ব্যবহারকারী:Anulekha/অরন্য উচ্ছেদ

অরণ্য উচ্ছেদ

[0]


অরণ্য পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে যখন প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছপালাকে কাটা বা পুড়িয়ে ফেলা হয় তাকে অরণ্যহানী বলে।

নানান কারণে অরণ্য উচ্ছেদ হয় : গাছপালা বা উদ্ভুত কাঠকয়লা পন্য হিসাবে বিক্রয় হতে পারে বা মানব ব্যবহারে লাগতে পারে, পরিষ্কার হবার পরে পশু চারনভুমি, বিভিন্ন প্রকার চাষবাষ এবং মনুষের বাসস্থান হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। যথেষ্ঠ বৃক্ষ রোপন বা অরণ্যায়ন না করে বৃক্ষছেদন বা অরণ্য উচ্ছেদের ফলে বাসস্থানের ক্ষতি,জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতাসৃষ্টি হয়েছে। কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিবেশগত জৈব পৃথকীকরনের ওপর এর মন্দ প্রভাব পড়েছে। সাধারনত অরণ্য সাফ হযে যাওয়া এলাকায়গুলিত খুব বেশি ভূমিক্ষয় হয় এবং তা খুব তাড়াতাড়ি পতিত জমিতে পরিনত হয়।

অরণ্যের অন্তর্নিহিত মূল্য সম্পর্কে অজ্ঞতা বা উপেক্ষা, যথার্থ মূল্যায়ন পদ্ধতির অভাব, শিথিল অরণ্য পরিচালন ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত পরিবেশ আইনের অভাব -এসবের থেকেই এত বৃহদাকারে অরণ্য উচ্ছেদ চলতে থাকে। বহু দেশেই অরণ্য উচ্ছেদ একটি চলতি সমস্যা, যার থেকে প্রানের অবলুপ্তি, আবহাওয়ার পরিবর্তন, মরুকরণ এবং স্থানিয় জনপদের উচ্ছেদের মত সমস্যার জন্ম নেয়।

তবে যে সমস্ত দেশের GDP বা মাথা পিছু মোট আভ্যন্তরীণ উত্পাদন অন্তত ৪,৬০০ মার্কিন ডলার তাদের ক্ষেত্রে সর্বোপরি বৃক্ষছেদন হারের বৃদ্ধি রোধ হয়েছে। [1][2]

মানব সভ্যতার অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃক্ষছেদনের কারণসমুহ

অরণ্য উচ্ছেদের মূল কারনগুলির মধ্যে অন্তর্গত, সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি,[4][6] সম্পদ ও ক্ষমতার অসম বন্টন,[8]জনসংখ্যা বৃদ্ধি, [9]জনস্ফীতি [11][13]এবং নগরায়ন ইত্যাদি। [15] বিশ্বায়নকে প্রায়ই অরণ্য উচ্ছেদের[19][17] অন্যতম মূল কারণ বলে মনে করা হয় যদিও এমন উদাহরণও রযেছে যেখানে (শ্রম, পুঁজি, পণ্য এবং উন্নত চিন্তাধারার গতি প্রবাহ ত্বরান্বিত হওয়ার ফলে) স্থানিয়ভাবে অরণ্য পুনরুদ্ধারে[21] বিশ্বায়ন-এর প্রভাব রয়েছে। ২০০২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি বিভাগ (FAO) জানায় " স্থান বিশেষে জনসংখ্যার ভূমিকা নির্ণায়ক থেকে নগন্য পর্যন্ত বৈচিত্রময় হতে পারে," এবং অরণ্য উচ্ছেদ,"জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ, আর্থিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত অচলাবস্থার মিলিত ফল", ইত্যাদি নানান কারণেই হতে পারে।[23]

ইংরেজ পরিবেশবিদ নর্মান মেয়ারসের মতে মোট অরণ্য উচ্ছেদের 5 শতাংশ হয় বিভিন্ন গবাদি পশু লালন পালনের ফলে, 19 শতাংশ হয় ভারী মাত্রায় কাঠ কাটার ফলে, 22 শতাংশ হয় পামগাছের চাষ বৃদ্ধির ফলে, ও 54 শতাংশ হয় স্ল্যাস অ্যান্ড বার্ন (যে পদ্ধতিতে সবুজ বনানী কেটে ও পুড়িয়ে ফেলে চাষের জন্য জমি তৈরী করা হয়)পদ্ধতিতে চাষবাসের ফলে।

টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে বনসংরক্ষণের চেয়ে বনপরিবর্তনকে বেশি লাভজনক করে তোলা, বন পরিমন্ডলের অবনতির, মূল কারণ। [27] অরণ্য সংক্রান্ত বেশির ভাগ কর্মকান্ডের কোন তৈরি বাজার না থাকায় অরণ্য অঞ্চলগুলির মালিক ও অন্যান্য অরণ্য নির্ভর গোষ্টিগুলির কাছে তাদের উন্নয়ের জন্য তার কোন আপাত আর্থিক মুল্য প্রতিভাত হয় না।[28] উন্নয়নশীল দেশগুলির মতে অরণ্যায়ন সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধাগুলি, যেমন, কার্বন-হ্রাস ও জৈববৈচিত্রের ভান্ডার বৃদ্ধি, মূলত উন্নত বিত্তশালি দেশগুলি ভোগ করে এবং এই সব সুবিধা উত্পাদনের সঠিক মূল্য মেটানো হয় না। উন্নয়নশীল দেশগুলি এও মনে করে যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মত কিছু উন্নত দেশ অতীতে বহুল পরিমানে অরণ্য উচ্ছেদ করে প্রচুর লাভবান হযেছে কিন্তু বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে এই সব সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা অনৈতিক : বিত্তশালীদের সৃষ্ট সমস্যার প্রভাব দরিদ্রদের ওপর কখনোই চাপানো উচিত নয়। [30]

বিশ্বব্যাপী অরণ্য উচ্ছেদ বৃদ্ধির ওপর শিল্পের প্রয়োজনে গাছ কাটার কোন গুরুত্বপূর্ন প্রভাব আছে কিনা সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা একমত নন. [34][32] একইভাবে, দারিদ্রই বৃক্ষ ছেদনের মূল কারণ কিনা সে ব্যাপারেও কোন ঐক্যমত্য নেই. অনেকের মতে অর্থ উপার্জনের বিকল্প ব্যবস্থার অভাব দরিদ্র মানুসের অরণ্য সাফ করার প্রবণতা বাড়ায়, আবার অন্যেরা মনে করেন এই কাজে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও শ্রমের ব্যয়ভার বহন করা দরিদ্র মানুষের পক্ষে অসম্ভব।[35] জনসংখ্য বৃদ্ধির কারণে অরণ্য উচ্ছেদ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।[36] একটি বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে যে মাত্র ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ উর্বরতা-শক্তির কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ক্রান্তিয় অরণ্য উচ্ছেদের কারণ।[38]

পরিবেশগত সমস্যাসমূহ

বায়ুমণ্ডলীয়

অরণ্য উচ্ছেদ একটি চলমান বিষয় বা সমস্যা যা ভৌগলিক এবং আবহাওয়াপরিবর্ত ঘটাচ্ছে।[40][42][43][44] বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তনের একটি মূল কারন হলো অরণ্য উচ্ছেদ,[46][45] এবং গ্রিন হাউসের প্রভাব বৃদ্ধির মূলেও অরণ্য ছেদন বিশেষভাবে কার্যকরী বলে মনে করা হয়। বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউসের থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্য ছেদন তার 20 শতাংশের জন্য দায়ী। [48] আবহাওয়া পরিবর্তন বিষয়টি নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সরকার দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তিদের মতে, মানব জাতির উন্নতির জন্য কাজ কর্মের ফলে বাতাসে যে পরিমান কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি হয়, তার এক তৃতীয়াংশ আসে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্য ছেদন থেকে। [49] বড় গাছ ও চারা গাছের সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে বাতাসে উপস্থিত কার্বন (কার্বনডাইঅক্সাইড এর রুপে)অপসারিত করে স্বাভাবিক স্বাসাক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয়। একমাত্র স্বক্রিয়ভাবে বেড়ে ওঠার মাধ্যমেই কোন গাছ বা অরণ্য বাত্সরিক বা দীর্ঘতর সময়ের প্রেক্ষিতে কার্বনডাইঅক্সাইড অপসারিত করতে পারে. গাছপালার পচন বা কাঠ পোড়ানোর ফলে জমে থাকা কার্বনডাইঅক্সাইডের অনেকটাই আবার বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। কার্বন জমা করার জন্য একটি অরণ্যের গাছপালার রক্ষনাবেক্ষণ ও তাদের দীর্ঘজীবি হওয়া প্রয়োজন এছাড়াও নতুন নতুন গাছপালা লাগানোও খুব গুরুত্বপূর্ন। [50] অরণ্য ছেদনের ফলে মাটিতে জমে থাকা কার্বনও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। অরণ্য হল কার্বনের সংরক্ষনস্থল, কিণ্তু সে ঐ পদার্থের উত্স হিসেবে কাজ করবে না কুন্ড-হিসেবে তা নির্ভর করে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ওপর। পূর্ণবিকশিত অরণ্যগুলি হয় কার্বনডাইঅক্সাইডের নিট কুন্ড বা উত্স রূপে কাজ করে।(এই প্রসঙ্গে কার্বনডাইওকসাইড কুন্ড এবং কার্বন চক্র দেখা যেতে পারে)।

চলতি পরিবেশ নীতিগুলি কার্যকারী করার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অরণ্য পরিবেশের অবনতি ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্য ছেদন (REDD) থেকে নির্গত গ্যাসের মাত্রা কমানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এর পেছনে মূল ভাবনাটি হল অরণ্য ছেদন ও অরণ্য পরিবেশের অবক্ষয়ের ফলে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) এর মাত্রা কমানোর জন্য আর্থিক ভর্তুকির ব্যবস্থা করা। [52]

অনভিজ্ঞ মানুষ মনে করেন যে বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের অরণ্যই পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশের সংযোজক।[54]যদিও বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে একমত যে বায়ুমন্ডলে মোট অক্সিজেনের খুব সামান্যই রেন ফরেস্ট থেকে সংযোজিত হয়।[55][56] যাইহোক, ভুমি উন্মুক্তকরনের প্রয়োজনে ভষ্মীকরন ও অরণ্য জ্বলন প্রভুত পরিমানে CO2 (কার্বনডাইঅক্সাইড) নির্গত করে যা বিশ্ব-উষ্মায়নে সংযোজন করে।[57]

অরণ্যের গাছপালা বাতাস থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য দূষন সৃষ্টিকারী পদার্থ নিষ্কাশন করে নিয়ে বায়ুমন্ডলের সুস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।[58]

জলানুষন্ধান বিদ্যাভিত্তিক

অরণ্য ছেদনের ফলে জলচক্রও প্রভাবিত হয়। গাছে তাদের শেকড়ের সাহায্যে মাটির তলার জল টেনে নিয়ে বাষ্পের আকারে তা বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। যখন অরণ্যের একটি অংশ বিলুপ্ত হয়ে যায়, গাছগুলি আর বাষ্পায়ণ না করার ফলে শুষ্কতর আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। বৃক্ষ ছেদনের ফলে মাটির জলধারণ ক্ষমতা, মাটির তলার জলস্তর, এমনকি বায়ুমন্ডলে আদ্রতার হারও কমে যায়।[60] এছাড়া এর ফলে মাটির এঁটে থাকার প্রবনতাও কমে যায় যার ফলে ভুমিক্ষয়, বন্যা ও ধ্বস জাতিয় সমস্যাগুলির সৃষ্টি হয়।[62][63] অরণ্য কিছু কিছু এলাকায় জলের প্রবাহকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু তা সেই প্রবাহক্ষমতার হ্লাসের মূল উত্স।[65] অরণ্য আচ্ছাদনের ক্রমাগত কমে আসায়, মাটির জলশোষন, ধারন ও বাষ্পাকারে নির্গমনের সক্ষমতার হ্রাস ঘটায়। অরণ্য শুন্য জায়গাগুলির বৃষ্টি ধরে রাখার এবং জলকে ক্রমে ক্রমে ভূগর্ভস্থ জল-প্রবাহে সঞ্চারিত করতে অক্ষম হয় এবং এর ফলে এই জায়গাগুলির ভূমির উপরস্থ জলের অতিপ্রবাহের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় যা ভূগর্ভস্থ জলপ্রাহের গতির তূলনায় অধিক গতি সম্পন্ন হয়। এই অতিপ্রবাহের পরিনতি হল বিস্তৃত বা আঞ্চলিক বন্যা যা অরণ্য থাকলে কম হতো। অরণ্য উচ্ছেদ জলীয়বাষ্পাকারে নির্গমনের হ্রাস ঘটায়, ভূমি থেকে বায়ুমন্ডলে সঞ্চালিত জলের পরিমানের মাত্রারও হ্রাস ঘটায়, যার ফলে অরণ্য সাফ হয়ে যাওয়া এলাকার বাতাসের বহমানতা বরাবর বেশ কিছু জায়গায় বায়ুমন্ডলের আদ্রতা হ্রাস পায় কারণ ঐসব জায়গায় জল পুন্র্প্রবাহিত হওয়ার আগেই অতিবাহিত হয়ে সমুদ্রে মিলিয়ে যায়। এক প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে উত্তর ও উত্তরপশ্চিম চিনে অরণ্য শুন্য এলাকা গুলিতে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।[66]

গাছ ও চারাগাছ, জলচক্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে:

গাছপালার ছাউনি মোট বৃষ্টির এক অংশকে ধরে নিয়ে তা বাস্পিকরণের মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে ফেরত পাঠিয়ে দেয় (কেনোপী ইনটারসেপসন) তাদের জঞ্জাল, ডালপালা ও গুঁড়ি ভুমিস্তরের অতিবাহন রোধ করে। তাদের শেকড় মাটিতে বড় গর্ত বা ফাঁক সৃষ্টি করে যা জলের মাটির ভেতর অনূপ্রবেশে সহায়তা করে। তারা ভৌগলিক বাশ্পিকরণে সাহায্য করে এবং বাস্পত্যাগ রোধ করে মাটির আদ্রতা বজায় রাখে তাদের আগাছা ও জৈব অবশিষ্টাংশ মাটির গুনাবলীর পরিবর্তন ঘটিয়ে তার জল ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। বাস্পত্যাগের মাধ্যমে গাছের পাতাগুলি বায়ুমন্ডলের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, শেকড় দিয়ে শোষণ করা মোট জলের ৯৯ শতাংশ বাস্পাকারে নির্গমনের জন্য পাতায় চলে আসে।[67] ফলে দেখা যায় যে গাছের থাকা বা না থাকা, মাটি উপরে, মধ্যে, বা তলায় কিম্বা বায়ুমন্ডলে জলের পরিমান প্রভাবিত করতে সক্ষম। এর ফলশ্রুতি হিসেবে, ভূমিক্ষয়ের মাত্রা ও ইকোসিষ্টেম (গাছপালা,পশু-পাখির সাথে তাদের প্রাণহীন পরিপার্শ্বের পারস্পরিক ক্রিয়া) কার্যকারী রাখতে ও মানুষের ব্যবহারের প্রয়োজনে, জলের সরবরাহ পরিবর্তিত হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের এলাকায় বন্যার উপর অরণ্যের প্রভাব খুব সামান্য, কারণ অরণ্যের মাটি যদি জলে সম্পৃক্ত থাকে তবে ভারী বৃষ্টিপাত মাটির জলধারনের ক্ষমতাকে ছাপিয়ে যাবে।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের অরণ্যগুলি পৃথিবীর মোট পরিষ্কার জলের ৩০ শতাংশ উত্পাদন করে।[68]

ভূমি


যে সব অরণ্যে বৃক্ষ উচ্ছেদ হয়নি সেখানে ভূমিক্ষয়ের মাত্রা খুব নিচের দিকে, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তার মান ২ মেট্রিক টন (যা প্রতি বর্গ মাইলে ৬ টনের মত কম)। [69]অতিবহনের পরিমান বৃদ্ধি করে ও আগাছার দ্বারা ভূমির সুরক্ষা ব্যহত করে অরণ্য ছেদন ভূমিক্ষয়ের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যদিও ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রীষ্মমন্ডলীর বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের মাটি এতে উপকৃত হয়। অরণ্যবিদ্যা সংক্রান্ত কাজকর্ম যেমন সড়ক উন্নয়ন ও যন্ত্রের ব্যবহারের ফলেও ভূমিক্ষয় হয়ে থাকে। চিনের লোযেস মালভূমির অরণ্য প্রায় সহস্র বছর আগেই সাফ করা হয়েছিল। তারপর থেকে ওখানে ভূমিক্ষয় হয়ে সাংঘাতিক সব খানাখন্দরময় উপত্যকার সৃষ্টি হযেছিল যা ইয়েলো রিভারে (চিনের একটি নদী) পলি ফেলে তার জলের রং হলুদ করে দিয়েছে এবং ঢালু এলাকায় বন্যার সৃষ্টি করেছে (এই কারণে ঐ নদীকে 'চায়নাজ সরো' বা চিনের দুঃখ বলা হয়)।

বৃক্ষ উচ্ছেদ সব ক্ষেত্রেই যে ভূমির ক্ষয় বৃদ্ধি করে এমন নয়। আমেরিকার দক্ষিণপশ্চিমের কিছু জায়গায় ঝোপঝাড় ও গাছপালা তৃণভুমির দখল নিয়ে নিছিল। গাছে গাছে যে ছাউনির সৃষ্টি হয় তার ফলে তৃণভূমির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়. এবং এই ছাউনির মধ্যবর্তি অংশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে। আমেরিকার অরণ্য দপ্তর, যেমন ব্যান্ডেলিয়ায় ন্যাশনাল মনুমেন্ট, গাছপালা সরিয়ে কিভাবে ভূমিক্ষয় রোধ ও পুরনো ইকোসিস্টেম ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যপারে পর্যবেক্ষণ করছে।

গাছের গুঁড়ি মাটিকে ধরে রাখতে সাহায্য করে, এবং মাটি যেখানে অগভীর সেখানে নিচের পাথরের স্তরের সাথে মাটিকে বেঁধে রেখে তার প্রতিসারন রোধ করে। যে সব খাড়া ঢাল যুক্ত জায়গায় মাটি অগভীর, সেখান থেকে গাছপালা সরিয়ে নিলে ধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়,যা নিকটবর্তী এলাকার মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক প্রতিপন্ন হয়। যাইহোক বেশিরভাগ অরণ্য উচ্ছেদের প্রভাব গাছের গুঁড়ির ওপর পড়ে এবং এর ফলে শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হওয়ায় ধ্বসের সম্ভাবনাও কম হয়ে যায়।

পরিবেশ সংক্রান্ত

অরণ্য উচ্ছেদ জৈব বৈচিত্রিকরণের অবনতি ঘটায়।[70] অরণ্যাকীর্ণ এলাকা থেকে গাছপালা কেটে ফেলায় তা জৈব বৈচিত্রের হ্রাসের মাধ্যমে পরিবেশের অবনতি ঘটিয়েছে।[72] অরণ্য এলাকা জৈব বৈচিত্রের ক্ষেত্রে অনুকুল, কারণ তা বন্যপ্রানীর বাসযোগ্য জায়গার সৃষ্টি করে;[73] তাছাড়া অরণ্য ঔষধি সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[75] ট্যাক্সলের মত অনেক নতুন ওষুধ আছে যেগুলির কিছু অপরিহার্য উপাদান শুধুমাত্র অরণ্যেই উপলব্ধ, কাজেই বৃক্ষ ছেদনের ফলে জৈব বৈচিত্র (যেমন, শষ্য সংরক্ষণ) বরাবরের জন্য লুপ্ত হয়। ট্রপিকাল রেনফরেস্টগুলি পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ ইকোসিস্টেম এবং পৃথিবীর পরিচিত[77] জৈব বৈচিত্রের প্রায় ৮০ শতাংশ এখানে এই অরণ্যগুলিতে পরিলক্ষিত হয়, এবং এই সব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে অরণ্য সাফ করে দেওয়ার ফলে জৈব বৈচিত্রের হানীরক হ্রাস ও পতিত[83]পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।[84]

বিলুপ্তিকরণ পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ধারণা জৈব বৈচিত্রে অরণ্য ছেদনের প্রভাব নির্ধারণ করার পক্ষে যথেস্ট নয়।[85] অরণ্যবিদ্যা সম্পর্কিত জৈব বৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগ অনুমানই বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের এলাকার মডেলের ওপর নির্ভর করে তৈরি, যার মূল ভিত্তির ভাবনাটি হলো এই যে, অরণ্য এলাকার হ্রাসের সাথে সাথে জৈব বৈচিত্রও হ্রাস পায় ।[86] যদিও এই ধরনের বেশিরভাগ মডেলই ভুল প্রমানিত হয়েছে এবং বসবাসের জায়গা হ্রাস পাওয়ার সাথে প্রাণী প্রজাতির বড় ধরনের কোন হ্রাস ঘটেনা।[87] এলাকা ভিত্তিক-প্রজাতি মডেলগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অরণ্য ছেদন চলতে থাকা জায়গাগুলিতে বিপন্ন প্রজাতির সংখ্যা অধিকানুমান করে থাকে, বিশেষ করে যে সব বিপন্ন প্রজাতি খুব পরিচিত তাদের ক্ষেত্রে এই অধিকানুমান আরো বেশি করে দেখা যায়।[88]

দেখা গেছে যে রেনফরেস্ট এলাকায় অরণ্য ছেদনের ফলে আমরা প্রতিদিন প্রায় 137টি গাছ, পশু ও পোকার প্রজাতি হারাচ্ছি, বছরে যার সংখ্যা ৫০,০০০।[90] অন্যদের মতে ট্রপিকাল রেনফরেস্ট অরণ্যছেদন, হোলোসিন প্রজাতির গন বিলুপ্তিতেও কার্যকরী হয়।[91] [92] পরিচিত অবলুপ্তির হার অরণ্যছেদনজনিত অবলুপ্তির হার এর তুলনায় অনেক কম, আনুমানিকভাবে তা স্তন্যপায়ী ও পাখিদের মধ্যে বছরে একটি প্রজাতির অবলুপ্তি, যার আনুমানিক সংখ্যা বছরে ২৩,০০০ প্রজাতি। এও অনুমান করা হয় যে ২১ শতাব্দিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রানি ও গাছের মোট প্রজাতির ৪০ শতাংশ সম্পুর্ন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।[93] ১৯৯৫ সালের তথ্য অবশ্য এই অনুমানকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কিছু জায়গায় অরণ্য সাফ করে বিশেষ কোন গুন সম্পন্ন চাষবাসের ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে যথার্থ ভাবে বিপন্ন প্রজাতির সংখ্যা নগন্য এবং সেখানকার উদ্ভিদসম্পদ আজও অপরিবর্তিত এবং বিস্তৃত। [94]

আর্থিক প্রভাব

বন শহরে অনুষ্ঠিত কনভেনসন ওন বায়োলজিকাল ডাইভারসিটি(CBD) সম্মেলনের রিপোর্ট অনুযায়ী অরণ্য ও অন্যান্য প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতির ফলে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র মানুষের জীবনধারণের মান প্রায় অর্ধেক মাত্রায় হ্রাস পাবে, এবং বিশ্ব GDPও ৭ শতাংশ হারে হ্রাস পাবে।[95] ঐতিহাসিক ভাবে একথা প্রমানিত যে জল ও চাষবাসের জমির চেয়ে অরণ্যজাত পণ্য যেমন কাঠ এবং জ্বালানী কাঠের ব্যবহার মনুষ্য সমাজে অধিকতর মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আজও বাড়ি তৈরির জন্য কাঠ এবং কাগজ তৈরির কাজে কাঠের নির্যাস ব্যবহৃত হয়। এই সব দেশে প্রায় তিন কোটি লোক রান্না ও তাপ তৈরি করার কাজে কাঠের ব্যবহার করেন। [96] অরণ্যজাত পন্যের ব্যবসা উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতির একটি বড় অংশ। অরণ্য এলাকার পরিবর্তন করে চাষবাসের কাজ শুরু করে বা কাঠের পন্যের অত্যধিক ব্যবহারে যে তাত্ক্ষণিক অর্থনৈতিক লাভ পাওয়া যায় তার পরিনতি হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী আয়ের হ্রাস এবং দীর্ঘমেয়াদী জৈব উত্পাদন ক্ষমতার ক্ষতিসাধন হয় (ফলে প্রকৃতির কাজকর্ম ব্যহত হয়). পশ্চিম আফ্রিকা, ম্যাডাগাসকর, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য কিছু জায়গায় বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত কাঠের কম ফলনের ফলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। বেআইনি কাঠ কাটার ফলে দ্বেশীয় অর্থনীতির বাত্সরিক কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়।[98]

বেশি পরিমানে কাঠ পাওয়ার যে সব নতুন পদ্ধতি রয়েছে তার ফলে অর্থনীতির আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে কারণ কাঠ কাটায় নিযুক্ত মানুষদের পেছনে যা খরচ হয়, ক্ষতির পরিমান তাকে ছাপিয়ে যায়। [99] একটি পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী,"পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে এমন অনেক স্থানে দেখা গেছে, যে সমস্ত কর্মসূচি অরণ্য ছেদনের কারণ হয়েছে সেগুলি খুব কম ক্ষেত্রেই প্রতি টন কার্বনের নিস্কৃতি পিছু ৫ ডলারের বেশি অর্থ উত্পাদনে সক্ষম হযেছে। ইওরোপীয় বাজারে প্রতি টন কার্বন মাত্রা হ্রাস পিছু যে অফসেট পদ্ধতি চালু আছে তার মূল্য ২৩ ইওরো (যা প্রায় ৩৫ মার্কিন ডলারের সমান।)[101]

ঐতিহাসিক কারণসমূহ

[102] পূর্বইতিহাস

সভ্যতার শত সহস্রবছর আগেও কিছু কিছু সমাজে ছোটো খাটো পর্যায় অরণ্য ছেদনের রেওয়াজ ছিল। [104] মেসলিথিক যুগে প্রথম অরণ্য ছেদনের নিদর্শন পাওয়া যায়।[106] মূল পশু শিকারের জন্য উপযোগী মুক্ত ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য তখনকার দিনে ঘন অরণ্য পরিস্কার করা হত। [107] চাষবাসের প্রবর্তনের সাথে সাথে বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে অরণ্য সাফাই শুরু হয় এবং শষ্য রোপনের জন্য জমি পরিস্কার করতে আগুন মুখ্য ভুমিকা পালন করে। ইওরোপে ৭০০০ বি.সি যুগের পূর্বসূরিরা রেড ডিযার বা ওয়াইল্ড বোর শিকারের উদ্দেশ্যে ফাঁদ পাতার জন্য আগুনের ব্যবহার করতেন কিনা সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত বলিষ্ঠ প্রমান খুব কম পাওয়া গিয়েছে। পরাগ গণনায় গ্রেট ব্রিটেনে ঘন অরণ্যের ছায়ায় টিকে থাকা গাছগুলি (যেমন ওক এবং এশ) ধীরে ধীরে হ্যাজেল এ (এক ধরনের বাদাম গাছ), ব্রামবেলস(কাটা গাছের ঝোপ),ঘাস এবং নেটলস (বিছুটি) গাছের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে. অরণ্য সাফাই এর ফলে বাষ্প ত্যাগের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে এবং এর ফলে স্যাঁতস্যাঁতে উচু জলা জমির সৃষ্টি হয়েছে। ৮৪০০-৮৩০০ বি.সি এবং ৭২০০-৭০০০ বি.সি.এই সময়কালের মধ্যে প্রথমে দক্ষিণ ইওরোপ ও ক্রমে ক্রমে উত্তর বরাবর গ্রেট ব্রিটেনে এলম পরাগের যে উল্লেখযোগ্য হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা নিওলিথিক যুগের চাষবাসের প্রবর্তনের সময় আগুনের সাহায্যে ভূমি পরিস্কার করার ঘটনার সাক্ষী।

নিওলিথিক যুগে চাষবাসের যোগ্য জমি তৈরীর জন্য ব্যপক হারে অরণ্য ছেদন হযেছিল।[109][111] ৩০০০ বি.সি.থেকে পাথরের কুঠার প্রস্তুতিতে চকমকি ছাড়াও ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকা থেকে আনা বিভিন্ন কঠিন পাথরের ব্যবহার করা হত। এর মধ্যে ইংলিশ লেক ডিস্ট্রিক্ট এ অবস্থিত ল্যাংডেল কুঠার কারখানা ও উত্তর ওয়েলসের পেনমিয়েনমার ও অন্যান্য কিছু জায়গা থেকে আহরিত পাথর ও স্লেট ইয়্যাদি উল্লেখযোগ্য। কিছু কিছু অমসৃণ কুঠার উন্মুক্ত খনি (যে স্থান থেকে বাড়িঘর বা রাস্তাঘাট বানানোর কাজে ব্যবহৃত পাথর, স্লেট ইত্যাদি আহরণ করা হয়)কাছেই কোন এলাকায় তৈরি করা হত। এবং কিছু কিছু আবার মসৃণ করার ফলে শুধু যে কুঠারের শক্তি বৃদ্ধি হত তা নয় কাঠ ভেদ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেত। তখনো ইউরোপে বিভিন্ন খনি ও গ্রাইমস গ্রিভস(একটি খনি) থেকে চকমকি আহরণ করে ব্যবহার করা হত। মিনোয়ান ক্রিট এও অরণ্য ছেদনের প্রমান পাওয়া যায়: যেমন বলা হয় যে প্রস্তর যুগে নোশেশ রাজ প্রাসাদের চারপাশে ব্যাপক বৃক্ষ ছেদন করা হয়েছিল। [112]

শিল্পপুর্ববর্তী ইতিহাস

শিল্পপূর্ববর্তী যুগে মানুষ মূলত শিকারী ছিল এবং গভীর অরণ্যে শিকার করতে যেত। অ্যামাজন,ক্রান্তিরেখার অঞ্চল, মধ্য আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ও অন্যান্য জায়গায় কাঠ ও অরণ্যজাত অন্যান্য জিনিসের অভাব দেখা দেওয়ার পরই বন সম্পদের যাতে অপচয় না হয় সে ব্যপারে বেশ কিছু নীতি রুপায়িত হয়েছে।[114] প্রাচীন গ্রীসে, টিরেড ভ্যান অ্যান্ডেল এবং সহলেখকেরা[115] তিনটি অবক্ষয় ও পাললিকিকরনের আঞ্চলিক পর্যবেক্ষণের, যেখানে পর্যাপ্ত প্রমাণ বর্তমান, সারমর্মার্থ করে লক্ষ্য করেন যে,নবপ্রস্তর যুগ থেকে ব্রোঞ্জ যুগ পর্যন্ত গ্রীসের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষাবাদের প্রচলনে প্রায় ৫০০-১০০০ বছরের একটি গুরূত্বপূর্ণ অবক্ষয়ের পর্যায়। প্রথম সহস্রাব্দ BCE এর মধ্যভাগের পরবর্তি সহস্র বছরে অসংখ্য স্থানে গুরুত্বপূর্ণ অন্তরবর্তি ভূমিক্ষয় স্পন্দন পরিলক্ষিত হয়েছিল। গত শতাব্দীতে এশিয়া মাইনরের(যেমন, ক্লরাস এবং উদাহরনস্বরূপ, ইফেসাস, প্রীন এবং মিলাটাস, যেখানে মিন্দের কর্তৃক পলি দ্বারা কুদ্ধ হওয়ার কারনে বন্দরগুলি পরিত্যক্ত হয়েছিল)দক্ষিণ তীর এবং সিরিয়ার তীর বরাবর বন্দরগুলির ঐতিহাসিক পলিপ্রাপ্তি।

সাম্প্রতিক শতকগুলিতে ইস্টার আইল্যান্ড চাষবাস ও অরণ্য ছেদনের ফলে ভূমিক্ষয়ের সম্মুখীন হয়েছে.[116]। জ্যারেড ডায়মন্ডতাঁর বই কোল্যাপ্স এ প্রাচীন ইস্টার আইল্যান্ডের অধিবাসিদের পতনের একটি বিস্তৃত অন্তর্দর্শণ প্রদান করেন। ১৭ ও ১৮ খ্রিস্টাব্দের দ্বীপটির অরণ্যবিলুপ্তি ও ঐ সভ্যতার পতন সমসাময়িকরূপে প্রতিয়মান হয়।[118][120]

ব্রুজেসবন্দরের বিখ্যাত পলির জন্য বানিজ্যিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবার কারনে অন্তরীপেস্থানান্তরন উচু অববাহিকা অঞ্চনে বাসস্থান সৃষ্টির হারের(এবং বস্তুত অরণ্যহানীরও) বৃদ্ধিকারক একটি সময়কালের আনয়ন করেছিল। আপার প্রভিন্স এর প্রারম্ভিক মধ্যয়ুগীয় রিজএ দুটি ছোটো নদী দ্বারা বাহিত পলিমাটি নদিগর্ভের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ও প্লাবিত অঞ্চলের বিস্তৃতিও বৃদ্ধি করে যার দ্বারা রোমান স্থাপত্ব ধিরে ধিরে পলিমাটির নিচে চলে যায় এবং নতুন নির্মানকর্মগুলি ক্রমে উচ্চভূমিগুলিতে স্থানান্তিরত হয় এবং রিজনদীর উত্সের নিকটবর্তী উপত্যকাগুলিকে পশুচারনের প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হয়।[121]

প্রায়শই অরণ্যাঞ্চলের নিকটবর্তি স্থানগুলিতে, শিল্পবিকাশের (নির্মান,জাহাজ গঠন,মৃতশিল্প)জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের সুলভতার জন্য শহর পত্তন একটি বিকাশের ফাঁদস্বরুপ। সঠিক অরণ্যায়ন বিনা অরণ্যহানীকরনের ফলে স্থানীয় কাঠের যোগান অপ্রতুল ও অপ্রতিযোগীতামূলক হওয়ার জন্য শহরগুলি পরিত্যক্ত হয়, প্রাচীন এশিয়া মাইনরে যা বারং বার ঘটেছিল। খনিজ ও ধাতবশিল্পের যৌথ অবস্থান প্রায়শই এই আত্মধ্বংসাত্মক পথেই চলত।[122]

অধিকাংশ জনপদই স্বক্রিয়ভাবে কৃষিকার্যে নিযুক্ত (অথবা পরক্ষভাবে নির্ভরশীল)ছিল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাষাবাদের এবং পশুপালনের জন্য ভূমিমুক্তকরনই ছিল প্রধান গুরুত্বের; যথেষ্ট সৌভাগ্যবশতঃ সবুজ অরণ্যাঞ্চলগুলির উল্লেখযোগ্য অংশ অরণ্যবাসী প্রানিকুলের স্থায়িত্বরক্ষার এবং উচ্চবিত্ত (অভিজাত ও ধর্মীয় উচ্চবর্ণের)মানুষদের শিকারের সুবিধার্থে (এবং আংশিকভাবে, যেমন জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ, কাঠ ও ফল সংগ্রহ অথবা শূকর প্রভৃতির চারনের জন্য ব্যবহৃত হত) সাধারনতঃ স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত ছিল।[123]

জনসংখ্যার একটি বড় অংশ(এবং অধিক দীর্ধস্থায়ী বৃদ্ধি)ধর্মীয় (বিশেষভাবে আশির্বাদমূলক উপদেশ বা বানিজ্যিক আদেশ) পথিকৃতসমূহের দ্বারা পরিচালিত হত এবং কিছু মধ্যযুগীয় জমিদার অপেক্ষাকৃত ভাল আইনি ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করে কৃষকদের বসতি স্থাপনের জন্য (এবং করদাতায় রুপান্তরিত হবার জন্য) স্বক্রিয়ভাবে আহ্বান করেছিল - এবং যখন তারা শহর পত্তনে উত্সাহ প্রদানের জন্য এগুলি করেছিল তখন সর্বসময়েই, এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রাচিরের অন্তর্বর্তি অংশেও একটি কৃষিবলয়ের সৃষ্টি হত। যখন অন্য ভাবে ব্ল্যাক ডেথও বিধ্বংসী যুদ্ধের ফলে জনসংখ্যা আঘাতপ্রাপ্ত হয়(উদাহরণ স্বরূপ পূর্ব ও মধ্য ইওরোপে চেঙ্গিজ খানও তার মঙ্গল দলবল, জার্মানির থার্টি ইয়ার্স ওয়ার)যার ফলে বহু বসবাসের স্থান প্রকৃতির জন্য পরিত্যক্ত হয় যদিও এই দ্বিতীয় পর্যায়ের অরণ্যে সাধারনতঃ প্রকৃতজৈববৈচিত্রেরঘাটতি লক্ষ্য করা যায়।

পশ্চিম ইউরোপে১১০০ থেকে ১৫০০ AD তে বর্ধিত জনসংখ্যার ফলে উল্লেখযোগ্য অরণ্যহানী সংঘটিত হয়। অনুষন্ধান, উপনিবেশ স্থাপন, ক্রীতদাস ও অন্যান্য ব্যবসা (প্রায়শই সম্পর্কযুক্ত), নৌবাহিনীর যুদ্ধ (১৫৫৯ সালে স্প্যানিশ আরমাদার দ্বারা ইংল্যান্ড আক্রমনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ও ১৫৭১ সালের লিওপান্তর যুদ্ধ ব্যপক হারে উচ্চ মানের কাঠের অপব্যবহারের প্রাথমিক দুটি নিদর্শন) ও জলদস্যুতা ইত্যাদির জন্য পঞ্চদশ শতাব্দিতে যে বিপুল পরিমান জাহাজ নির্মানের কাজ হয়েছিল তার থেকে এ কথা বলা যায় যে সেখানকার সমগ্র কাঠ উত্পাদনে সক্ষম জায়গাগুলিতে অতিফলন করা হয়েছিল, যেমন স্পেনে, কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের ফলে ঔপনিবেশিক কাজকর্মের যেমন লুঠতরাজ, খনন, গবাদি পশু পালন, চাষবাস, বানিজ্য ইত্যাদির প্রাধান্য দেখা দিয়েছিল ফলে ঐ সময়ে ব্যপক অতিফলন ঘটানো হয়েছিল তার ফলে ঐ দেশের অর্থনীতি অভাবনীয়ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

১৯৮০ সালে লেখা চেঞ্জেস ইন দ্যা ল্যান্ড বইটিতে উইলিয়াম ক্রোনন সপ্তদশ শতাব্দীর নিউ ইংল্যান্ড ইংলিশম্যান এর তথ্য সংগৃহীত করেছেন, যেখান থেকে জানা যায় যে অরণ্য সাফ করা শুরু হওয়ার সময় মরসুমী বন্যার মাত্রা বৃদ্ধি হযেছিল।

ইওরোপে আধুনিক যুগের শুরুতে কলকারখানায় যে ব্যাপক হারে কাঠ কয়লার ব্যবহার শুরু হয়েছিল তা পশ্চিমের অরণ্যগুলির ধ্বংশের হার বৃদ্ধি করেছিল। স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডে তুলনামূলক আদিম উপায়ে যে কাঠকয়লা তৈরী হত তাও ঐ সময়ে এক প্রশংসনীয় মাত্রা পেয়েছিল। জাহাজ তৈরীর কাঠের যোগান দিতে স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডে এমন ব্যাপক বৃক্ষছেদন হয়েছিল যে পরবর্তীকালেও তাদের কাঠের প্রয়োজন মেটাতে ব্যাল্টিক অঞ্চলের কাঠের ব্যবসা এবং নতুন ইংল্যান্ড এর যে সমস্ত অরণ্য তখনো সুরক্ষিত ছিল তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। ১৮০৫ সালে নেলসনের রয়্যাল বা রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজগুলির প্রত্যেকটির জন্য ৬০০০টি পূর্ণতা প্রাপ্ত ওক গাছের প্রয়োজন হত। ফ্রান্সের নৌবাহিনীকে কাঠ যোগানোর উদ্দেশ্যে কোলবার্ট ওক গাছের চাষ করেছিলেন কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে যখন সেই সব গাছ পরিনত বৃক্ষে পরিণত হয় তখন জাহাজের আর মাস্তুলের প্রয়োজন হত না।

নর্মান. এফ. ক্যান্টরমধ্যযুগের শেষার্ধে ইংল্যান্ডে বৃক্ষছেদনের প্রভাবের যে সারাংশ করেছিলেন তা আধুনিক ইংল্যান্ডের শুরুর সময়কালের জন্যও একইভাবে প্রযোজ্য।[124] [125]

বিংশ শতাব্দীতে উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও অরণ্য ছেদন সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ স্বাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

অরণ্যছেদনের হার


১৮৫২ থেকে বিশ্বজুড়ে অরণ্যছেদনের হার তীব্র গতিতে বাড়তে থাকে।[126][127] অনুমান করা হয় যে পৃথিবীর বৃষ্টি প্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের মোট পরিনত অরণ্যের অর্ধেক অর্থাত্ মূল ১৫ মিলিয়ন থেকে ১৬ মিলিয়ান বর্গ কিলোমিটার (৫.৮ মিলিয়ন থেকে ৬.২ মিলিয়ন বর্গ মাইল) অঞ্চলের ৭.৫ মিলিয়ন থেকে ৮ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার (২.৯ মিলিয়ন থেকে ৩ মিলিয়ন বর্গ মাইল)(যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই গ্রহে ব্যপ্ত ছিল)[128] অঞ্চলে বৃক্ষছেদন হয়েছে।[129] [130] কয়েকজন বিজ্ঞানীর মতে এক্ষুনি যদি বিশ্বজুড়ে কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যেমন বহু পুরনো যেসব অরণ্য আছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা,[131] না নেওয়া হয় তবে ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট অরণ্যের মাত্র ১০ শতাংশ বেঁচে থাকবে,[132][133]আরো ১০ শতাংশের শোচনীয় অবস্থা হবে[134] এবং বাকি ৮০ শতাংশ বিনষ্ট হবে এবং এর সাথে হাজার হাজার দুর্লভ প্রজাতির অনলুপ্তির ঘটবে।[135] বিভিন্ন বৃষ্টি প্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৃক্ষছেদনের হারের ব্যাপক তারতম্য থেকে এই হার নির্ধারণের বাস্তবিক সমস্যাগুলি আন্দাজ করা যায়। কিছু পরিবেশ-সম্পর্কিত সংস্থার মতে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট ট্রপিকাল রেনফরেস্টের এক পঞ্চমাংশ ধ্বংস হয়েছে এবং রেন্ফরেস্টগুলি, যা ৫০ বছর আগে অবধি পৃথিবীর ১৪ শতাংশ ভূমি জুড়ে ছিল তা, এখন ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।[136] তারা এও বলেন যে ২০৯০ এর মধ্যে সমস্ত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।[137] যদিও লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের এলনি গ্রেনজার মনে করেন রেনফরেস্ট এলাকার দীর্ঘকালীন অবনতির কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।[138] বিতর্কিত বই দি স্কেপটিকল এনভাইরনমেন্টালিস্ট এর লেখক বজোঁ লমবোর্গ দাবি করেন যে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগের পর থেকে বিশ্বজুড়ে অরণ্য এলাকার কোন তারতম্য হয়নি।[140][142] একইভাবে অনেকে মনে করেন যে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় বছরে একর প্রতি রেনফরেস্ট বৃক্ষছেদন পিছু 50 একর নতুন বনভূমির সৃষ্টি হয়।[143]

গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় বৃক্ষছেদনের প্রকৃত ব্যাপ্তি নিয়ে সংশয় থাকার ফলে এই সব পরস্পর বিরোধী মতবাদের সৃষ্টি হযেছে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলির বৃক্ষছেদনের পরিমাপ এতটাই সংশয়পূর্ণ যে তা কম বেশি ৫০ শতাংশ ভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা।[145]২০০২ সালে আয়োজিত একটি উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত প্রতিচ্ছবির বিশ্লেষণ অনূযায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীর আদ্র অঞ্চলগুলির বৃক্ষছেদনের যে হার নির্ধারিত হয়েছে বাস্তবে তা প্রায় ২৩ শতাংশ কম।[146] অন্যদিকে উপগ্রহের পাঠানো ছবির একটি নতুন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে অ্যামাজন রেনফরেস্টে যে বৃক্ষছেদনের যে হার বিজ্ঞানীরা নির্ধারিত করেছেন বাস্তবে তা দ্বিগূণ।[147][148]

অনেকে মনে করেন যে অরণ্যছেদনের প্রবণতা কুজনেট রেখা (কার্ভ)[149] অনুযায়ী চলে, এই তথ্য যদি সত্যি হয় তবে অরণ্যগুলিকে অর্থনৈতিক সীমা বহির্ভূত ক্ষতির (যেমন হাজার হাজার প্রজাতির অবলুপ্তি) হাত থেকে বাঁচানোর কোন উপায় থাকবে না।[150][152]

রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার(FAO)২০০৫ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবীর মোট অরণ্য এলাকা বছরে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর হারে হ্রাস পেলেও বিশ্বব্যাপী অরণ্য ছেদনের হার কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কমেছে।[154][156] যদিও অনেকে মনে করেন যে রেনফরেস্ট ধ্বংসের হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।[157] লন্ডনে অবস্থিত, রেনফরেস্ট ফাউন্ডেসন জানায় "মাত্র ১০ শতাংশ প্রকৃত গাছ বিশিষ্ট এলাকাকে অরণ্যের সঠিক সংজ্ঞা মনে করে রাষ্ট্রপুঞ্জ অরণ্যছেদনের হার নির্ধারণ করেছে, এর থেকে বোঝা যায় যে সাভানা গোত্রীয় ইকোসিস্টেমগুলি এবং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বনাঞ্চলগুলিকেও এই প্রতিবেদনে অন্তরভুক্ত করা হয়েছে।[159] এফ.এ.ও.-এর তথ্যের অন্যান্য সমালোচকরা বলেন যে তারা অরণ্যের বিভিন্ন শ্রেনীর মধ্যে প্রকারভেদ করেন না,[160] এবং তারা মূলত প্রতিটি দেশের ফরেস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের (বন দপ্তর)-এর দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে[162] তাদের বিশ্লেষণ তৈরী করেন; এবং সেই কারণে বেআইনি কাঠ কাটার মত বেসরকারী কাজ কর্মগুলি তাদের বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত নয়।[163]

