ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা
ভারতে শিক্ষা প্রাথমিকভাবে সরকারি বিদ্যালয় (সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং তিন স্তরের: কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয়) ও বেসরকারি বিদ্যালয় দ্বারা সরবরাহ করা হয়। ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের অধীনে ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মৌলিক অধিকার হিসাবে বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করা হয়। ভারতের সরকারি বিদ্যালয় ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে আনুমানিক অনুপাত ৭:৫।
 | |
| শিক্ষা মন্ত্রণালয় | |
|---|---|
| শিক্ষামন্ত্রী | রমেশ পোখরিয়াল |
| জাতীয় শিক্ষা বাজেট | |
| বাজেট | জিডিপি এর ৩.৬% ($ ১২০ বিলিয়ন) [১] |
| সাধারণ বিবরণ | |
| মাতৃভাষা | ইংরেজি, ভারতীয় ভাষা |
| ব্যবস্থার ধরণ | যুক্তরাষ্ট্রীয়, রাজ্য ও বেসরকারি |
| প্রতিষ্ঠিত বাধ্যতামূলক শিক্ষা | ১ এপ্রিল ২০১০ |
| স্বাক্ষরতা (২০১৭-১৮[৩]) | |
| মোট | ৭৭.৭%[২] |
| পুরুষ | ৮৪.৭% |
| মহিলা | ৭০.৩% |
| তালিকাভুক্তি | |
| মোট | জানা নেই |
| প্রাথমিক | ৯৫%[৪] |
| মাধ্যমিক | ৬৯%[৪] |
| মাধ্যমিক পরবর্তী | ২৫%[৪] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সাক্ষরতার হার জনসংখ্যার প্রায় ৭৪.০৪% ছিল, যার মধ্যে ৮১% পুরুষ এবং ৬৫% মহিলা সাক্ষরতা। জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের সমীক্ষা থেকে জানা যায় ২০১৭-১৮ সালে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭% হবে, যার মধ্যে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮৭.৭% ও মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭০.৩% হবে।[৫] এই হার যথাক্রমে ১৯৮১ সালে ৪১%, ৫৩% ও ২৯% এবং ১৯৫১ সালে ১৮%, ২৭% ও ৯% ছিল।[৬] ভারতের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রায়শই এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অবদানকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[৭] বেশিরভাগ অগ্রগতি, বিশেষত উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবদান রয়েছে। গত দশকে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ২৬.৩% এর মোট তালিকাভুক্তির অনুপাতে (জিইআর) পৌঁছায়,[৮] এখনও উন্নত দেশগুলির তৃতীয় স্তরের শিক্ষার তালিকাভুক্তি অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দূরত্ব রয়েছে।[৯] ভারতের তুলনামূলকভাবে তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় স্তরের শিক্ষায় যুক্ত রাখতে একটি আহ্বানকে উত্তরণ করা প্রয়োজন।
ভারতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিখার জন্য একটি বৃহত বেসরকারি বিদ্যালয় ব্যবস্থা রয়েছে, যা সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির পরিপূরক। ২৯% শিক্ষার্থী ৬ বছর থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষা গ্রহণ করে।[১০] নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমিকের প্রযুক্তিগত বিদ্যালয় বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হয়। ২০০৮ সালে ভারতের বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থার আয় ছিল ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে এটি ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার হিসাবে প্রত্যাশিত।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "India" (পিডিএফ)। OECD। ২০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "India Literacy Rate"। UNICEF। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Estimate for India, from India, The Hindu
- ↑ ক খ গ https://mhrd.gov.in/sites/upload_files/mhrd/files/statistics-new/ESG2016.pdf
- ↑ NSO 2018, পৃ. 43।
- ↑ Rajni Pathania, "Literacy in India: Progress and Inequality." Bangladesh e-Journal of Sociology 17.1 (2020) online.
- ↑ India achieves 27% decline in poverty, Press Trust of India via Sify.com, 12 September 2008
- ↑ "All India Survey on Higher Education 2018-19"। Department of Higher Education (India)। ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Global Education"। University Analytics। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Over a quarter of enrollments in rural India are in private schools"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Indian education: Sector outlook" (পিডিএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৪।