ব্যবহারকারী:MPHS1972/মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

টেমপ্লেট:ব্যবহারকারীর মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কের পাশে অবস্থিত। ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্পাদনা

১৯৫২ সালে মরিচপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয় (ম্যানেজড ফ্রি প্রাইমারি স্কুল) স্থাপিত হয় যা পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণের মাধ্যমে মরিচপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামকরণ হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই এ এলাকার জনগণ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ১৯৭২ সালে তৎকালীন নড়াইল মহাকুমার এমপি লে. মতিয়ার রহমান (জন্ম : ০১ ডিসেম্বর ১৯৩৬, মৃত্যু : ০৫ মে ১৯৮৬) মোল্লার মাঠ, লক্ষীপাশার জনসভায় এ এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। জনসভায় মরিচ পাশা গ্রামের আব্দুল ওহাব সরদার (মৃত্যু: ১৩ আগষ্ট ২০১৫) উপস্থিত ছিলেন। তিনি গ্রামে এসে জনসভায় লে. মতিয়ার রহমানের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তখনই গ্রামবাসী মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জনৈক বৃদ্ধা মহিলার (হান্নুর মা) নিকট তার টিনের গোয়াল ঘর অনুদান হিসাবে চায়। অগ্রমনা মহিলা গ্রামবাসীর প্রস্তাবে রাজি হন। তাছাড়া, গ্রামবাসী বিদ্যলয়ের জন্য সাধ্যমত দানকৃত অর্থ দিয়ে (তখন প্রায় ১০০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা প্রয়োজন ছিল) দীঘলিয়ার এক হিন্দুব্যক্তির নিকট থেকে আরো একটি টিন শেড ক্রয় করে মরিচপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে। জনাব এস এম আজিজুল হক, প্রধান শিক্ষক (মরিচপাশা),; জনাব শিকদার সিরাজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (চাচই); জনাব মোঃ ফরিদুল আলম, মৌলভি শিক্ষক (ঝামা); জনাব সাজেদুল আলম, সহকারী শিক্ষক (মরিচপাশা); জনাব দুলাল চন্দ্র সরকার, সহকারী শিক্ষক (স্বেচ্ছায় পাঠদানকারী) ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (মরিচপাশ); জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (স্বেচ্ছায় পাঠদানকারী) ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (মরিচপাশ) এই ০৬ জন শিক্ষক নিয়ে মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তখন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমোদন ছিল। প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার (মরিচপাশা)। বিদ্যালয়টি স্থাপনের পেছনে গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনাব মৃত রাফিউদ্দীন সরদার (মরিচপাশা), জনাব মৃত আমির হোসেন (মরিচপাশা), জনাব মৃত ডা. মোহশীন আলী জমাদ্দার (মরিচপাশা), জনাব আবু বকর সরদার (মরিচপাশা), জনাব মৃত আব্দুল ওহাব সরদার (মরিচপাশা) প্রমুখ। একই সময়ে আড়পাড়া গ্রামের প্রগতিমনা ব্যক্তি জনাব মৃত সৈয়দ নুরুল আজম (বাবু) তাঁর পিতা জনাব নায়েব আলী ও চাচা জনাব সৈয়দ আলীর নামে আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নায়েব আলী সৈয়দ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেও একই ক্যাচমেন্ট এলাকায় (তিন কিলোমিটার) মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্বীকৃত বিদ্যালয় থাকায় কোন অনুমোদন ছিল না। তখন নড়াইল ছিল বরিশাল বোর্ডের অধীন। দুই গ্রামের জনগন তখন সম্মিলিত বিদ্যালয় স্থাপনের রাজি হন কারণ একই এলাকায় দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলে শিক্ষার্থী পাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু নামকরণ নিয়ে আসল বিপত্তি বাধে। আড়পাড়া গ্রামের জনগন বিশেষত নুরুল আজম (বাবু) বিদ্যালয়ের জমির বৃহৎ অংশ দান করে মরিচপাশা-আড়পাড়া নায়েব আলী-সৈয়দ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টির নামকরণের প্রস্তাব করেন। অপরদিকে মরিচপাশা গ্রামের জনগন চাচ্ছিল আগের নামই অর্থাৎ মরিচ পাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকুক। এই বিপত্তি সমাধানের জন্য নড়াইল মহাকুমা প্রশাসন জনাব আব্দুল মান্নান, শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করে দেয়। মরিচপাশা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিশেষত জনাব মৃত রাফিউদ্দীন সরদার (মরিচপাশা), জনাব মৃত আমির হোসেন (মরিচপাশা), জনাব মৃত ডা. মোহশীন আলী জমাদ্দার (মরিচপাশা) সহ আরো অনেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আব্দুল মান্নান নিকট যান। তিনি প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে জনাব মৃত আমির হোসেন (মরিচপাশা), জনাব মৃত ডা. মোহশীন আলী জমাদ্দার (মরিচপাশা), জনাব আবু বকর সরদার (মরিচপাশা), জনাব মৃত আব্দুল ওহাব সরদার (মরিচপাশা) এর সাথে সাক্ষাৎ করে স্বীকৃতি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, জনাব আব্দুল মান্নান ছিলেন আব্দুল ওহাব সরদারের সহপাঠী। উক্ত স্বীকৃতিপত্র ও লে: মতিয়ার রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। তখন নুরুল আজম (বাবু) এর দানকৃত জমির বৃহৎ অংশ এবং মরিচপাশা গ্রামের জনগন ক্রয়কৃত বাকি জমির উপর মরিচপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত অবকাঠামোগুলো স্থানান্তর করে স্থাপন করা হয়। এছাড়াও উভয় গ্রামের জনগনের সাধ্যমত অনুদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল অত্র এলাকার আজকের এই সনামধন্য বিদ্যাপীঠ ‘মরিচ পাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকমন্ডলী সম্পাদনা

প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক মন্ডলী সম্পাদনা

প্রাক্তন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিবৃন্দ সম্পাদনা

বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সম্পাদনা