ব্যবহারকারী:Md. F. Mahmud/ইংল্যান্ডের কমনওয়েলথ

 

Commonwealth of England
1649–1660
ঘটনাসমূহ
পূর্ববর্তী যুগSecond English Civil War
পরবর্তী যুগStuart Restoration (1660)
নেতা(গণ)

কমনওয়েলথ ছিল ১৬৪৯ থেকে ১৬৬০ সাল অর্থাৎ দ্বিতীয় ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি এবং প্রথম চার্লস এর বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের পরে গঠিত একটি রাজনৈতিক কাঠামো যখন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস, পরে আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের সাথে, [১] একটি একক প্রজাতন্ত্র হিসাবে শাসিত হয়েছিল। . প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছিল "ইংল্যান্ডকে কমনওয়েলথ হিসেবে ঘোষণা করার একটি আইন" এর মাধ্যমে, [২] যা ১৯ মে ১৬৪৯ সালে রাম্প পার্লামেন্ট কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল। প্রথমদিকে কমনওয়েলথের ক্ষমতা প্রাথমিকভাবে সংসদ এবং একটি রাজ্য কাউন্সিলের হাতে অর্পিত ছিল। এই সময়ে, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে, সংসদীয় বাহিনী এবং তাদের বিরোধীদের মধ্যে, আয়ারল্যান্ডের ক্রোমওয়েলিয়ান বিজয় এবং 1650-1652 সালের অ্যাংলো-স্কটিশ যুদ্ধ চলতে থাকে।

রাম্প পার্লামেন্ট বিলুপ্তির পর, ১৬৫৩ সালে আর্মি কাউন্সিল, ইনস্ট্রুমেন্ট অব গভর্নমেন্ট গ্রহন করে যা ছিল কমনওয়েলথ এর সংবিধান। এর মাধ্যমে "ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের কমনওয়েলথ" এর লর্ড প্রোটেক্টর হয়েছিলেন অলিভার ক্রোমওয়েল। বর্তমানে এটি প্রটেক্টরেট নামে পরিচিত। ক্রোমওয়েলের মৃত্যু এবং তার পুত্র, রিচার্ড ক্রমওয়েলের সংক্ষিপ্ত শাসনকালের পর, ১৬৫৯ সালে প্রটেক্টোরেট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং রাম্প পার্লামেন্ট আবার চালু হয়, যা ১৬৬০ সালে রাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে। কমনওয়েলথ শব্দটি কখনও কখনও পুরো ১৬৪৯ থেকে ১৬৬০ সময়কালের জন্য ব্যবহৃত হয় - যাকে কেউ কেউ Interregnum নামে ডাকেন - যদিও অন্যান্য ইতিহাসবিদগণ শব্দটির ব্যবহার ১৬৫৩ সালে ক্রোমওয়েলের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের আগের বছরগুলি পর্যন্ত সীমিত রাখতে চান।

অতীত পর্যালোচনায়, ইংল্যান্ডের জন্য প্রজাতন্ত্রের শাসনের সময়টি স্বল্প মেয়াদে একটি ব্যর্থতা ছিল। ১১ বছরের এই সময়ে, কয়েক মাসের বেশি মেয়াদ বিশিষ্ট কোন স্থিতিশীল সরকার ইংরেজ রাষ্ট্র শাসন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক কাঠামোর চেষ্টা করা হয়েছিল, এবং বেশ কয়েকটি সংসদ ডাকা হয়েছিল এবং বসেছিল, কিন্তু অর্থবহ, স্থায়ী আইনের পথে খুব কমই কৃতকার্য হয়েছিল। এটিকে একত্রিত রাখার একমাত্র শক্তি ছিল অলিভার ক্রোমওয়েলের ব্যক্তিত্ব, যিনি সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করেছিলেন। আর এটা করেছিলেন সামরিক বাহিনীর মেজর-জেনারেল এবং নিউ মডেল আর্মির অন্যান্য সিনিয়র সামরিক নেতাদের মাধ্যমে। তাঁর মৃত্যু এবং তাঁর পুত্রের সংক্ষিপ্ত প্রশাসনের পর ক্রমওয়েলের শাসন কেবল নৈরাজ্যের মধ্যেই ভেঙে পড়েনি, তিনি যে রাজতন্ত্রকে উৎখাত করেছিলেন তা ১৬৬০ সালে পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং এর প্রথম কাজ ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান আমলের যেকোনো সাংবিধানিক সংস্কারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলা। তবুও, নিউ মডেল সেনাবাহিনীর সৈন্যরা এ প্রক্রিয়াকে গুড ওল্ড কজ নামে দীর্ঘদিন মনে রেখেছিল। এটি ইংরেজ রাজনীতিতে প্রচলিত ছিল এবং অবশেষে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়েছে ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]</link>[ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]

টমাস ফেয়ারফ্যাক্স, অলিভার ক্রমওয়েল এবং নিউ মডেল আর্মির সামরিক সাফল্যের জন্য কমনওয়েলথ সময়কালকে ভালভাবে স্মরণ করা হয়। ইংরেজ গৃহযুদ্ধে অসাধারণ বিজয়ের পাশাপাশি, রবার্ট ব্লেকের নেতৃত্বে নৌবাহিনীর সংস্কার, প্রথম অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধে ডাচদের পরাজয়, যা ইংল্যান্ডের নৌ-আধিপত্যের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। আয়ারল্যান্ডে, কমনওয়েলথ সময়কালকে স্মরণ করা হয় ক্রোমওয়েলের আইরিশদের নৃশংস পরাধীনতার জন্য, যা টিউডর এবং স্টুয়ার্টের সময়েও অব্যাহত ছিল।

১৬৪৯-১৬৫৩ সম্পাদনা

রাম্প পার্লামেন্ট সম্পাদনা

পূর্বসূরী
Charles I
in England & Ireland
Commonwealth of England
1649–1653
উত্তরসূরী
Oliver Cromwell
The Protectorate 1653–1658
পূর্বসূরী
The Covenanters
in Scotland
পূর্বসূরী
Richard Cromwell
The Protectorate 1658–1659
Commonwealth of England
1659–1660
উত্তরসূরী
Charles II
Stuart Restoration

রাম্পটি তৈরি করা হয়েছিল Pride's Purge এর মাধ্যমে। Pride's Purge হচ্ছে এমন এক ঘটনা যা ঘটেছিল ৬ ডিসেম্বর, ১৬৪৮ সালে যখন নিউ মডেল আর্মির প্রধান সেনাসদস্যগণ, যেসব পার্লামেন্ট সদস্য তাদের প্রতি বিরূদ্ধ ভাবাপন্ন ছিল, তাদের হাউজ অব কমনস্ এ ঢুকতে বাধা দেয়। রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুদন্ডের ঠিক আগে এবং পরে ৩০ জানুয়ারী, ১৬৪৯ এ রাম্প বেশ কয়েকটি আইন পাস করে যা প্রজাতন্ত্রের আইনী ভিত্তি তৈরি করে।

রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির সাথে সাথে, প্রিভি কাউন্সিল এবং হাউস অব লর্ডস, নির্বাহী ও আইনগত ক্ষমতা পরিত্যাগ করে। দ্য ইংলিশ কাউন্সিল অফ স্টেট, যা প্রিভি কাউন্সিলকে প্রতিস্থাপন করেছিল, রাজতন্ত্রের অনেক নির্বাহী কার্যাবলী গ্রহণ করেছিল। এটি রাম্প দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিল এবং এর বেশিরভাগ সদস্য ছিলেন এমপি। যাইহোক, রাম্প ছিল সেনাবাহিনীর সমর্থনের উপর নির্ভরশীল এবং এটি খুব অস্বস্তিকর সম্পর্ক ছিল৷ প্রথম চার্লসের মৃত্যুদণ্ডের পর, হাউস অফ কমন্স রাজতন্ত্র এবং হাউস অফ লর্ডস বিলুপ্ত করে। এটি ঘোষণা করে ইংল্যান্ডের জনগণক, এর অধীনস্থ সমস্ত অঞ্চল এখন থেকে একটি "কমনওয়েলথ"এর শাসনের অধীনে থাকবে,[৩] যা প্রকৃতপক্ষে একটি প্রজাতন্ত্র হবে!

