ব্যবহারকারী:Khandaker Akramul Huda/নতুন নিবন্ধ লেখার স্থান

বীর মুক্তি যোদ্দা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সংস্ক্রিতিক ব্যাক্তিত্ব ও জ্ঞান সাধক, ডঃ এম. এ. রহমান। (১৯৩৮ -২০১২) উনি পাকিস্তান পিরিয়ডে নারায়ণগঞ্জ তুলারাম কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করেন ও আদমজী জুট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। উনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ শাখার কচিকাঁচা ভিবাগের সম্পাদক ছিলেন। জনশ্রুতি আছে যে, ছোট বেলায় উনার এলেকায় কিং লিয়ার মঞ্চ নাটক করে প্রথম স্থান অর্জন করেন ও তৎকালীন পাকিস্তানি ডিসির কাছ থেকে পুরুস্কার গ্রহণ করেন, কসবা খেলাঘর উনার হাতে প্রতিষ্ঠা পায়। উনি বাম-রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, মুজাফ্ফর ন্যাপ করতেন, স্বাধীনতা উত্তর সময় বট গাছ মার্কায় কসবা অঞ্চল থেকে এম পি ইলেকশন এ দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং বর্তমার সময়ের অনেক নেতার সাথে কারা ভোগ ও করেছেন। পরবর্তীতে উনি জয় কালী মন্দির হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল থেকে পাস করেন, উনি একজন হোমিওপ্যাথির উঁচুমানের চিকিৎসক ছিলেন। উনার সময়ে উনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমিতির পর পর ৫ বার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। উনি একজন জ্ঞান সাধক ছিলেন এবং উনার কিছু ব্যাতিক্রমি বৈশিষ্টও ছিল যা কিনা উনার এলাকা সহ অনেকের কাছে সর্ব স্বীকৃত। উনি পশু পাখিদের খুব ভালো বাসতেন, উনার কাছে অনেক কুকুর, বিড়াল, ছাগল, পাখি, প্রজাপতি ইত্যাদি পশু-পাখি-কীটপতঙ্গ আসতো। অবাস্ত হলেও সৎ যে, জীবনের শেষ কয়েক বছর উনাকে আমাদের মতো দৈনিন্দন প্রাকৃতিক কাজের জন্য কোনো টয়লেট ব্যাবহার করতে দেখা যায়নি। উনি ছিলেন সৎ, চির কুমার, মুসলিম একমাত্র ব্রহ্মচারী। উনার নিজের ইচ্ছায় মৃত্যুর পর পূবে পশ্চিমে কবর দেয়া হয়। উনার ছাত্রজীবন থেকেই জীবন ছিল কষ্টের ও বৈচিত্রময়।