ভাঁট
ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই বা ঘেটু গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম Clerondendron viscosum। এটি গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ।[১]
ভন্টাকি (ঘেঁটু) বা ভাঁট চৈতঘাড়া ফুল Clerodendrum infortunatum | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
বিভাগ: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণী: | Eudicots |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Lamiaceae |
গণ: | Clerodendrum |
প্রজাতি: | infortunatum |
দ্বিপদী নাম | |
Clerodendrum infortunatum L. | |
প্রতিশব্দ | |
|
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3d/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F_%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%2C_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%28Clerondendron_viscosum%29.jpg/220px-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F_%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%2C_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%28Clerondendron_viscosum%29.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0c/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F_%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%2C%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%2C_%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0_%28Clerondendron_viscosum%29.jpg/220px-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F_%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%2C%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%2C_%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0_%28Clerondendron_viscosum%29.jpg)
বিস্তৃতি
সম্পাদনাবর্ণনা
সম্পাদনাভাঁট গাছের প্রধান কাণ্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশেল আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে। গ্রামের মেঠো পথের ধারে, পতিত জমির কাছে এরা জন্মে থাকে এবং কোনরূপ যত্ন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। এছাড়াও পাহাড়ি বনের চূড়ায় এবং পাহাড়ি ছড়ার পাশে এদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষনীয়।[১]
ব্যবহার
সম্পাদনাভাঁট গাছ ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর পাতার রস শিশুর জ্বর দূর করে। এছাড়াও সনাতন ধর্মালম্বীরা ভাঁট ফুল দিয়ে ভাঁটি পূজার আয়োজন করে থাকে।[১]
ঔষধি গুণাগুন
সম্পাদনাএতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার জন্য এটি ক্যানসার দমনে সহায়ক। এছাড়াও কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে এটি সাহায্য করে। তবে এটি খুব বেশি স্বীকৃত নয়।
বাংলা সাহিত্যে ভাঁট
সম্পাদনাজীবনানন্দ দাশের একটি কবিতায় ভাঁট গাছের প্রসঙ্গ এসেছে,
“ | ভাঁট আঁশ শ্যাওড়ার বন বাতাসে কী কথা কয় বুঝি নাকো, বুঝি নাকো চিল কেন কাঁদে; |
” |
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
ফুল ও পাতাসহ ভাঁট গাছ
-
ভাঁট ফুল
-
ভাঁট গাছের সমাহার