গঠন সম্পাদনা

প্রাইড'স পার্জে, পার্লামেন্টের সকল সদস্যকে (অধিকাংশ রাজনৈতিক প্রেসবিটারিয়ান সহ) যারা রাজাকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করবেন না তাদের অপসারণ করা হয়েছিল। এই কারণে রাম্পে কখনোই দুইশত এর অধিক সদস্য ছিল না ( যা মূল লং পার্লামেন্টে কমন্সের সংখ্যার অর্ধেকেরও কম)। তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতাবাদের সমর্থক, যারা একটি প্রতিষ্ঠিত গির্জা চায় না এবং যাদের মধ্যে কিছু লেভেলারদের প্রতি সহানুভূতি ছিল। তাদের সহানুভূতি অর্জনকারীদের তালিকায় আরোও ছিলেন প্রেসবিটেরিয়ানরা যারা রাজার বিচার ও মৃত্যুদণ্ডকে বাস্তবায়ন করতে চাইত এবং পূর্বে বহিষ্কৃত এমপিরা যারা রাজার সাথে নিউপোর্ট চুক্তির আলোচনাকে নিন্দা করতে প্রস্তুত ছিলেন।

বেশিরভাগ রাম্পারই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছিলেন, যদিও আগের সংসদগুলির তুলনায় সেখানে কম সুশীল ও আইনজীবীদের অনুপাত বেশি ছিল। তাদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশেরও কম ছিল রেজিসাইড । এটি রাম্পকে মূলত একটি রক্ষণশীল সংস্থা হিসাবে পরিণত করে যার অন্তর্ণিহিত উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যমান জমির মালিকানা এবং সংস্কারবিহীন আইনি ব্যবস্থা।

সমস্যা এবং অর্জন সম্পাদনা

 
ইংল্যান্ডের জনগণকে কমনওয়েলথ এবং মুক্ত-রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা এবং গঠন করার আইনের ২১ শতকের সংস্করণ ১৯ মে ১৬৪৯ সালে প্রণীত হয়েছিল

কমনওয়েলথের প্রথম দুই বছর, রাম্প অর্থনৈতিক মন্দা এবং স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে আক্রমণের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল। ১৬৫৩ সালের মধ্যে ক্রমওয়েল এবং সেনাবাহিনী এই হুমকিগুলিকে অনেকাংশে প্রতিহত করেছিল।

রাম্পের দলগুলোর মধ্যে অনেক মতানৈক্য ছিল। কেউ কেউ একটি প্রজাতন্ত্র চেয়েছিলেন, কিন্তু অন্যরা চেয়েছিলেন কিছুটা রাজতন্ত্র ধরনের সরকার ধরে রাখতে। ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ ঐতিহ্যবাহী শাসকবর্গ রাম্পকে রেজিসাইড এবং আপস্টার্ট দিয়ে গঠিত একটি অবৈধ সরকার হিসাবে মনে করে। যাইহোক, তারা এ ব্যপারেও সচেতন ছিল যে রাম্প হয়তো এমন সব কিছু যা সরাসরি সামরিক একনায়কত্বের পথে প্রতিববন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। উচ্চ কর যা মূলত সেনাবাহিনীকে প্রতিপালন করার জন্য ছিল, তা সুশীর সমাজের সমর্থন হারিয়েছিল। সীমিত সংস্কার শাসক শ্রেণীর বিরোধীতার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু মৌলবাদীদের সন্তুষ্ট করার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।

জনপ্রিয়তা না থাকা সত্ত্বেও, রাম্প ছিল পুরোন সংবিধানের সাথে একটি যোগসূত্র এবং ইংল্যান্ডকে স্থিতিশীল হতে এবং এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভ্যুত্থানের পরে এটিকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছিল। ১৬৫৩ সালের মধ্যে, ফ্রান্স এবং স্পেন ইংল্যান্ডের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।

সংস্কার সম্পাদনা

চার্চ অফ ইংল্যান্ড বহাল থাকলেও, এপিস্কোপ্যাসি (বিশপদের সংগঠন) দমন করা হয়েছিল এবং ১৬৫০ সালের সেপ্টেম্বরে অভিন্নতা আইন ১৫৫৮ বাতিল করা হয়েছিল [৪] প্রধানত সেনাবাহিনীর চাপে, অনেক স্বাধীন গীর্জা মেনে নেয়া হয়েছিল, যদিও প্রত্যেককে এরপরও আয়ের দশমাংশ প্রতিষ্ঠিত গির্জাকে দিতে হয়েছিল।

