মজিবর রহমান (ভাষা সৈনিক)
মজিবর রহমান (জন্ম: ১৯৩৭-মৃত্যু:৫ অক্টোবর,২০২৪)[১] হলেন বাংলাদেশী ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা। ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।[২][১][৩]
মজিবর রহমান | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৭ |
শিক্ষা | বদরগঞ্জ হাই স্কুল |
পেশা | শিক্ষকতা |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০২৩) |
জীবনী
সম্পাদনামজিবুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ সালে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম সেরাজ উদ্দিন ও মাতার নাম আলিমন নেছা।[৪]
১৯৪৮ সালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হন।[১] ১৯৫২ সালে দশম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ভাষার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তার নামে ওয়ারেন্ট হয়।[১]
১৯৭১ সালে গঠিত বদরগঞ্জের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হন। মাস্টার মজিবর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৬ নাম্বার সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন।[১] ১ এপ্রিল সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ক্যাপ্টেন আনোয়ারের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক আনসার, পুলিশ ও সেনা সদস্য বদরগঞ্জে আসেন। তিনি উক্ত বহরে অংশ নেন। তারপর বদরগঞ্জ থেকে তারা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে যান। সেখানে তাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৬ নং সেক্টরের কমান্ডার ক্যাপ্টেন নোয়াজেসের সঙ্গে তিনি নীলফামারীর চিলাহাটির তিনটি স্থানে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। পরে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন। তার নির্দেশে তিনি ভারতের কুচবিহারের টাপুরহাট যুব ক্যাম্পে সহকারী রিক্রুটিং অফিসার হিসেবে যোগ দেন।
মজিবর রহমান ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] তিনি বদরগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া কয়েক বছর বিসিআইসি এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কাউটস আন্দোলনে যুক্ত থেকে রাষ্ট্রপতি পদকও লাভ করেন মাস্টার মজিবর রহমান।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনামজিবর রহমান ১৯৫৬ সালে খাদিজা বেগমকে বিবাহ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "'ভাষার দাবিতে আন্দোলন করায় আমার নামে ওয়ারেন্ট হয়'"। ঢাকা পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩।
- ↑ "১৯ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক-২০২৩ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ভাষা ও রাষ্ট্র সংগ্রামের বিভিন্ন ইতিহাসের সাক্ষী মজিবুর রহমান মাস্টার ভূষিত হলেন একুশে পদকে"। যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩।
- ↑ ক খ মাসুদ, সাকিল (২০২৩)। রংপুরে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মজিবর রহমান। রংপুর: আইডিয়া প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১৯। আইএসবিএন 978-984-96692-6-5।
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |