শৈখ চান্দ (১৫৬০-১৬২৫) অন্যতম। তিনি একাধারে সাধক ও শক্তিশালী কবি ছিলেন। তাঁর গ্রন্থের মধ্যে ‘রসূল বিজয়’ বৃহৎ কাব্য। এ কাব্য কবির পীর শাহদৌলার আদেশে লিপিবদ্ধ হয়। বইখানি মূলত মারফত সম্বন্ধীয়। কবি শৈখ চান্দ গুরু শাহদৌলাকে নানা জটিল তত্ত¡মূলক প্রশ্ন করেছিলেন। শাহদৌলা ঐ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। এরূপ তত্ত¡মূলক প্রশ্নোত্তর ছলে পুস্তকটি রচিত। কিয়ামত নামা নামেই পুস্তকের বিষয়বস্তুর পরিচয় পাওয়া যায়। এই কাব্যের রচনাকাল সম্পর্কে কবি নিজেই বলেছেন, ‘এক সহ ২২ সনে পুস্তক রচন, শাহ চন্দ ফকির বলে শুন গুণিগণ। ‘হর-গৌরি সংবাদ’ এর মোট পত্র সংখ্যা ১৩। এ একটা ক্ষুদ্র যোগ শাস্ত্রীয় পুঁথি। এ সময়ের সুফি সাধকদের প্রথা অবলম্বনে লিখিত হয়। ‘তালিব নামা’ একখানা চম্পু কাব্য। গদ্যে ও পদ্যে লিখিত বলে পুঁথি খানা বিশিষ্ট। এ গ্রন্থের সাথে কবির শাহদৌলা গ্রন্থের যথেষ্ট মিল আছে। মরমিয়া ত্বত্বে পরিপূর্ণ। এই পুস্তকটি বাংলা গদ্যের একটা প্রাচীনতম নমুনা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।[১]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মোগল আমলে বাংলা সাহিত্য"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৯