এই সমস্ত অনিশ্চয়তা সত্বেও এ ব্যাপারে সবাই একমত যে রেনফরেস্ট ধ্বংসের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত সমস্যা। ১৯৯০ এর পর থেকে পশ্চিম আফ্রিকার উপকুল সংলগ্ন রেনফরেস্টের প্রায় ৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়েছে।[165] দক্ষিণ এশিয়ার ৮৮ শতাংশ রেনফরেস্ট বিনষ্ট হয়েছে।[167] পৃথিবীর মোট রেনফরেস্টের সিংহভাগ রয়েছে অ্যামাজন নদীর তীরে, যেখানকার বিখ্যাত অ্যামাজন রেনফরেস্টের পরিমাপ প্রায় ৪ মিলিযোন বর্গ কিলোমিটার।[168] ২০০০ থেকে ২০০৫ এর মধ্যে সর্বোচ্চ হারে যেসব জায়গায় বৃক্ষছেদন হয়েছিল সেগুলি হল-মধ্য আমেরিকা (বছরে ১.৩ শতাংশ অরণ্য এলাকা হ্রাস পায়) এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়া।[169] ১৯৫০ এর পর থেকে মধ্য আমেরিকার নিম্নভুমির গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্যগুলির দুই তৃতীয়াংশ চারণভূমিতে পরিনত হয়েছে এবং গত ৪০ বছরে ৪০ শতাংশ রেনফরেস্ট ধ্বংস হয়েছে।[171] ব্রাজিল তার মাটা এটলানটিকা অরণ্যের ৯০-৯৫ শতাংশ হারিয়েছে।[173] মাডাগ্যাসকার তার পূর্বপ্রান্তের রেনফরেস্টের ৯০ শতাংশ হারিয়েছে।[174] [176] ২০০৭ এর রিপোর্ট অনুযায়ী হাইতির মোট অরণ্যের ১ শতাংশ অবশিষ্ট আছে।[178] মেক্সিকো, ভারত, লঙ্কা, লাওস,, নাইজেরিয়া, দি ডেমোক্রাটিক রিপাবলিক অফ দি কংগো, লাইবেরিয়া, গিনি, ঘানা, কোট ডি আইভোরি-এই সব দেশগুলিও বিরাট অংশের রেনফরেস্ট হারিয়েছে।[180][182] বেশ কিছু দেশ, বিশেষত ব্রাজিল অরণ্যছেদন বিষয়টিকে জাতীয় সংকট বলে ঘোষণা করেছে।[183][185]

এলাকাভিত্তিক অরণ্যছেদন

[186] পৃথিবী জুড়ে অরণ্যছেদনের হারের তারতম্য রয়েছে যার মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং আমেরিকার কিছু অংশ পরিবেশবিদদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। অরণ্যছেদনের ওপর নিয়ন্ত্রণ

কিওটো প্রটোকল

কিওটো প্রটোকল থেকে অরণ্যহানী রোধের একটি মুখ্য উপাদান পাওয়া যায়। অরণ্য ছেদন ও অরণ্যের অবনতির[REDD] প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা কমানো, যা এক প্রকার অরণ্য ছেদন রোধ করার প্রয়াস যেগুলি আর্থিক সুবিধা সৃষ্টি করে সেগুলিক ভবিষ্যতে কিওটো প্রটোকলের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।[187] বর্তমানে কিওটো প্রটোকল এর অধীনে নমনীয় প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে REDD, কার্যকরী করা হয় নি।(ক্লিন ডেভলপমেন্ট মেকানিসম, জয়েন্ট ইমপ্লিমেন্ট অ্যান্ড এমিশনস ট্রেডিং)। কৃষিকর্ম

আরোও অধিক পরিমাণ চাষাবাদের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন হচ্ছে, যেমন উচ্চফলন বিশিষ্ট হাইব্রিড শষ্য, গ্রিনহাউস,স্বাধীন নি্র্মান সংলগ্ন বাগান এবং হাইড্রপনিকস । প্রয়োজনীয় পরিমাণ ফলন নিশ্চিত করার প্রয়োজনে এইসব পদ্ধতি বেশিরভাগ সময়ই রাষায়নিক উপাচার নির্ভরশীল হয়। আবর্তনশীল কৃষিতে যখন কোন ভুমিকে উর্বর করার জন্য খালি রাখা হয় তখন তা গবাদি পশুর চারণভূমিতে রুপান্তরিত হয়। আবর্তনশীল কৃষি পদ্ধতি আসলে ভুমির উর্বরতা বাড়ায়। অতিমাত্রায় চাষের ফলে মাটি তার পুষ্টিগুন হারাতে পারে কারণ এই প্রক্রিয়ায় ফসলের বৃদ্ধির জন্য বর্ধিত হারে ট্রেস মেটিরিয়ালের(গাছপালা অথবা শষ্য বিকাশের জন্য অপরিহার্য ক্ষুদ্র উপাদান, যে উপাদানের অভাবে ফলন কম হয়) প্রয়োজন হয়।[188] অরণ্য পরিচালন ব্যবস্থা

দীর্ঘ সময় ধরে অরণ্যছেদন মন্থর বা রোধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, কারণ একথা বহুপূর্বেই স্বীকৃত হয়েছে যে অরণ্যছেদনের ফলে পারিপার্শিক ক্ষতির পরিমাত্রা কোন কোন ক্ষেত্রে একটি সমাজের পতনও ঘটাতে পারে। টোনগায় প্রধান প্রশাসকেরা অরণ্যহানীর দ্বারা চাষের জমি তৈরী করার তাত্ক্ষণিক লাভ ও অরণ্যছেদনের ফলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মধ্যে যে বিরোধ তা মেটানোর উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে কার্যকরী কিছু নীতি নির্ধারণ করেছিলেন।[189]সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দিতে জাপানের টোকুগাওয়ায় [190]শোগুনরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পামূলক (জাপানের সেনাবাহিনীর বংশানুক্রমিক সর্বাধিনায়ক) এক অতি সুক্ষ পদ্ধতির নির্মান করেছিল। ব্যবস্যায়ীক মূল্য বিশিষ্ট কাঠের বদলে অন্য গাছের চাষ করে এবং দীর্ঘদিনের চাষ করা অপুষ্ট জমির যোগ্য ব্যবহারের মাধ্যমে তারা পূর্বে কিছু শতাব্দী ধরে চলতে থাকা অরণ্যছেদন রোধ এমনকি তা বিপরীতমুখী করতেও সক্ষম হয়েছিল। ষড়শো শতাব্দিতে জার্মানির জমিদাররাও শিল্ভিকালচারের উদ্ভাবন করেছিলেন যা অরণ্যছেদনের সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে সক্ষম। যাইহোক এই সমস্ত নীতি বা পদ্ধতিগুলি সেইসব পরিবেশেই প্রযোজ্য ছিল যেখানে ভালো বৃষ্টিপাত হত, কোন খরার সময়কাল ছিল না, এবং যেখানকার মাটি খুব নরম(আগ্ণেগিরির ও তুষার পাতের ফল স্বরূপ)। যেখানকার মাটি পুরনো ও কম উর্বর সেখানে গাছ খুব আস্তে বাড়ে ফলে শ্লিভিকালচার সেখানে আর্থিক ভাবে লাভদায়ক হয়না এবং যেখানে আবহাওয়া খুব শুস্ক সেখানে অরণ্যে আগুন ধরে ফলন যোগ্য হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুকিও থেকে যায়। যেসব জায়গায় স্ল্যাস অ্যান্ড বার্ন (চাষবাসের একটি ধরন যেখানে ফসল ফলাবার উদ্দেশ্যে গাছপালা ও বনানী কেটে পুড়িয়ে ফেলা হয়)পদ্ধতি চালু আছে সেখানে যদি "স্ল্যাস অ্যান্ড চার" পদ্ধতি (স্লাস ও বার্ন পদ্ধতির একটি বিকল্প যা পরিবেশের উপর কম প্রভাব ফেলে) রূপায়িত করা যায় তবে অরণ্যছেদন ও ভুমির অবনতি রোধ করা সম্ভব। এর থেকে যে বায়োচার তৈরী হয় তা মাটিতে মেশালে শুধু যে কার্বন পৃথকীকরণের কাজ করে তা নয় ভুমির উর্বরতা রক্ষার ক্ষেত্রেও তা খুব উপযোগী। বাওচারের সঙ্গে মিশে টেরা প্রেটা তৈরী হয় যা পৃথিবীর উর্বরতম মাটি গুলির মধ্যে একটি এবং একমাত্র এটি নিজেই নিজেকে পুণরুজ্জিবীত করতে পারে।

ফলপ্রসু অরণ্য পরিচালনা পদ্ধতিগুলির প্রত্যায়ন

বিশ্বের বিভিন্ন প্রত্যায়ন পদ্ধতি যেমন PEFC এবং FSC দ্বারা প্রদত্ব প্রত্যায়ন পত্রগুলি সুস্থভাবে পরিচালিত অরণ্যগুলি থেকে সংগৃহীত কাঠের চাহিদা সৃষ্টি করে আদতে অরণ্যছেদন মোকাবিলায় সাহায্য করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি দপ্তরের(FAO)মতে,"রক্ষনাবেক্ষনের মাধ্যমে অরণ্য পরিচালনা করার পদ্ধতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি মুখ্য ভুমিকা পালন করে তা হ'ল রক্ষনাবেক্ষণ করে প্রস্তুত করা পণ্যগুলির চাহিদা এবং ক্রেতাদের মধ্যে বর্ধিত মূল্যে (ঐ পদ্ধতিতে উত্পাদন ব্যয় সাপেক্ষ)সে সব জিনিস কেনার উত্সাহ। নিয়ন্ত্রিত প্রয়াস থেকে বাজারভিত্তিক উদ্দীপকের প্রতি স্থানান্তরন, দীর্ঘস্থায়ী অরণ্য পরিচালন ব্যবস্থার প্রতি উত্সাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশাপত্র প্রদান প্রতিনিধিত্বস্বরূপ। রক্ষণশীলভাবে ব্যবহৃত অরণ্যাঞ্চলের উপাদানগুলি ধণাত্মক গূনাবলীর প্রচারের মাধ্যমে পরিবেশগত সংরক্ষণশীলতার ওপর নিবদ্ধতার শংসাপ্রদান করা হয়। [191] পুনঃঅরণ্যায়ন

