ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান (ছিয়াশিতম গানদেন ত্রিপা)
ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান (তিব্বতি: བློ་བཟང་རྒྱལ་མཚན, ওয়াইলি: blo bzang rgyal mtshan) (জন্ম-১৮৪০) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স ধর্মসম্প্রদায়ের দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের ছিয়াশিতম দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পা বা প্রধান ছিলেন। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে মধ্য তিব্বতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সে-রা বৌদ্ধবিহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্যুমে তন্ত্র মহাবিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি গ্যুমে তন্ত্র মহাবিদ্যালয় এবং দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের ব্যাং-র্ত্সে (ওয়াইলি: byang rtse) মহাবিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের ছিয়াশিতম প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এই পদে তিনি সাত বছর থাকেন। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ কর্ণেল ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ডের নেতৃত্বে আট হাজার সেনার একটি বাহিনী সিক্কিম সীমান্ত থেকে তিব্বত আক্রমণ করলে ত্রয়োদশ দলাই লামা তাকে তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি নিযুক্ত করে লাসা থেকে মঙ্গোলিয়ার দিকে পলায়ন করেন।[১] তিব্বতী ঐতিহাসিকদের মতে ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান একজন সৎ ও নির্ভরশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যাকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব প্রদান করা যেত।[২] ইয়ংহাজব্যান্ড লাসা শহরে এলে তিনি তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টেম্বর তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি পোতালা প্রাসাদে লাসা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে তিব্বতে ব্রিটিশদের স্থায়ী দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়, ভারত ও তিব্বতের সীমান্ত নির্ধারিত হয় এবং তিব্বত থেকে রুশ প্রভাব দূরীভূত হয়। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে ত্রয়োদশ দলাই লামা পুনরায় লাসা ফিরে এলে তিনি তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি পদ থেকে সরে আসেন এবং তিব্বতের শাসনক্ষমতা দলাই লামার ওপর ন্যস্ত করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Shakya, Tsering (May 2013)। "The Thirteenth Dalai Lama, Tubten Gyatso"। The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ 2014-18-08। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Shakabpa, Tsepon. 1967. Tibet: A Political History. New Haven: Yale University Press, pp. 215-219.
- ↑ Chhosphel, Samten (ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "The Eighty-Sixth Ganden Tripa, Lobzang Gyeltsen"। The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৯।
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- Khetsun Sangpo. 1973. Biographical Dictionary of Tibet and Tibetan Buddhism. Dharamsala: LTWA, Vol. 6, p. 212.
- Tsering Shakya. 2005. "The Thirteenth Dalai Lama, Tubten Gyatso." In Brauen, Martin, ed. The Dalai Lamas: A Visual History. London: Serindia, pp. 137–161.
পূর্বসূরী ব্লো-ব্জাং-ত্শুল-খ্রিম্স-দ্পাল-ল্দান |
ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান ছিয়াশিতম দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পা |
উত্তরসূরী ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-ব্স্তান-পা'ই-র্গ্যাল-ম্ত্শান |
পূর্বসূরী ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-'ফ্রিন-লাস-রাব-র্গ্যাস |
ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি ১৯০৪-১৯০৯ |
উত্তরসূরী ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-ব্স্তান-পা'ই-র্গ্যাল-ম্ত্শান |