ব্যবহারকারী:Monojjj/নলডাঙ্গা মন্দির

১৬৫৬ সালে রাজা ইন্দ্র নারায়ন নলডাঙ্গা মন্দির পতিষ্ঠা করেন । তিনি মোট ৭টি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যে শ্রী শ্রী সিদ্ধেশরী মায়ের মন্দির,কালীমাতা মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, তারা মন্দির, দ্বিতল বিশিষ্ট বিঞ্চু মন্দির । থাম্ব

চিত্র:নলডাঙ্গা মন্দির
নলডাঙ্গা মন্দির

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রায় পাঁচশত বছর আগে এই রাজ বংশের আদি পুরুষ ভট্রারায়ন ফরিদপুরের তেলিহাটি পরগনার অধীন ভবরাসুর গ্রামে বসবাস করতেন।তারই এক উত্তরাধীকারী সুরী বিঞ্চুদাস হাজরা নলডাঙ্গার রাজ বংশ প্রতিষ্ঠা করেন।তার পিতার নাম ছিল মাধব শুভরাজ খান। বৃদ্ধ বয়সে বিঞ্চুদাস ধর্মের প্রতি বিশেষ অনুরাগী হয়ে সন্ন্যাসী হন এবং ফরিদপুরের ভবরাসুর হতে নলডাঙ্গার নিকট খড়াসিং গ্রামে চলে আসেন।বেগবতী নদীর তীরে এক জঙ্গলে তপস্যা শুরু করেন তিনি।

১৫৯০ সালে মোঘল সুবেদার মানসিংহ বঙ্গ বিজয়ের পর নৌকা যোগে বেগবতী নদী দিয়ে রাজধানী রাজমহলে যাচ্ছিলেন।তার সৈন্যরা পথিমধ্যে রসদ সংগ্রহের জন্য অনুসন্ধানে বের হয়ে বিঞ্চদাস সন্যাসীকে তপস্যারত অবস্থায় দেখতে পান।এসময় বিঞ্চুদাস সৈন্যদের খুব দ্রুত রসদ সংগ্রহ করে দেন। এতে সুবেদার মানসিংহ খুশি হয়ে সন্যাসীকে পার্শ¦তর্বী পাঁচটি গ্রাম দান করে যান।

সন্ন্যাসী ১৫৮০ সালে শ্রীমন্ত দেরায় নামে এক ছেলেকে দত্তক নেন। তিনি রণবীর খান নাম নিয়ে নলডাঙ্গা রাজ এস্টেটের প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬৪০ সালে পার্শ্ববর্তী জমিদার রাজা কেদারেশ্বর নলডাঙ্গা আক্রমণ করে দখল করে নেন। পরবর্তীকালে চণ্ডিচরণ দেবরায় কেদারেশ্বরকে হত্যা করে নলডাঙ্গা দখল করেন। দিল্লীর দরবার থেকে রাজ উপাধি লাভ করেন। তার মৃত্যুর পর ছেলে ইন্দ্র নারায়ণ রাজা হন। তিনি নলডাঙ্গায় জোড়া বাংলা প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নদী তীরে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এ মন্দিরের পাশাপাশি আরো ৭টি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।


ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে সড়কপথে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় ঝিনাইদহে যেতে পারবেন। এছাড়া, আকাশপথে যশোর পর্যন্ত পৌঁছে সেখান থেকে সড়কপথে ঝিনাইদহে পৌছাতে পারবেন। ঝিনাইদহে পৌছাতে আপনার কোন ভ্রমনজনিত কষ্ট হবে না কারন ঢাকার সাথে ঝিনাইদহের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত। এছাড়া যশোর থেকে কালীগঞ্জে বাসে করে পৌঁছে সেখান থেকে রিকশায় করে নলডাঙ্গায় যেতে পারবেন। ঝিনাইদহ শহরে রিকশাই হল পরিবহনের প্রধান মধ্যম। এছাড়া আপনি সেখানে ভ্যানও পেয়ে যাবেন। রিকশা অথবা ভ্যানে করে অল্প খরচে আপনি শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে পারবেন।

চিত্রসম্ভার

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা