ব্লুবেলস অব স্কটল্যান্ড

ব্লুবেলস অব স্কটল্যান্ড হচ্ছে একটি স্কটিশ লোকসংগীতের প্রচলিত নাম (রুড # ১৩৮৪৯)। এর রচয়িতা ইংরেজ অভিনেত্রী ও লেখিকা ডোরা জর্ডান। এটি সর্বপ্রথম ১৮০১ সালে প্রকাশিত হয়।

শব্দাবলি সম্পাদনা

অধিকাংশ লোকসংগীতের মতো এরও একাধিক রূপ রয়েছে। ১৮০৩ সালে "ব্লুবেলস" শিরোনামে স্কটস মিউজিক্যাল মিউজিয়ামে বর্তমান সুরের চেয়ে ভিন্ন সুর দিয়ে যে সংস্করণটি মুদ্রণ করা হয়, তার শব্দাবলি নিম্নরূপ:

O where and O where does your highland laddie dwell;
O where and O where does your highland laddie dwell;
He dwells in merry Scotland where the bluebells sweetly smell,
And all in my heart I love my laddie well'[১]

অনুবাদ:

ওহে কোথায় আর ওহে কোথায় থাকে তোমার পাহাড়ি ভূমির খোকা;
ওহে কোথায় আর ওহে কোথায় থাকে তোমার পাহাড়ি ভূমির খোকা;
সে থাকে আনন্দদায়ক স্কটল্যান্ডে যেখানে ব্লুবেল মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়ায়;
আর আমি তাকে আমার হৃদয়ের মধ্য থেকে ভালোবাসি।


১৯ শতকের পরের দিকে মুদ্রিত একটি সুরবিহীন, শুধু শব্দসমৃদ্ধ ব্রডসাইড ব্যালাড সংস্করণ রাজা তৃতীয় জর্জ এবং নেপোলিয়নীয় যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে:

Oh, where, and oh, where is my highland laddie gone,
Oh, where, and oh, where is my highland laddie gone,
He's gone to fight the French, for King George upon the throne,
And it's oh in my heart I wish him safe at home[২]

অনুবাদ:

আহা, কোথায়, আর আহা, কোথায় গেল আমার পাহাড়ি ভূমির খোকা,
আহা, কোথায়, আর আহা, কোথায় গেল আমার পাহাড়ি ভূমির খোকা,
সে গিয়েছে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজা জর্জের জন্য ফরাসিদের সাথে লড়াই করতে,
আর আমি তার জন্য আমার হৃদয়ের মধ্য থেকে নিরাপত্তা কামনা করি।


'ব্লুবেল' একটি ফুল; এর জন্য en:Common bluebell এবং en:Campanula rotundifolia দ্রষ্টব্য।

সুর সম্পাদনা

 

বাদনরীতি সম্পাদনা

ইওসেফ হাইডেন এই গানের জন্য একটি পিয়ানোর ত্রয়ী সঙ্গত (Trio Accompaniment) রচনা করেছিলেন (হব. XXXIa: ১৭৬)।

গানটি আর্থার প্রায়র সঙ্গতের সাথে ট্রম্বোন দিয়ে বাজানোর জন্য একটি বাদনবিন্যাস তৈরি করেছিলেন। এই সংস্করণটিকে সাধারণত "ব্লু বেলস অফ স্কটল্যান্ড" বলা হয়। এটি সাধারণত একটি পিয়ানো বা কোনো কনসার্ট/সামরিক ব্যান্ডের সাথে বাজানো হয়, কিন্তু এটি সমবেত বাদকদল (অর্কেস্ট্রা) অথবা শিঙ্গাজাতীয় (Brass) বাদ্যযন্ত্রের ব্যান্ডের সাথেও পরিবেশিত হয়েছে। যদিও নামকরণ সংক্রান্ত কারণে এর প্রকৃত তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, প্রায়র এটিকে সম্ভবত ১৮৯৯ সালের দিকে রচনা করেন।