[192] বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিশেষতঃ পূর্ব এশিয় দেশগুলিতে, অরণ্যের পুনর্নবিকরণ ও বৃক্ষরোপনের ফলে অরণ্যাঞ্চলের পরিধির বিস্তার ঘটছে।[193] বিশ্বের ৫০টি অরণ্যপ্রধান দেশের মধ্যে ২২টি তে বনভূমির বৃদ্ধি হয়েছে. শুধু মাত্র এশিয়াতেই ২০০০ থেকে ২০০৫ এর মধ্যে ১ মিলিয়ন হেক্টর অরণ্যাঞ্চলের বৃদ্ধি লাভ ঘটেছিল. এল স্যালভেডর এর ক্রান্তিয় অরণ্যাঞ্চল ১৯৯২ এবং ২০০১ এর মধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবনতার ওপর ভিত্তি করে একটি পর্যবেক্ষণে এটি পরিলক্ষত হয় যে ২০৫০ এর মধ্যে বিশ্ববনাঞ্চলের ১০ শতাংশ, ভারতবর্ষের সমতূল একটি অঞ্চল, বৃদ্ধি হবে।[194] গণতান্ত্রিক চীন, যেখানে ব্যাপক অরণ্যহানী ঘটেছিল, অতীতে সরকারি নির্দেশানুসারে ১১ থেকে ৬০ বছর বয়সী সকল সক্ষম নাগরিককে বছরে ৩টি থেকে ৫টি বৃক্ষ রোপন অথবা সম পরিমান অন্য অরণ্য সংক্রান্ত কাজে শ্রম দান করা বাধ্যতামূলক ছিল। চীন সরকার দাবি করে যে ১৯৮২ থেকে তাদের দেশে বছরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন বৃক্ষ রোপণ হয়ে থাকে. যদিও বর্তমানে এর আর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই, তবু প্রতিবছর ১২ই মার্চ চীনে বৃক্ষরোপণের ছুটি পালিত হয়। এছাড়াও বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে গোবি মরুভূমির বিস্তার রোধ করার জন্যেগ্রিন ওয়াল অফ চায়না বা চীনের সবূজ দেওয়াল, প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যাইহোক, রোপনের অল্পকাল পরেই বৃহত শতাংশে (৭৫ শতাংশ পর্যন্ত) চারাগুলির মৃত্যুর কারণে এই প্রকল্পটি সফল্ হয়েনি। [195] ১৯৭০ থেকে চীনের অরণ্যাঞ্চল ৪৭ মিলিয়ন হেক্টার বেড়েছে।.[196] মোট গাছের সংখ্যা ৩৫ বিলিয়ন এবং চীনের সমগ্র স্থলভাগের ৪.৫৫ শতাংশ অরন্যাঞ্চলের বৃদ্ধি হয়েছে। দুই দশক আগে চীনের অরণ্য এলাকা ১২ শতাংশ ছিল এবং আজ তা ১৬.৫৫ শতাংশ.[197]

এরিয়ালি ডেলিভারড রি-ফরেস্টেশন অ্যান্ড ইরোসান কন্ট্রোল সিস্টেম এবং প্রস্তাবিত সাহারা অরণ্য প্রকল্প একই সঙ্গে সি ওয়াটার গ্রিন হাউসচীনের কাছে একটি উচ্চাভিলাসী প্রয়াস।

পশ্চিমী দেশগুলিতে, রক্ষণশীল প্রক্রিয়ায় চাষকৃত ও উত্পাদিত কাঠজাত পন্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বনাঞ্চলের মালিকদের ও বনাঞ্চলভিত্তিক শিল্পপতিদের, অরণ্য পরিচালন এবং কাষ্ঠচাষের প্রতি আরোও অধিক দ্বায়িত্বশীল করেছে।

আর্বর ডে ফাউনডেশন্স-এর রেনফরেস্ট রেসক্যু প্রোগ্রামটি, একটি অরণ্যহানী রোধের সহায়তামূলক কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটি, কাষ্ঠ ব্যবসায়ীদের দ্বারা ক্রয়ের পূর্বেই, দানস্বরূপ গৃহীত অর্থে চিরহরিত বনাঞ্চলের জমিগুলি ক্রয় করে নেয় এবং রক্ষনাবেক্ষণ করে। এইভাবে আর্বর ডে ফাউনডেশন ঐসব জমিগুলির অরণ্যহানী রোধ করে। এর ফলে ঐ সব অরণ্যাঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী প্রাচীন আদিবাসিদের জীবনও সুরক্ষিত। আরো কিছু সংস্থা যেমন কম্যুনিটি ফরেষ্ট্রী ইন্টারন্যাশনাল, কুল আর্থ, দ্য নেচার কনসার্ভেন্সী,ওয়াল্র্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার, কনসার্ভেশন ইন্টারন্যাশনাল, আফ্রিকান কনসার্ভেশন ফাউনডেশন,এবং গ্রিনপিসও অরণ্যে বসবাসকারী মানুষ ও প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি গুরুত্বের সঙ্গেই করছে। বিশেষভাবে গ্রিনপিস, অক্ষত[198] অরণ্যাঞ্চলগুলিকে মানচিত্রে চিন্হিত করে ইন্টারনেটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।[200] হাউ স্টাফ ওয়ার্কসএকই রকম ভাবে আরোও সরল ও বিষয়ভিত্তিক একটি মানচিত্র[201]তৈরী করেছে যেখানে মানুষের জন্মের আগের(৮০০০ বছর আগে)অরণ্যের পরিমাপও এখনকার হ্রাস পাওয়া অরণ্যের[203]পরিমাপের পরিসংখ্যা রয়েছে। এই মানচিত্রগুলি থেকে মনুষ্যকৃত ক্ষতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অরান্যায়নের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

অরণ্যায়নের জন্য বৃক্ষরোপন

অরণ্যায়্ন বিষয়ক লেখক বটকিংস এবং সেজোর মতে বিশ্বের মোট কাঠের চাহিদা মেটানোর জন্য উচ্চফলনশীল বৃক্ষরোপনই উপযুক্ত। হিসাব করে দেখা গেছে যে বিশ্বের বর্তমান বনাঞ্চলের ৫ শতাংশেই বাত্সরিক হেক্টর প্রতি ১০ কিউবিক মিটার উত্পাদনশীল অরণ্যায়ন আন্তর্জাতিক বানিজ্যের প্রয়োজনের সমস্ত কাঠ সরবরাহ করতে সক্ষম। বিপরিতভাবে, প্রাকৃতিক বনভূমির উত্পাদন ক্ষমতা প্রতি হেক্টরে প্রায় ১ থেকে ২ ঘন মিটার, ফলে বিশ্বের মোট চাহিদা মেটানোর জন্য আরো ৫ থেকে ১০ গুন অধিক বনাঞ্চলের প্রয়োজন। অরণ্য বিশেষজ্ঞ চাড অলিভার, উচ্চফলনশীল বনাঞ্চলের সঙ্গে সংরক্ষিত জমির সামঞ্জস্য আনযনের একটি প্রস্তাব করেন।[204] FAO পরিসংখ্যানের একটি বিশ্লেষণে দেখা যায় বৃক্ষরোপন এবং অরণ্যায়্ন প্রকল্পগুলি "আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বনক্ষয়কে বিপরিতমূখী করতে পারবে"।[205]

বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে অরণ্যায়্ন কর্মসূচিগুলি আবহাওয়ার বৈচিত্রতার কারনে বৃষ্টিপাতের বৈচিত্রতার সূযোগ গ্রহণ করতে পারে। এটি অধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাযুক্ত স্থানগুলির পর্যবেক্ষণ (দেখুন গ্লোবালিস দ্বারা সৃষ্ট "২০৫০ প্রেসিপিটেশন"আখ্যানমূলক মানচিত্র)এবং সেই সকল স্থানে অরণ্যায়্ন কর্মসূচির প্রবর্তন দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। কিছু অঞ্চল যেমন নাইজার, সিয়েরা লিওনে এবং লাইবেরিয়া, মরু(সাহারা)সম্প্রসারণ ও জৈব বৈচিত্রতা হ্রাসের (যেগুলি জৈব বৈচিত্রতার অন্যতম প্রধান স্থান ছিল)কারনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রার্থীদের মধ্যে বিশেষভাবে গুরূত্বপূর্ণ।

