ভেরোনিকা ডেসিজ মহের

ভেরোনিকা ডেসিজ মহের ব্রাজিলিয় লেখক পাওলো কোয়েলহো রচিত পর্তুগিজ উপন্যাস। এটি ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলের পারালেলা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। এটি চব্বিশ বছর বয়সি স্লোভেনিয় নারী ভেরোনিকার গল্প বলছে, যিনি তার জীবনে আর কিছু পাওয়ার মনে হয় নিজেকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপন্যাসটি আংশিকভাবে বিভিন্ন মানসিক প্রতিষ্ঠানে কোয়েলহোর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে। (জুয়ান আরিয়াসের কনফেশনস অ্যা পিলগ্রিম জীবনী দেখুন) এবং উন্মাদনার বিষয়ের আলোকপাত করেছে। উপন্যাসের মূল বক্তব্য হল "সম্মিলিত উন্মাদনা একসময় সদ্বিবেচনা" হয়ে ওঠে।

ভেরোনিকা ডেসিজ মহের
বইয়ের প্রচ্ছদ
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকপাওলো কোয়েলহো
মূল শিরোনামVeronika Decide Morrer
অনুবাদকমামুন রশীদ (বাংলা)
প্রচ্ছদ শিল্পীহিয়ারনামাস বোশ
কাটিং দ্য স্টোন (আনু. ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দ)
দেশব্রাজিল
ভাষাপর্তুগিজ
বিষয়আত্মহত্যা
ধরনউপন্যাস
প্রকাশিত১৯৯৮
প্রকাশকপারালেলা
ইংরেজিতে প্রকাশিত
২০০১ (হারপার পেরেনিয়াল)
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট, পেপারব্যাক)
পৃষ্ঠাসংখ্যা২২১
আইএসবিএন৯৭৮৮৫৭৩০২২০১৮
ওসিএলসি২৩৭৩৭৫১৬১
এলসি শ্রেণীPQ9698.13.O3546 V47 1998
পূর্ববর্তী বইমানুয়াল দো গেহেইরো দা লুস (১৯৯৭) 
পরবর্তী বইউ ডেমনিউ ই এসিয়াতিহে প্রিম 

কাহিনিসংক্ষেপ সম্পাদনা

ভেরোনিকা স্লোভেনিয়ার লুব্লজানার এক নারী, যিনি তার জীবন একেবারে নিখুঁত বলে মনে করেন। তবে, তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যখন মরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, তখন একটি সাময়িকীর নিবন্ধ দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তিনি তার বাবা-মাকে দেওয়া আত্মহত্যার চিঠিটি বাতিল করেছিলেন।

সাময়িকীর নিবন্ধটি স্বেচ্ছায় "স্লোভেনিয়া কোথায়?" জিজ্ঞাসা করায়, তিনি তার আত্মহত্যার ন্যায্যতা প্রমাণ করে প্রেস বরাবর একটি চিঠি লিখেছেন। ধারণাটি হল প্রেসকে বিশ্বাস করানো যে তিনি নিজেকে হত্যা করেছে কারণ স্লোভেনিয়া কোথায় তা মানুষ জানে না। যদিও তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল এবং তিনি স্লোভেনিয়ার একটি মানসিক হাসপাতাল ভিলিটের কোমা থেকে জেগে উঠলেন, যেখানে তাকে বলা হয়েছে যে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবনে হৃদরোগের কারণে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে।

সেখানে তার উপস্থিতি মানসিক হাসপাতালের সমস্ত রোগীকে, বিশেষত জেডকাকে ক্লিনিকাল হতাশায় আক্রান্ত করে তাদের উপর প্রভাব ফেলে। প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত মারি; এবং সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এডুয়ার্ড, ভেরোনিকা যার প্রেমে পড়েছিল।

ভিলিতে তার ইন্টিরিমেন্টের সময় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার হারানোর মতো কিছুই নেই এবং তাই তিনি যা চান তা করতে পারেন, যা চান তা বলতে পারেন এবং অন্যেরা কী ভাবছেন সে সম্পর্কে চিন্তা না করে তিনি যা চান তা হতে পারে; মানসিক রোগী হিসেবে তার সমালোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই নব-সন্ধানের স্বাধীনতার কারণে, ভেরোনিকা এমন সব বিষয় উপভোগ করেন যা তিনি নিজেকে কখনও ঘৃণা ও ভালবাসা সহ অনুভব করতে দেননি।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে সম্পাদনা

চলচ্চিত্রে অভিযোজন সম্পাদনা

২০০৫ সালে এই উপন্যাস অবলম্বনে কেই হোরি পরিচালিত জাপানি চলচ্চিত্র ভেরোনিকা ওয়া শিনু কোতো নি শিতা নির্মিত হয়েছে।[১]

২০০৯ সালে উপন্যাসটি এমিলি ইয়ং পরিচালিত মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক নাট্য ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই চলচ্চিত্রে অভিযোজিত হয়েছিল।[২] যেটির চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন যৌথভাবে রবার্টা হ্যানলিল্যারি গ্রস[২]

সঙ্গীত সম্পাদনা

২০০৬ সালে ডেনিয় মেলোডিক ডুম/ডেথ মেটাল ব্যান্ড স্যাটারানাস উপন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল।[৩]

ব্রিটিশ স্কা পাঙ্ক ব্যান্ড নোকম্পপ্লাইয়ের "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই" গানেও উপন্যাসটির প্রত্যক্ষ উদ্ধৃতি রয়েছে।

কানাডিয় সঙ্গীতশিল্পী ব্যান্ড বিলি ট্যালেন্টের ২০১০ সালের "সেন্ট ভেরোনিকা" গানে এই উপন্যাসের উল্লেখ করেছে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Veronika Decides to Die"মুুবি (ইংরেজি ভাষায়)। এফ কাকারেল। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  2. THR Staff (২২ জানুয়ারি ২০১৫)। "'Veronika Decides to Die': Film Review" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য হলিউড রিপোর্টার। ২৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  3. "Veronika Decides to Die"metal-archives.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৫। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  4. "Billy Talent: Single „Saint Veronika" erscheint heute"ওয়ার্নার মিউজিক (জার্মান ভাষায়)। ওয়ার্নার মিউজিক জার্মানি। ২৬ মার্চ ২০১০। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা