ভারতে গার্হস্থ্য সহিংসতা

ভারতে গার্হস্থ্য সহিংসতার মধ্যে রয়েছে জৈবিক আত্মীয়ের দ্বারা একজন ব্যক্তি কর্তৃক সহ্য করা যেকোনো ধরনের সহিংসতা, কিন্তু সাধারণত একজন মহিলা তার পরিবারের পুরুষ বা আত্মীয়দের দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়।[১][২] ২০০৫ সালে একটি ন্যাশনাল ফ্যামিলি অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুসারে, মহিলাদের মোট জীবনকালের ৩৩.৫% গৃহস্থালি সহিংসতা ও ৮.৫% যৌন সহিংসতা ১৫–৪৯ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে।[৩] দ্য ল্যানসেট-এ ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে ভারতে যৌন সহিংসতার হার যদিও বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন, কিন্তু ভারতের বৃহৎ জনসংখ্যার অর্থ এই যে, সহিংসতা ২৭.৫ মিলিয়ন নারীকে তাদের জীবদ্দশাকে প্রভাবিত করে।[৪] যাইহোক, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি মতামত জরিপ অনুযায়ী ভারতকে মহিলাদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসাবে স্থান দেওয়া হয়।[৫]

ভারতের ২০১২ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্টে প্রতি অপরাধের হার ১,০০,০০০ জনে ৪৬ টি, ধর্ষণের হার প্রতি ১,০০,০০০ জনে ২ টি, যৌতুক হত্যার হার প্রতি ১,০০,০০০ জনে ০.৭ টি এবং স্বামী বা তার আত্মীয়দের দ্বারা পারিবারিক নিষ্ঠুরতার হার প্রতি ১,০০,০০০ জনে ৫.৯ টি উল্লেখ করা হয়।[৬] এই রিপোর্টে করা হারগুলি অনেক দেশে রিপোর্ট করা অন্তরঙ্গ অংশীদার গার্হস্থ্য সহিংসতার হারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষুদ্র, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (প্রতি ১,০০,০০০ জনে ৫৯০ টি) এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ট্র্যাক করা বেশিরভাগ দেশে প্রতি ১,০০,০০০ জন নারীর মধ্যে হত্যা (বিশ্বব্যাপী প্রতি ১,০০,০০০ জনে ৬.২ টি), অপরাধ এবং ধর্ষণের ঘটনা।[৭][৮][৯]

ভারতে বেশ কিছু পারিবারিক সহিংসতা আইন রয়েছে। প্রাচীনতম আইন হিসাবে 'যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৬১' ছিল, যা যৌতুক দেওয়া ও গ্রহণ করাকে অপরাধ হিসাবে পরিণত করেছিল। ১৯৬১ আইনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায়, ১৯৮৩ সাল ও ১৯৮৬ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে দুটি নতুন ধারা, ধারা ৪৯৮এ ও ধারা ৩০৪বি চালু করা হয়। সাম্প্রতিকতম আইন হল গার্হস্থ্য সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা আইন (পিডব্লিউডিভিএ) ২০০৫। পিডব্লিউডিভিএ, একটি নাগরিক আইন, যা পারিবারিক সহিংসতা হিসাবে শারীরিক, মানসিক, যৌন, মৌখিক ও অর্থনৈতিক অপব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত করে।

প্রভাব সম্পাদনা

মহিলারা ব্যক্তিগত বাড়ির ভিতরে গৃহীত অবৈধ কর্মের ফলে অনেক ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন এবং যারা কখন কোন প্রকার অভিজ্ঞতার শিকার হয়নি, তাদের তুলনায় যারা গৃহস্থালি সহিংসতার কোন না কোন প্রকার অভিজ্ঞতার শিকার হন তাদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ব্যাধি ও মাদক নির্ভরতা বেশি থাকে।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; autogenerated1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ellsberg2008 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. "Women's Empowerment in India" (পিডিএফ)। National Family and Health Survey। 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; lancet1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. Foundation, Thomson Reuters। "Factbox: Which are the world's 10 most dangerous countries for women?"www.reuters.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  6. National Crimes Record Bureau, Crime in India 2012 – Statistics ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জুন ২০১৪ তারিখে Government of India (May 2013)
  7. S. Harrendorf, M. Heiskanen, S. Malby, INTERNATIONAL STATISTICS on CRIME AND JUSTICE United Nations Office on Drugs & Crime (2012)
  8. Intimate Partner Violence, 1993–2010, Bureau of Justice Statistics, US Department of Justice, table on page 10.
  9. Global Study on Homicide 2013, United Nations Office on Drugs and Crime, page 12, আইএসবিএন ৯৭৮-৯২-১-০৫৪২০৫-০
  10. Roberts, Gwenneth. "The Impact of Domestic Violence on Women's Mental Health."Australian and New Zealand Journal of Public Health 22 (1998). ১৭ মার্চ ২০১৩।