আইন ও আদালতের পদ্ধতিতে কিছু ছোটখাটো উন্নতি করা হয়েছিল; উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমস্ত আদালতের কার্যক্রম তখন আইন ফ্রেঞ্চ বা ল্যাটিন ভাষায় না হয়ে ইংরেজিতে পরিচালিত হতো। [৫] তবে সাধারণ আইনের ব্যাপক সংস্কার হয়নি। এটি সুশীলদের বিরক্ত করে থাকবে, যারা সাধারণ আইনকে তাদের মর্যাদা এবং সম্পত্তির অধিকারের মূল শক্তি বলে মনে করে।

রাম্প মানুষের নৈতিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বিধিনিষেধমূলক আইন পাস করেছে, যেমন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া এবং রবিবার কঠোরভাবে পালন। ইস্টার এবং ক্রিসমাস উদযাপন নিষিদ্ধ করে আইনও প্রচলন করা হয়েছিল। [৬] যদিও অধিকাংশ সুশীর এটির বিরোধিতা করেছিল।

সমাপ্তি সম্পাদনা

থমাস হ্যারিসনের সহায়তায় ক্রমওয়েল, ২০ এপ্রিল ১৬৫৩-এ অস্পষ্ট কিছু কারণে জন্য জোরপূর্বক রাম্প বরখাস্ত করেন। তত্ত্বগুলি হল যে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে রাম্প নিজেকে সরকার হিসাবে স্থায়ী করার চেষ্টা করছে, বা রাম্প এমন একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল যা কমনওয়েলথ বিরোধী সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরিয়ে দিতে পারে। রাম্পের অনেক প্রাক্তন সদস্য নিজেদেরকে ইংল্যান্ডের একমাত্র বৈধ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করতে থাকেন। রাম্প তার নিজের বিলুপ্তিতে সম্মত হয়নি; তাদের আইনি, সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী এটি বেআইনি ছিল। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি ছিল চার্লসের concessionary Act যাতে বলা হয়েছে নিজস্ব সম্মতি ছাড়া সংসদ ভেঙে দেওয়া নিষিদ্ধ। 1641 সালের 11 মে, যার ফলে সমগ্র কমনওয়েলথ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৃষ্টিতে দীর্ঘ পার্লামেন্টের শেষ বছর ছিল।

বেয়ারবোনের সংসদ, জুলাই-ডিসেম্বর 1653 সম্পাদনা

 
১৬৫৩ সালের একটি সোনার মূদ্রা

রাম্পের বিলুপ্তি ঘটে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ে যার মধ্যে ক্রমওয়েল এবং সেনাবাহিনী একাই শাসন করেছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক কর্তৃত্ব কারোরই ছিল না। কিন্তু ক্রমওয়েল সামরিক একনায়কত্ব জনগণের উপরে চাপিয়ে দিতে চাননি। বরং, তিনি একটি "মনোনীত সংসদের" এর মাধ্যমে শাসন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে সেনাবাহিনীর পক্ষে একে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে কারণ সেনা কর্মকর্তারাই মনোনয়নের কাজ করেছিলেন।

বেয়ারবোনের পার্লামেন্ট প্রাক্তন রাম্পারদের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল এবং অনেক সুশীল ব্যক্তি একে নিকৃষ্ট লোকদের সমাবেশ বলে উপহাস করেছিল। এর ১৪০ জন সদস্যের মধ্যে ১১০ জনেরও বেশি ছিলেন সুশীল সমাজের বাইরের বা খুব একটা উচ্চ সামাজিক মর্যাদার অধিকারী নন। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন প্রেজ-গড বারবোন, যিনি একজন ব্যাপ্টিস্ট বণিক, যার নামানুসারে অ্যাসেম্বলি তার অবমাননাকর ডাকনাম পেয়েছিল। তবে এদের অনেকেই সুশিক্ষিত ছিলেন।

সংসদটি ছিল যে সকল কর্মকর্তা এর সদস্যদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। র‌্যাডিকেলগণের (প্রায় ৪০) অন্তর্ভূক্ত ছিল পঞ্চম রাজতন্ত্রবাদীদের একটি চরমপন্থি দল যারা সাধারণ আইন এবং ধর্মের যে কোনো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলো। মডারেটরা (প্রায় ৬০ জন) বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে কিছু উন্নতি চেয়েছিল। কোন ইস্যুর উপর নির্ভর করে র্যাডিকাল বা রক্ষণশীল যেকোন পক্ষই তারা নিত। কনজারভেটিভরা (প্রায় ৪০ জন) স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চেয়েছিল, যেহেতু সাধারণ আইন সুশীলদের স্বার্থ ও তাদের মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করে।

