ব্যবহারকারী:Nazmul Islam N/খেলাঘর

লিভিং ইগলস খ্যাত বৈমানিক সাইফুল আজম

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ২০০১ সালে বিশ্বের যে ২২ জন শ্রেষ্ঠ বৈমানিককে "লিভিং ইগলস" উপাধিতে ভূষিত করেন, তাদেরই একজন বাংলাদেশের সাইফুল আজম। #সাইফুল_আজমই_বিশ্বের_একমাত্র_ব্যক্তি_যিনি_ইসরাইলের_সর্বোচ্চ__৩টি_বিমান_ধ্বংস_করেন। তিনি ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খড়গবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাইফুল আজম পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র যোদ্ধা যিনি আকাশপথে লড়াই করেছেন তিনটি ভিন্ন দেশের ( পাকিস্তান, জর্ডান ও ইরাক) বিমানবাহিনীর হয়ে।

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাকে "#সিতারা_ই_জুরাত" উপাধি দেওয়া হয়।

১৯৬৭ সালে আরব- ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলের অত্যাধুনিক বিমানের সামনে আরব দেশগুলোর মাঝারি মানের বিমানগুলো পাত্তাই পাচ্ছিল না। যুদ্ধের শুরুতেই ৬ জুন জর্ডানের মাফরাক বিমান ঘাঁটির দিকে ধেয়ে আসছিল ৪ টি ইসরাইলি সুপারসনিক "ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে" জঙ্গি বিমান।সেই ঘাঁটি থেকেই ইসরাইলি বিমানের আক্রমণ ঠেকাতে হকার হান্টার জঙ্গি বিমান নিয়ে উড়াল দেন সাইফুল আজম। সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রবল বিক্রমে দুই- দুইটি ইসরাইলি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেন সাইফুল আজম। মূলত তার বীরত্বের কারণেই সেদিন ইসরাইলি পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়।এই বীরত্বের জন্য জর্ডান সরকার তাকে "#হুসাম_ই_ইস্তিকলাল উপাধিতে ভূষিত করেন।

পরদিন ৭ জুন ইরাকের এইচ থ্রি ও আল ওয়ালিদ ঘাঁটিতে দায়িত্বে থাকাকালীন ৬ টি ইসরাইলি জঙ্গি বিমান ধেয়ে আসে বিমান ঘাঁটির দিকে। আবারও সাইফুল আজমের বীরত্বে ইসরাইলি পাইলট দ্রোর "মিরেজ থ্রি সি" জঙ্গি বিমান ভূপাতিত হয়। তার এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইরাক সরকার তাকে #নওয়াত_আল_সুজা ( তার ডাক নাম ছিল সুজা) উপাধিতে ভূষিত করে।পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ৩ টি দেশের সরকার সামরিক উপাধিতে ভূষিত করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিম পাকিস্তানে আটকে পরেন তিনি। তাকে সেখানে গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের প্রশিক্ষক ছিলেন সাইফুল আজম। যুদ্ধের পর দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে ১৯৭৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

গতকাল ১৪ জুন ৭৯ বছর বয়সে এই বীর সেনানী ইন্তেকাল করেন। আজ ১৫ জুন তার জানাজার নামাজ শেষে শাহিন কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।