এই সংস্করণটি কৌশলগতভাবে কষ্টসাধ্য এবং এটি একক বাদককে একটি প্রবহমান লেগাটো বা মীড় দেখানোর সুযোগ দেয় যখন বিভিন্ন স্থানে কিছু কঠিন লাফ দিতে হয়। বাজানোর প্রচণ্ড গতি ও উচ্চস্বরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা সৃষ্টি করে। এটি প্রসঙ্গ ও রূপান্তর (theme and variation) রীতিতে রচিত এবং একটি মূর্ছনাময় ভূমিকা (cadenza-like introduction) দ্বারা শুরু হয়। থিমের পর এটি আলেগ্রো অংশে অগ্রসর হয়, যেখানে রূপান্তরসমূহ শুরু হয়। প্রথম রূপান্তরে ত্রয়ী (triplets) অন্তর্ভুক্ত হয়, যেখানে দ্বিতীয় রূপান্তরে পরিবর্তনশীল এক ষোড়শাংশ-এক অষ্টমাংশ সুরের ছন্দ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর অনুসরণকারী ক্যাডেঞ্জাটি পরিবেশকের সীমা দেখায়; উদাহরণস্বরূপ উচ্চ সি (মধ্য সি এর এক অষ্টক উপরে) হতে প্রায় সাড়ে তিন অষ্টক দীর্ঘ লাফ দিয়ে পেডাল এ ফ্ল্যাট বা জি পর্যন্ত আসা। এর প্রাণবন্ত সমাপ্তিপর্বে উল্লেখিত সকল কৌশল কাজে লাগানো হয়; যেখানে ট্রম্বোন বাদককে প্রসারিত সীমা, লেগাটো, ডাবল টাংগিং এবং নমনীয়তা, সবগুলো দেখাতে হয়। ফলে এই বিন্যাসটি কেবল শ্রেষ্ঠ ট্রম্বোন বাদকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, যদিও জোসেফ আলেসি, ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডবার্গ এবং ইয়ান বোসফিল্ড প্রমুখ বিখ্যাত বাদকদের বহুসংখ্যক রেকর্ডিং রয়েছে। এটিকে প্রায়শই ট্রম্বোন (এবং ইউফোনিয়াম) এর ক্ষেত্রে জাঁ-ব্যাপ্টিস্ট আরবান রচিত কার্নিভ্যাল অব ভেনিস এর সমতুল্য মনে করা হয় (বাদ্যযন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার ভিত্তিতে)।

মার্কিন সুরকার লিরয় অ্যান্ডারসন তাঁর রচিত "স্কটিশ স্যুট" এর তৃতীয় অংশের জন্য একটি অর্কেস্ট্রা বিন্যাস রচনা করেছেন, যা তারজাতীয় ও বাঁশিজাতীয় বাদ্যযন্ত্রের সুরের ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার ও উচ্ছ্বল মিল প্রদর্শন করে।

বিং ক্রসবি তাঁর অ্যালবাম ১০১ গ্যাং সংস (১৯৬১) এ গানটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

বহু ব্যাগপাইপ ব্যান্ড গানটির বিভিন্ন বিন্যাস বাজিয়ে থাকে। তারা সাধারণত একটি বা দুটি বাইরের সুর, যেমন "দ্য ম্যারিনস হাইম" ইত্যাদির সাথে এটির সংমিশ্রণ করে।

অ্যালাবামা প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা দিবস প্রতিবছর উইলিয়াম বার্নস প্যাটারসনের জন্মদিন ৯ ফেব্রুয়ারির দিন উদযাপন করা হয়।[৩] এটি ১৯০১ সাল থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে।[৪] দ্য ব্লুবেলস অব স্কটল্যান্ড প্যাটারসনের পছেন্দের গান হওয়ায় এটি সবসময় গাওয়া হয়ে এসেছে।[৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Johnson, James (১৮৩৯)। "Scots Musical Museum; Volume 6"। Edinburgh: William Blackwood and Sons। পৃষ্ঠা 566–567। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  2. "Broadside ballad entitled 'The Blue Bells of Scotland'"। ১৮০০–১৮১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  3. Harney, Erin (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "'From Marion to Montgomery' sheds new light on the founding, history of Alabama State University"। Alabama NewsCenter। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২১ 
  4. "Dr William Burns Paterson"Old Tullibody। Angel Fire। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৭ 
  5. "Alabama State celebrates founders for 150th anniversary"। The Associated Press। ১৯ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২১ 
  6. "The Bluebells of Scotland"। ২০২১-১২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • Herbert, Trevor and John Wallace, eds. (1997). The Cambridge Companion to Brass Instruments. Cambridge: Cambridge University Press.
  • Less, Gene (2003). Friends Along the Way: A Journey Through Jazz. New Haven: Yale University Press.