ক্রমওয়েল, বেয়ারবোনের পার্লামেন্টকে একটি অস্থায়ী আইন প্রণয়নকারী সংস্থা হিসাবে দেখেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন যে এটি প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার করবে এবং কমনওয়েলথের জন্য একটি সংবিধান তৈরি করবে। যাইহোক, মূল বিষয়গুলি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। মাত্র ২৫ জনের পূর্ববর্তী সংসদীয় অভিজ্ঞতা ছিল। যদিও অনেকের অনুল্লেখযোগ্য কিছু আইনী প্রশিক্ষণ ছিল, তবে সেখানে কোনও যোগ্য আইনজীবী ছিল না।

ক্রমওয়েল আশা করেছিলেন এই অপেশাদারদের দল ব্যবস্থাপনা বা নির্দেশনা ছাড়াই প্রচলিত বিধানের সংস্কার আনবে। যখন র‌্যাডিকেলরা এমন একটি বিলকে বাধা দেয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন জোগাড় করে যা ধর্মের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখত, তখন রক্ষণশীলরা, অনেক মধ্যপন্থীদের সাথে মিলিত হয়ে, তাদের কর্তৃত্ব ক্রমওয়েলের কাছে সমর্পণ করে, যিনি সৈন্য পাঠিয়েছিলেন বিধানসভার বাকি অংশকে অপসারণ করার জন্য। এর মধ্য দিয়ে বেয়ারবোনের সংসদের যবনিকাপাত হয়ে গেল।

দ্য প্রোটেক্টরেট, ১৬৫৩-১৬৫৯ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:History of Englandটেমপ্লেট:History of England

 
লর্ড প্রটেক্টর হিসেবে অলিভার ক্রোমওয়েলের অস্ত্র, ১৬৫৫ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত গ্রেট সিলে ব্যবহৃত হয়েছিল [৭]

১৬৫৩ সাল জুড়ে, ক্রমওয়েল এবং সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে কমনওয়েলথ রাজ্যের রাস্ট্রযন্ত্র ভেঙে দেয়। ইংলিশ কাউন্সিল অফ স্টেট, যেটি পূর্বে রাজা এবং তার প্রিভি কাউন্সিল দ্বারা অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কার্যভার গ্রহণ করেছিল, ২০ এপ্রিল ক্রোমওয়েল জোরপূর্বক তা বিলুপ্ত করেন। এর জায়গায় ক্রোমওয়েলের নিজস্ব নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পূর্ণ একটি নতুন কাউন্সিল স্থাপিত হয়েছিল। বেয়ারবোনের পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার তিন দিন পর, ক্রোমওয়েলের কাউন্সিল কর্তৃক <a href="https://en.wikipedia.org/wiki/Instrument_of_Government" rel="mw:ExtLink" title="Instrument of Government" class="cx-link" data-linkid="207">Instrument of Government</a> গৃহীত হয় যা একটি নতুন রাষ্ট্রীয় কাঠামো। বর্তমানে ঐতিহাসিকভাবে এটি দ্য প্রোটেক্টরেট নামে পরিচিত। এই নতুন সংবিধান লর্ড প্রোটেক্টর হিসাবে ক্রোমওয়েলকে অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা প্রদান করে। একটি দপ্তর যা বিদ্রূপাত্মকভাবে রাজতন্ত্রের অধীনে রাজার মতো একই ভূমিকা এবং ক্ষমতার অধিকারী ছিল এবং এটি ক্রোমওয়েলের সমালোচকগণ ভুলে যাননি।

