ভারত–জাপান সম্পর্ক

ভারত-জাপানের সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে সুদৃঢ়। ভারত ও জাপানের জনগণ মূলত বৌদ্ধধর্মের ফলস্বরূপ সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কাজ করেছে, যা চীন ও কোরিয়া হয়ে ভারত থেকে পরোক্ষভাবে জাপানে ছড়িয়ে পড়ে। ভারত ও জাপানের জনগণ বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্য সহ সাধারণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দ্বারা পরিচালিত এবং গণতন্ত্র, সহনশীলতা, বহুবিত্তবাদ ও উন্মুক্ত সমাজের আদর্শের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভারত, জাপান এশিয়ার দুটি বৃহত্তম ও প্রাচীনতম গণতন্ত্র, যার মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের উচ্চতর সম্মিলন রয়েছে, একে অপরকে অংশীদার হিসাবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক হুমকিসমূহে প্রতিক্রিয়া জানাতে দায়বদ্ধ ও সক্ষম। ভারত হল জাপানি সহায়তার বৃহত্তম প্রাপক এবং উভয় দেশের একটি বিশেষ সম্পর্কের দাপ্তরিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) রয়েছে।[১] ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ১৭.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ভারত–জাপান সম্পর্ক
মানচিত্র India এবং Japan অবস্থান নির্দেশ করছে

ভারত

জাপান
কূটনৈতিক মিশন
ভারতের দূতাবাস, টোকিওজাপানের দূতাবাস, নয়াদিল্লি
দূত
জাপানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার বর্মাভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি
জাপানে ২০১৪ সালে প্রাক্তন দ্বিপক্ষীয় পরিদর্শন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের ব্রিটিশ দখলদার ও জাপানের মধ্যে শত্রুতা ছিল, তবে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ রয়েছে। ইয়ামাহা, সনি, টয়োটাহোন্ডার মতো জাপানি সংস্থাগুলির ভারতে উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।

২০১৩ সালের বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস পোল অনুসারে, ৪২% জাপানিরা মনে করেন যে ভারতের আন্তর্জাতিক প্রভাব মূলত ইতিবাচক, ৪% এটি নেতিবাচক হিসাবে বিবেচনা করেছে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. PM'S ADDRESS TO JOINT SESSION OF THE DIET, Indian Prime Minister's Office, ১৪ ডিসেম্বর ২০০৬, সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  2. "2013 World Service Poll" (পিডিএফ), BBC, ১০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা