শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি থানা মতিগঞ্জ থানা

মতিগঞ্জ থানার ইতিহাস সম্পাদনা

শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জের বিলাস নদীর তীরে ১৯১২ সালের আগে পর্যন্ত প্রশাসনিক থানা সদর ছিল। ১৯১২ সালে শ্রীমঙ্গল শহরে প্রশাসনিক থানা মতিগঞ্জ থেকে স্থানান্তর করা হয়। শ্রীমঙ্গল একসময় ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।

নামকরন সম্পাদনা

এক তথ্য হলো বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার জনৈক মতিয়ার রহমান ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ বিশেষ দখল করেন এবং নিজের নামে বিলাস নদীর তীরে মতিগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠা করেন।

আরেক তথ্য মতে তরফ জমিদার মতিউর রহমানের ছেলে রিয়াজুর রহমান ১৭৭০ সালে বালিশিরা পরগনার জমিদার প্রাপ্ত হন এবং পিতা মতিউর রহমানের নামে বিলাস নদীর তীরে মতিগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠা করেন।

এই মতিগঞ্জই শ্রীমঙ্গল উপজেলার আদি প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল বিলাস নদীর তীরে মতিগঞ্জ থানা ছিল এবং তৎকালীন সময়ে এটি একটি প্রসিদ্ধ এবং ব্যস্ত ব্যবসা কেন্দ্র ও নদী বন্দর ছিল। কলকাতা থেকে মতিগঞ্জ পর্যন্ত জাহাজ চলাচল করত।

বিপর্যয় সম্পাদনা

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জুলাই প্রবল ভূমিকম্পের ফলে এ এলাকার ভৌগোলিক অবস্থার ব্যপক পরিবর্তন ঘটে। বিলাস নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। ফলে মতিগঞ্জের সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

মতিগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল সম্পাদনা

ইতোমধ্যে ১৯০২ সালে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন (আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে) প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শ্রীমঙ্গলের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রমান্বয়ে সব প্রশাসনিক ব্যবস্থাদি শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান সময়ে মতিগঞ্জ একটি দৈনন্দিন বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে। কয়েক বছর আগেও মতিগঞ্জ বাজারের পরে বন বিভাগের ফরেস্ট চেক অফিস ছিল। এখন সেটাও অবশ্য নেই।