১২ এপ্রিল ১৬৫৪-এ, টেন্ডার অফ ইউনিয়নের শর্তাবলীর অধীনে, স্কটল্যান্ডকে ইংল্যান্ডের সাথে একটি কমনওয়েলথে একত্রিত করার অধ্যাদেশ লর্ড প্রটেক্টর দ্বারা জারি করা হয়েছিল এবং স্কটল্যান্ডে এটি জারী করেছিলেন সামরিক গভর্নর জেনারেল জর্জ মনক, আলবেমারলের প্রথম ডিউক। অধ্যাদেশটি ঘোষণা করেছিল যে "স্কটল্যান্ডের জনগণকে ইংল্যান্ডের জনগণের সাথে একটি কমনওয়েলথ এবং একটি সরকারের অধীনে একত্রিত করা উচিত" এবং আদেশ দেওয়া হয়েছিল যে সল্টাইরকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নতুন " কমনওয়েলথের আর্মস ", সমস্ত পাবলিক সিলগুলিতে স্থাপন করতে হবে।, অফিসের সীলমোহর, এবং সিভিল বা কর্পোরেট সংস্থার সিল, স্কটল্যান্ডে "এই ইউনিয়নের একটি ব্যাজ" হিসাবে পরিগণিত হবে। [৮] [১]

প্রথম সংরক্ষিত সংসদ সম্পাদনা

ক্রোমওয়েল এবং তার কাউন্সিল অফ স্টেট ১৬৫৪ সালের প্রথম কয়েক মাস ৮৪ টি বিলের একটি সেট তৈরি করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই বিলগুলি প্রথম প্রটেক্টোরেট পার্লামেন্টের বিবেচনার জন্য উত্থাপিত হবে। সংসদ সদস্যগণ অবাধে নির্বাচিত হয়েছিল (যতটা অবাধ নির্বাচন ১৭ শতকে হতে পারে ততটা অবাধ) এবং সেই হিসাবে, সংসদটি অসংখ্য রাজনৈতিক স্বার্থে পরিপূর্ন ছিল এবং এর ফলে এর কোনো লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ক্রোমওয়েলের প্রস্তাবিত কোনো বিল পাশ না করায় ক্রোমওয়েল কর্তৃক অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথেই এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

  • অ্যাংলো-স্প্যানিশ যুদ্ধ (১৬৫৪-১৬৬০)
  • ইংরেজি Interregnum এর পতাকা
  • ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টের অধ্যাদেশ এবং আইনের তালিকা, ১৬৪২-১৬৬০
  • নাইট, ব্যারোনেট এবং প্রোটেক্টরেটের সহকর্মীরা
  • যুক্তরাজ্যে রিপাবলিকানিজম

মন্তব্য সম্পাদনা

  1. Schultz 2010
  2. Wikisource:An Act declaring England to be a Commonwealth
  3. HMSO 1911
  4. 27 September 1650 "Act for the Repeal of several Clauses in Statutes imposing Penalties for not coming to Church" (Firth ও Rait 1911)
  5. "November 1650: An Act for turning the Books of the Law, and all Proces and Proceedings in Courts of Justice, into English. | British History Online"www.british-history.ac.uk 
  6. Durston, Chris (১৯৮৫), "Lords of Misrule: The Puritan War on Christmas 1642-60", History Today, 35 (12), History Today Ltd 
  7. Culture 24। "Parliament Week: A Cromwellian Act and Seal from the Cromwell Museum"। Culture24.org.uk। ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৫ 
  8. Sevaldsen 2007, পৃ. 39।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • Firth, C. H.; Rait, R. S., সম্পাদকগণ (১৯১১), "September 1650: Act for the Repeal of several Clauses in Statutes imposing Penalties for not coming to Church", Acts and Ordinances of the Interregnum, 1642–1660, পৃষ্ঠা 423–425 
  • "March 1649: An Act for the abolishing the Kingly Office in England and Ireland, and the Dominions thereunto belonging", Acts and Ordinances of the Interregnum, 1642–1660., London: His Majesty's Stationery Office, ১৯১১, পৃষ্ঠা 18–20 
  • Schultz, Oleg, সম্পাদক (১৪ মার্চ ২০১০), "Scotland and the Commonwealth: 1651–1660", Archontology.org, সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১২ 
  • Sevaldsen, Jørgen; ও অন্যান্য (২০০৭), Angles on the English-Speaking World, V.7: The State of the Union: Scotland, 1707–2007, Museum Tusculanum Press, পৃষ্ঠা 39, আইএসবিএন 978-87-635-0702-8 

বাহ্যিক লিঙ্ক সম্পাদনা

[[বিষয়শ্রেণী:প্রাক্তন প্রজাতন্ত্র]] [[বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের প্রাক্তন রাষ্ট্র]]