ব্যবহারকারী:Diadem1/খেলাঘর
এটি Diadem1-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? |
তপন রায় চৌধুরী ছিলেন একজন ইতিহাসবিদ, গবেষক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট এন্টনি কলেজের ইতিহাস বিভাগে রিডার পদে নিযুক্ত ব্যক্তিত্ব।[১]
জন্ম
সম্পাদনা১৯২৬ সালের ৮ মে তারিখে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করলেও অধ্যাপনার সুবাদে ভারতীয় নাগরীক হিসাবে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডেই গড়ে ছিলেন স্থায়ি নিবাস।[১][২]
শিক্ষা
সম্পাদনাতার শৈশব কাটে বরিশালে। তিনি কীর্তিপাশা হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান লাভ করেন। এর পর তিনি শুরতে স্কটিশ চার্চ কলেজে ও প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়াশোনা করে অধ্যাপনার মাধ্যমেই কর্মজীবন আরম্ভ করেন। দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্সে কিছুদিন অধ্যাপনায় নিযুক্ত ছিলেন। উচ্চশিক্ষায়ও তার যোগ্যতার প্রমাণ মিলে। প্রথমে কলকাতা ও পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দুটি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।[১][২]
পেশা
সম্পাদনা১৯৭৩ খৃষ্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট এন্টনি কলেজের ইতিহাস বিভাগে রিডার পদে যোগদান করেন তপন রায় চৌধুরী। অধ্যাপনা করেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এ পদে থেকেই। স্থায়ী নিবাস স্থাপন করেন অক্সফোর্ড থেকে অবসর নিয়ে অক্সফোর্ডেই।
রচনা সমূহ
সম্পাদনাতার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনার মধ্যে কতিপয়[১] নিম্নে তালিকাভূক্ত করা হল:
- জন কোম্পানি ইন করোমন্ডল কোস্ট (১৯৬২)
- কেমব্রিজ ইকোনমিক হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (সহ-সম্পাদক ইরফান হাবিব (১৯৬২)
- বেঙ্গল আন্ডার আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গীর (১৯৬৯)
- ইউরোপ রিকন্সিডার্ড: পারসেপশন্স অব দ্য ওয়েস্ট ইন নাইনটিন সেঞ্চুরি বেঙ্গল (১৯৮৮)
- পারসেপশন্স, ইমোশন্স, সেন্সিবিলিটিজ: এসেজ অন ইন্ডিয়াজ কলোনিয়াল অ্যান্ড পোস্ট কলোনিয়াল এক্সপেরিয়েন্স (২০০৬)
আত্মজীবনী
সম্পাদনাগবেষণার পাশাপাশি তপন রায়চৌধুরী আত্মজীবনীর নানাদিক নিয়ে লিখেছেন তিনবার[১] তিনটি আলাদা গ্রন্থে:
- রোমন্থন অথবা ভীমরতি প্রাপ্তর পরচরিতের চর্চা (১৯৯৩)
- বাঙ্গালনামা (২০০৭)
- দ্য ওয়ার্ল্ড ইন আওয়ার টাইম : এ মেমোয়ার (২০১২)
স্বীকৃতি
সম্পাদনাপেশাগত দক্ষতার আলোকে তিনি অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।[১] এর কতিপয় হল:
- অ্যামেরিকান হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গোল্ড মেডেল, ১৯৯০
- ডক্টর অব লেটার্স, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ১৯৯৩
- ডক্টর অব লেটার্স, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালকাটা, ২০০৫
- পদ্মভূষণ (ভারত), ২০০৭
- ন্যাশনাল রিসার্চ প্রফেসর (ভারত), ২০১০
অনুপ্রেরণা
সম্পাদনানয় খণ্ডে প্রকাশিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস রচনায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক উইলিয়াম রাদিচ উদ্বুদ্ধ হওয়ার পেছনে তপন রায় চৌধুরীর ভূমীকা স্মরণীয়।[১] তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বতন্ত্র বিদ্যাচর্চার বিষয়াদিকে বিশ্ববিদ্যার পাশাপাশি ভারত বিদ্যারুপে বিশ্বময় সর্বত্র প্রসার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাদীর্ঘ দুই বছর অসুস্থতায় ভূগে নভেম্বর ২৬, ২০১৪ সালে তিনি অক্সফোর্ডের নিজ নিবাসে মৃত্যু বরণ করেন।[১][২]