ভিলহেল্ম হিসিঞ্জার

ভিলহেল্ম হিসিঞ্জার (২৩ ডিসেম্বর ১৭৬৬ - ২৮ জুন ১৮৫২) একজন সুয়েডীয় পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদ ছিলেন। ১৮০৭ সালে তিনি জনস জ্যাকব বার্জেলিয়াসের সাথে তড়িৎ-রসায়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, যে কোনও প্রদত্ত পদার্থ তড়িৎ বিশ্লেষণে সবসময় একই মেরুতে যায় এবং আকৃষ্ট পদার্থের অন্যান্য ধর্মও একই হয়।[১] এই তথ্য দেখায় যে, পদার্থের রাসায়নিক এবং তড়িৎ প্রকৃতির মধ্যে একটি গুণগত সম্পর্ক রয়েছে।

ভিলহেল্ম হিসিঞ্জার
সুইডিশ এনসাইক্লোপিডিয়ায় ভিলহেল্ম হিসিঞ্জার
জন্ম(১৭৬৬-১২-২৩)২৩ ডিসেম্বর ১৭৬৬
ভাস্টম্যানল্যাণ্ড, সুইডেন
মৃত্যু২৮ জুন ১৮৫২(1852-06-28) (বয়স ৮৫)
স্কিনস্ক্যাটবার্গ, ভাস্টম্যানল্যাণ্ড, সুইডেন
জাতীয়তাসুয়েডীয়
পরিচিতির কারণসিরিয়াম আবিষ্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্ররসায়ন, পদার্থবিদ্যা, ভূতত্ত্ব, খনিজবিদ্যা

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৮০৩ সালে দুটি পৃথক পরীক্ষাগারে, একটিতে মার্টিন হেনরিখ ক্ল্যাপরথ এবং অন্যটিতে বার্জেলিয়াস এবং হিসিঞ্জার সিরিয়াম মৌলটি আবিষ্কৃার করেন।[২] সিরিয়াম মৌলটির নামকরণ করা হয়েছেছিলো সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহাণু ‘সেরেস’-এর নামে। প্রায় একই সময়ে উভয় পরীক্ষাগারে সিরিয়াম আবিষ্কৃত হয়েছিল, যদিও পরে দেখানো হয়েছিল যে বার্জেলিয়াস এবং হিসিঞ্জারের সিরিয়াম আসলে সিরিয়াম, ল্যান্থানাম এবং তথাকথিত ডাইডামিয়ামের মিশ্রণ ছিল। ১৮৮৩ সালে কার্ল গুস্তাফ মোসান্ডার সিরিয়াম মৌলটি প্রথম আলাদা করতে সক্ষম হন।[৩][৪][৫]

মৃত্যু সম্পাদনা

১৮৫২ সালের ২৮ জুন ৮৫ বছর বয়সে হিসিঞ্জার মারা যান।

সম্মান সম্পাদনা

১৮০৪ সালে হিসিঞ্জার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের সদস্য নির্বাচিত হন। একটি আয়রন সিলিকেট খনিজ হিসিংগারের নামে নামকরণ করা হয়েছে যার রাসায়নিক সংকেত Fe2Si2O5(OH)4·2H2O। এছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম হিসিঞ্জারাইট নামে একটি যৌগ রয়েছে যেখানে লোহার পরমাণুর একটি অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এছাড়া স্পিটসবার্গেন, স্যালবার্ডের নথর্স্ট ল্যান্ডের হিসিঞ্জারফজেলেট পর্বতটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।[৬][৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Berzelius, and Hisinger, W. (1803). In Neues allg. J. Chem. 1, 115-49 (reprinted in Ann. Phys. 27, 270-304 (1807).
  2. "Visual Elements: Cerium"। London: Royal Society of Chemistry। ১৯৯৯–২০১২। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩১, ২০০৯ 
  3. "cerium"Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৩ 
  4. Weeks, Mary Elvira (১৯৫৬)। The discovery of the elements (6th সংস্করণ)। Easton, PA: Journal of Chemical Education। 
  5. Marshall, James L. Marshall; Marshall, Virginia R. Marshall (২০০৮)। "Rediscovery of the elements: Klaproth" (পিডিএফ)The Hexagon: 20–24। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  6. "Hisingerfjellet (Svalbard)"। Norwegian Polar Institute। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪ 
  7. Lauritzen, Per Roger, সম্পাদক (২০০৯)। "Hisingerfjellet"। Norsk Fjelleksikon (Norwegian ভাষায়)। Arendal: Friluftsforlaget। আইএসবিএন 978-82-91-49547-7