ভিক ট্যান্ডি
ভিক ট্যান্ডি (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫ – ২৩ জুলাই, ২০০৫) ছিলেন ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের একজন ব্রিটিশ প্রভাষক এবং প্রকৌশলী। তিনি ইনফ্রাসাউন্ড এবং ভুতুড়ে কর্মকাণ্ডের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণার জন্য সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন।
ভিক ট্যান্ডি | |
---|---|
জন্ম | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫ |
মৃত্যু | ২৩ জুলাই, ২০০৫ (৫০) |
জাতীয়তা | ইংরেজ |
পেশা | প্রভাষক, গবেষক |
পরিচিতির কারণ | অতিপ্রাকৃতিক গবেষণা |
কর্মজীবন
সম্পাদনা২০০১ সালে, ট্যান্ডিকে কোভেন্ট্রির ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারের ভান্ডারটি[১][২] অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছিল এবং ২০০৪ সালে ওয়ারউইক ক্যাসলে অলৌকিক কার্যকলাপ খুঁজছেন এমন একটি গবেষণা দলের অংশ ছিলেন তিনি।[৩] উভয় ক্ষেত্রেই তিনি উচ্চ মাত্রার ইনফ্রাসাউন্ডের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন।[৩][৪] ট্যান্ডি লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল হলে ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে একটি এক্সপেরিমেন্টসহ বড় আকারের পরীক্ষামূলক পরীক্ষণও করেছিলেন[১]
ট্যান্ডি কোভেনট্রি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়[১] এবং উচ্চ শিক্ষায় কম্পিউটার ব্যবহারের বিষয়ে একটি কম্পিউটার কলামও লিখেছিলেন।[৫] তিনি মনোবিজ্ঞান গবেষণা সোসাইটির সহযোগী সদস্য[৬] এবং চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ারও ছিলেন।[১]
ইনফ্রাসাউন্ড নিয়ে কাজ
সম্পাদনা১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ট্যান্ডি একটি মেডিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থার জন্য গবেষণাগারে কাজ করছিলেন, তখন তাঁর নিজের ভাষায়: "আমি ঘামছিলাম যদিও শীত ছিলো, এবং আমি উদ্বিগ্নতার অনুভব করি- তবে আরও কিছু বিষয় ছিল। এটি মনে হচ্ছিল যে আমার সাথে রুমে আরো কেউ আছে।"[৭][৮] তারপরে ট্যান্ডি দাবি করেছিলেন যে অশরীরী রূপে একটি আত্মা দেখা দিয়েছে কিন্তু যখনই তিনি সেটার মুখোমুখি হতেন তখনই তা অদৃশ্য হয়ে যেত।[৮]
দুর্ঘটনাক্রমে তিনি "ভৌতিকতা"-র কারণটি আবিষ্কার করেছিলেন। পরের দিন একাকী কাজ করতে করতে ভিক হঠাৎ লক্ষ্য করলেন তাঁর ‘ফেন্সিং’ খেলার তলোয়ারটা নিজে থেকেই কাঁপছে, কাঁপছে ল্যাবের অনেক হাল্কা বস্তুও।[৯][১০] এই থেকে ট্যান্ডির মনে ধারণাটি তৈরি হয়েছিল যে পরীক্ষাগারে ইনফ্রাসাউন্ডের উপস্থিতি থাকতে পারে।[৭] পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা গেছে যে পরীক্ষাগারে আটকে থাকা ইনফ্রাসাউন্ডটি ট্যান্ডির ডেস্কের ঠিক পাশেই ছিল, যেখানে তিনি ভূত দেখেছিলেন। ইনফ্রাসাউন্ডটি একটি নতুন ইনস্টল করা এক্সট্র্যাক্টর ফ্যান থেকে এসেছিল। [৯][১১]
