'

গ্রামের খাল বিল হাওড়-বাওড় কিংবা নদীতে মাছ ধরার পুরনো পদ্ধতি আর উপকরণের একটি হচ্ছে বাঁশের তৈরী চাঁই। এই চাঁই বুনে এবং সেটা দিয়ে মাছ ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ জীবনযাপন করছে। বর্ষার শুরু থেকে এ অঞ্চলের খাল-বিল ও নদী-নালায় শুরু হয় চাঁই দিয়ে মাছ ধরা। বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ দিয়ে খালে, বিল-বাঁওড়ে ১৪-২৫ ফিট ফাঁকে ফাঁকে বসানো হয় একটি করে চাঁই। পানিতে চাঁই বসানো হয় মূলত টাকি ও চিংড়ি মাছ শিকারের জন্য। কিন্তু ধরা পড়ে পুঁটি, বেলে, টেংরাসহ সব প্রকারের ছোট মাছ। চাঁইয়ের মধ্যে মাছের টোপ হিসেবে শামুক-ঝিনুক ভাংগা আর ভাত ও ধানের কুড়া দিয়ে তৈরী এক প্রকার মন্ডা। মাছ খাবার খেতে ঢুকে যেতে বাধ্য হয়, কিন্ত বের হওয়ার পথ খুঁজে পায়না। আবার কোন কোন ফাঁদের মধ্যে খাবার না দিয়েও স্রোতের মুখে বসিয়ে দিলেই মাছ আটকা পড়ে। খাল ও নদীতে টোপ ছাড়াই মাছ শিকার করা হয়। অঞ্চল ভেদে কোন কোন এলাকায় এই মাছ ধরার ফাঁদকে ‘কুনকুনি‘ ‘দোয়াড়ী‘ ‘গোয়াড়ী‘ বা ‘খাদুন‘ও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট বড় চাঁই দেখা যায়। তবে ছোটগুলোতে পুঁটি আর বড়গুলোতে টাকি-টেংরা বেশী ধরা পড়ে[১]

[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মাছ ধরার চাঁই বানিয়ে স্বচ্ছলতা আনছেন নারীরা"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৬ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯ 
  2. "খালে-বিলে মাছ ধরার ফাঁদ 'চাঁই'"দৈনিক সংগ্রাম। ১৫ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