বর্তমানে যারা ফুটবল ভালো বোঝেন তারা অনেকেই ফলস নাইন (FALSE NINE) শব্দটি শুনে থাকবেন। এটি বর্তমানে ফুটবলের একটি উন্নত কৌশল যার মাধ্যমে আক্রমনাত্বক দলটি অপর দল থেকে পুরো ৯০ মিনিট এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারে। আসুন আপনাদের এটি নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি।

false 9:- একটি উপায়, একটি আরো উন্নত আক্রমণ যার মাধ্যমে মাঝমাঠের খেলোয়াড়/ প্লেমেকার ফরোয়ার্ড এর দায়িত্ব পালন করে কিন্তু সবার অজান্তেই! এর উদ্দেশ্য হল যে, সেন্টার ব্যাক সর্বদা স্ট্রাইকারকে অনুসরন করবে, তাকে বোকা বানিয়ে ড্রিবলিং এর মাধ্যমে ফরোয়ার্ড মাঠের মাঝখানে নিয়ে আসবে আর পোস্ট থেকে সেই সেন্টার ব্যাক এর দুরত্ত্ব বারিয়ে দিবে। তখন সবার নজর থাকবে সেন্টার ফরোয়ার্ডের দিকে। কিন্তু তিনি বল পাস দিয়ে দিবে অপর খেলোয়াড়/ প্লেমেকার এর দিকে সেই ফাকা স্থান দিয়েই যা সেন্টার ব্যাক বোকা হয়ে বানিয়ে দিয়ে গেছেন। তখন ফরোয়ার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে সেই প্লেমেকার। কোনো সেন্টার ব্যাক এর বাধা সে পাবে না। :)

প্রথম উদাহরণ- লুসিয়ানো স্পালেত্তি ফলস নাইনের সূচনা করেন। তিনি তার উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা "4-6-0" ফর্মেশনে ফ্রান্সিস্কো টট্টিকে ফলস নাইন হিসেবে খেলিয়েছিলেন ইতালিয়ান ক্লাব রোমায়, তিনি ১১ ম্যাচ প্রচেস্টার পর জয়লাভ করেছিলেন এই কৌশল দিয়ে। মেসিকেও false 9 হিসাবে ব্যবহার করেন বার্সেলোনার তত্‍কালীন কোচ পেপ গার্দিওলা। বর্তমান কোচ টিটো ভিলানোভা মিডফিল্ডার সেস'কেও কয়েক ম্যাচে ব্যবহার করেছেন ফলস নাইন হিসেবে। আর্সেনালের আর্সেন ওয়েঙ্গার ব্যাবহার করেছেন রবিন ফন পার্সি কে।

তবে ফলস নাইন সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় ইউরো ২০১২ তে। ঐ আসরে চ্যাম্পিয়ন স্পেন দলের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক প্লেমেকার সেস ফ্যাব্রিগাস কে false 9 হিসেবে খেলিয়েছেন এবং ঐ আসরে স্পেন খেলে ৪-৬-০ ফরমেশনে। পুরো টুর্নামেন্টে ফলস নাইন হিসেবে খেলে বেশ জনপ্রিয়তা পান [সেস ফ্যাব্রিগাস|সেস]! তিনি ঐ টুর্নামেন্টে ২ টি গোল করার পাশাপাশি করানও ২ টি।

লিখেছেনঃ জিশান তাওহীদ সম্পাদনাঃ দ্বিতীয় পুরুষ