ট্যান্ডি তার এই অভিজ্ঞতাটি পুনরায় সৃষ্টি করতে পেরেছিল এবং ড. টনি লরেন্সের সহায়তায় তিনি জার্নাল সোসাইটি ফর সাইকোলিকাল রিসার্চ-এ তার অনুসন্ধানগুলি প্রকাশ করতে সক্ষম হন।[১২][১৩] তাদের গবেষণা তাদের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয় যে ১৯ হার্জ[২][১০][১৪] এবং এর কাছাকাছি হার্টজের কম্পাঙ্কের শব্দ বা ইনফ্রাসাউন্ডে ভয় এবং কাঁপুনির অনুভূতি সহ শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন প্রভাব তৈরি হয়।[৭][১৫] যদিও এটি বহু বছর ধরেই জানা ছিল, ট্যান্ডি এবং লরেন্সই প্রথম ব্যক্তি যারা এটিকে ভৌতিকতার সাথে সংযুক্ত করেছিলেন।[৮][১৫]
ট্যান্ডি "ভূত অন লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড" তথ্যচিত্রতেও উপস্থিত হয়েছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাট্যান্ডি ২০০৫ সালের জুলাইয়ে ৫০ বছর বয়সে মারা যান।[১] তিনি তাঁর স্ত্রী এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুত্রের সঙ্গে থাকতেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Cotterill, Helen (২৬ এপ্রিল ২০১৩) [28 July 2005]। "Pioneering Ghost Hunter Vic Dies"। Coventry Evening Telegraph। Coventry Live।
- ↑ ক খ Dudman, Simon (১১ মার্চ ২০০৩)। "GHOSTBUSTER: Researcher reveals the science behind our haunted terrors"। Coventry Evening Telegraph – The Free Library-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ "Bid to find Evidence of Ghosts at Castle"। Coventry Evening Telegraph। ২ নভেম্বর ২০০৪।
- ↑ Wilson, Lucy (২ নভেম্বর ২০০০)। "Vic's Theory on Eerie in TV Spotlight"। Coventry Evening Telegraph।
- ↑ Tandy, Vic; Cousin, Glynis (২০০৪)। "Cutting out Computer Anxiety"। Bhanot, Rakesh; Fallows, Stephen। Quality Issues in ICT-based Higher Education। Routledge। আইএসবিএন 9780415335218।
- ↑ "Boffin's Pocket Tool for Spooks"। Coventry Evening Telegraph। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০১।
- ↑ ক খ গ Lyster, Samantha (১২ ফেব্রুয়ারি ২০০১)। "INVENTOR HOPES DEVICE WILL GIVE UP THE GHOST"। Birmingham Post।
- ↑ ক খ গ Matthews, Robert (২৯ জুন ১৯৯৮)। "Science finds reasons for ghostly 'hauntings': Ultra-low sound waves blamed for visions, feelings of terror"। Ottawa Citizen।
- ↑ ক খ Ede, Charisse (২১ জুলাই ১৯৯৮)। "LECTURER HAS LOWDOWN ON GHOSTS; IT MAN SAYS SOUNDS CAN HELP TRIGGER VISIONS"। Birmingham Post।
- ↑ ক খ Pilkington, Mark (১৬ অক্টোবর ২০০৩)। "LIfe: Far out: The fear frequency"। The Guardian।
- ↑ Simons, Paul (৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "Ghostly sightings in science lab"। The Times।
- ↑ Tandy, Vic; Lawrence, Tony (এপ্রিল ১৯৯৮)। "The Ghost in the Machine" (পিডিএফ)। Journal of the Society for Psychical Research। 62 (851) – Richard Wiseman-এর মাধ্যমে।
- ↑ Coghlan, Andy (১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "Midnight watch"। New Scientist।
- ↑ "Explaining the Tandy Effect"। Coventry Evening Telegraph। ১১ মার্চ ২০০৩।
- ↑ ক খ Hickley, Matthew (২৯ জুন ১৯৯৮)। "Sound sense that could lie behind ghostly apparitions"। Daily Mail।