষে"। ৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১২।
- "মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্য : জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০১, পাশের হার শতভাগ"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- "দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যাঙের ছাতা: খাদ্যমন্ত্রী | ঢাকা ইউনিভাসির্টি স্টুডেন্টস অ্যসোসিয়েশন অব মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- "যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মধুপুরে বিক্ষোভ মিছিল"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]