নিউক্লিক অ্যাসিড হলো নিউক্লিওটাইড মোনোমার দ্বারা গঠিত একটি দীর্ঘ পলিমার জৈব যৌগ যাহা কোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমে উপস্থিত থাকে।

নিউক্লিওটাইডের গঠন সম্পাদনা

একটি নিউক্লিওটাইডের অণু গঠিত হয় একটি পাঁচ কার্বন যুক্ত বলয়াকার শর্করা অণু 5- carbon sugar, নাইট্রোজেন ক্ষারক ও ফস্ফেট কার্যকরী মূলক দ্বারা। পাঁচ কার্বন যুক্ত বলয়াকার শর্করা অণু মূলতঃ দুই প্রকারের হতে পারে। ডি-অক্সি-রাইবোজ ও রাইবোজ শর্করা। এই দুই প্রকার শর্করা একে অপরের থেকে আলাদা শুধুমাত্র একটি অম্লযান পরমাণুর জন্য। যদি বলয়-টির দ্বিতীয় কার্বন পরমাণুতে উপস্থিত hydroxyl কার্যকরী মূলক থেকে অম্লযান পরমাণুটি বিযুক্ত হয় তাহলে শর্করা-টি ডি-অক্সি-রাইবোজ শর্করা নামে পরিচিতি পায়, অন্যথায় রাইবোজ শর্করা নামে পরিচিতি পায়। নাইট্রোজেন ক্ষারকে পিউরিন ও পিরিমিডিন দলে বিভক্ত করা যায়। পিউরিনের আণবিক ওজন পিরিমিডিনের থেকে বেশি হয়। পিউরিন ক্ষারগুলির নাম হল অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন এবং পিরিমিডিন ক্ষারগুলির নাম হল সাইটোসিন, থায়ামিন (ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড এর ক্ষেত্রে) ও ইউরাসিল (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড এর ক্ষেত্রে)। একটি নিউক্লিওটাইডের মাঝখানে থাকে শর্করা অণুটি। এর একপাশে থাকে নাইট্রোজেন ক্ষার এবং অন্যপাশে ফসফেট কার্যকরী মূলকটি। একটি নিউক্লিওটাইডের দুইটি প্রান্ত থাকে। যথাঃ- ৫'- প্রান্ত (যেদিকে ফসফেট কার্যকরী মূলক যুক্ত থাকে) এবং ৩'- প্রান্ত (যেদিকে অপর একটি নিউক্লিওটাইড ফসফোডাইএস্টার বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে)।

প্রকারভেদ সম্পাদনা

পাঁচ কার্বন যুক্ত শর্করা অণুর বিভিন্নতা অনুযায়ী নিউক্লিক অ্যাসিড দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যথাঃ ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড ও রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড।

ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড সম্পাদনা

ইহা এক প্রকার নিউক্লিক অ্যাসিড যাহা ডি-অক্সি-রাইবোজ শর্করা; নাইট্রোজেন ক্ষার- অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থায়ামিন; ফসফেট কার্যকরী মূলক দ্বারা গঠিত। ইহা স্ংক্ষেপে DNA নামে পরিচিত। DNA জীবের সকল বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসাবে কাজ করে।