সামরিক প্রসঙ্গ

যদিও জনসংখ্যার তাগিদে কৃষিকার্য ও নগরায়নের প্রয়োজনে অরণ্যহানীর ঘটনা সংখ্যাতত্বে অনেক অধিক, সামরিক কারনেরও কিছু উদাহরণ বর্তমান। ইচ্ছাকৃত অরণ্যহানীর একটি উদাহরণ, যা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর মার্কিন অধিকৃত জার্মানিতে সংঘটিত হয়েছিল।কোল্ড ওয়ার-এর পূর্বাবধি পরাজিত জার্মানিকে সম্ভাব্য সহযোগীর স্থলে সম্ভাব্য বিপদ হিসাবে দেখা হত। এই বিপদের মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যেই, জার্মানির শিল্প সম্ভাবনাগুলির, যাতে অরণ্যও একটি উপাদান ছিল, বিনাশ করার প্রচেষ্টা হযেছিল. মার্কিন সরকারী সূত্র স্বীকার করেছিল যে এর উদ্দেশ্য ছিল "জার্মান বনাঞ্চলের সামরিক অবস্থানগত প্রভাবের সম্পূর্ণ বিনাশ ঘটান।" অরণ্য সাফাই অভিযানের ফলস্বরূপ যে অরণ্যহীনী সংঘটিত হযেছিল "তার ক্ষতিপূরণ সম্ভবত একটি শতাব্দীব্যপী সুদীর্ঘ আরন্যায়্ন কর্মসূচির মাধ্যমেই সম্ভব।[206] যুদ্ধও অরণ্যহানীর কারণ হতে পারে - হয় ইচ্ছাকৃতভাবে যেমন,ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় বোমা এবং বুলডোজার সহ এজেন্ট অরেঞ্জ [207]দ্বারা বনভূমি আচ্ছাদনের[208] ৪৪ শতাংশের নাশ, বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে যেমন ১৯৪৫ সালের ওকিনাওয়ার যুদ্ধ এর গোলাবর্ষণ এবং সামরিক প্রতিরোধ প্রক্রিয়ার ফলে মাদকতাপূর্ণ ক্রান্তিয় ভূপ্রকৃতিকে "এক বিশাল সীসা ও শূককীটপূর্ণ পচনশীল কর্দমাক্ত প্রান্তরে" পরিনত করেছিল।[210] [211]

আরো দেখুন

[212] [213] বেতার মাধ্যমে আরন্যায়ন ও ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রচার প্রমান করা বায়োচার CDM & JIA/R প্রকল্প রোমান যুগে অরণ্যহানী কাম্বোডিযায় অরণ্যহানী মরুকরণ ইকোফরেষ্ট্রী অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ পরিবেশের ওপর কাগজের ব্যবহারের প্রভাব বনপালন ও কৃষিজ-বনপালন বিদ্যা অবৈধ বৃক্ষকর্তন জমি ব্যবহার, জমি ব্যবহারের পরিবর্তন এবং বনপালন বিদ্যা বাষ্পের আবর্তন পর্বতশৃঙ্গের স্থানচ্যুতি নব্যপ্রস্তর অধিক জনসংখ্যা চিরহরিত বনাঞ্চল রিচার্ড সেন্ট বার্ব বেকার স্যাটোয়ামা কর্তন এবং দহন কর্তন এবং দহন টেরা প্রেটা জনহীন স্থান অপরিবর্তিত অরণ্যভিত্তিক প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য বিশ্ব বনপালনবিদ্যার অধিবেশন [214] উল্লেখপঞ্জিসমূহ

পাদটিকাসমূহ

[215] সাধারণ উল্লেখ্যসমূহ

[216] BBC ২০০৫ টি.ভি.সিরিজে মানব জাতির ইতিহাস রূপায়নে ভূতাত্বিক উপাদান (নাম?) এ ন্যাচারাল হিস্টরি অফ ইউরোপ বা ইউরোপের একটি প্রাকৃতিক ইতিহাস-২০০৫ BBC এবং ZDF এর একটি যৌথউত্পাদন হুইটনি, গর্ডন জি.(১৯৯৬). ফ্রম কোস্টাল ওয়াইল্ডার্নেস টু ফ্রুটেড প্লেন:আ হিস্ট্রি অফ এন্ভাইরন্টাল চেঞ্জ ইন টেমপেরেট নর্থ আমেরিকা ফ্রম ১৫০০ টু প্রেসেন্ট. কেমব্রিজ, ইউ.কে.: কেমব্রিজ ইউনিভারসিটি প্রেস. ISBN 0-521-57658-X উইলিয়ামস, মাইকেল (২০০৩). ডিফরেস্টইং দ্য আর্থ. ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস,শিকাগো. ISBN 0-226-89926-8 উনডার, সেভেন (২০০০). দ্য ইকনমিকস অফ ডিফরেস্টেশন: দ্য এক্সামপল অফ ইকুয়েডর. ম্যাকমিলান প্রেস, লন্ডন ISBN 0-333-73146-8 FAO&CIFOR রিপোর্ট: ফরেস্ট অ্যান্ড ফ্লাডস:ড্রাউনিং ইন ফিক্সন অর থ্রাইভিং অন ফ্যাক্টস [217] [218] ইথিওপিয়ার অরণ্যহানীর প্রসঙ্গসমূহ

[219] প্যারি,জে.(২০০৩). বৃক্ষ ছেদনকারীদের বৃক্ষ রোপনকারীতে রূপান্তর। যথোচিত প্রযুক্তি, ৩০(৪),৩৮-৩৯। নভেম্বর ২২, ২০০৬ ABI/INFORM গ্লোবাল ডাটাবেস থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। (ডকুমেন্ট আই ডি:৫৩৮৩৬৭৩৪১)। হিলস্টর্ম ,কে অ্যান্ড হিলস্টর্ম, সি(২০০৩)। আফ্রিকা অ্যান্ড দ্য মিডল ইস্ট। এ কন্টিনেনটাল ওভারভিউ অফ এনভাইরনমেন্টাল ইসুস। সানটাবার্বারা, CA: ABC CLIO. উইলিয়ামস, এম.(২০০৬)। পৃথিবীর অরণ্যহানী: প্রাগঐতিহাসিক থেকে বিশ্ব সংকট:একটি সারমর্ম। শিকাগো:দ্য ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস। ম্যাককান. জে.সি.(১৯৯০)। এ গ্রেট অ্যাগ্রেরিয়ান সাইকল? প্রোডাকটিভিটি ইন হাইল্য্যান্ড ইথিওপিয়া, ১৯৯০ টু ১৯৮৭. জার্নাল অফ ইন্টারডিসিপ্লিনারি হিস্ট্রি,XX:3,389-416. রিটরাইভ্ড নভেম্বর ১৮,২০০৬, ফ্রম JSTOR ডেটাবেস। [220] বহিঃসুত্রাবলী

[221] অ্যামাজন রেনফরেস্ট ফান্ড এডপ্ট-অ্যান-একর গ্লোবাল ফরেস্ট রিসোর্সেস এসেসমেন্ট ২০০৫ বাই দ্য FAO বন এবং বনপালনবিদ্যা সমন্ধে একটি বোধনির্ভর পর্যালোচনা. ৩৫০ পৃষ্টার বিবরণী ও ১৫ পৃষ্টার সারাংশ অন্তর্ভুক্ত. ইউনাইটেড নেশনস আর্থওয়াচ EU ফরেষ্ট্রী কুল আর্থ ইউনাইটেড নেশনস ফোরাম অন ফরেস্টস CFAN-CIDA ফরেষ্ট্রী এডভাইসরি নেটওয়ার্ক ডিফরেস্ট্রেসন:ট্রপিকাল ফরেস্ট ইন ডিক্লাইন আমাদের বনভূমির অন্তর্ধান-গ্রিনপিস চায়না কোকেন ডেসট্রয়স ৪ স্কোয়ার মিটার অফ রেনফরেস্ট পার গ্রাম দ্য গার্ডিয়ান "অরণ্যহানী এড়িয়ে" আয় সহায়ক পরিকল্পনা -ওয়ার্ল্ডওয়াচ ইনস্টিটিউট ৩ডি ম্যাপিং ফর দ্য ক্লাউড ফরেস্ট ইন চানচামাও, পেরু লিঙ্ক টু স্কলারলি রিসোর্স সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভারসিটি. ইন দ্য মিডিয়া

মার্চ ১৪, ২০০৭, ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন:উন্নয়নশীল বিশ্বে বনভূমির ধ্বংস 'নিয়ন্ত্রনাতিত' ফিল্মস অনলাইন

ওয়াচ দ্য ন্যাশনাল ফিল্ম বোর্ড অফ কানাডা ডকুমেনটারিস অরণ্য রক্ষার লড়াই এবং বনভূমির সংকট [222]

অরণ্যউচ্ছেদ

জলবায়ুতে প্রভাববিস্তারকারী প্রতিনিধিসমূহ

বনপালনবিদ্যা

[223] [224] [225] [226] [227] [228] [229] [230] [231] [232] [233] [234] [235] [236] [237] [238] [239] [240] [241] [242] [243] [244] [245] [246] [247] [248] [249] [250] [251]

[1] ^ রিটার্নিং ফরেস্টস এনালাইজ্ড উইথ দ্য ফরেস্ট আইডেনটিটি,২০০৬ বাই পিক্কা ই.কপ্পি(ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োলজিকাল অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্সেস,ইউনিভারসিটি অফ হেলসিনকি)জেসসে এইচ. আউসুবেল(প্রোগ্রাম ফর দ্য হিউম্যান এনভাইরনমেন্ট,দ্য রকফিলার ইউনিভারসিটি),জিংইউন ফাং(ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোলজি,পিকিং ইউনিভারসিটি),আলেকজান্ডার এস.মাথের(ডিপার্টমেন্ট অফ জিওগ্রাফি এন্ড এনভাইরনমেন্ট,ইউনিভারসিটি অফ আবেরডিন),রজার এ.সেডজো(রিসোর্সেস ফর দ্য ফিউচার,এন্ড পল ই.ওয়াগনার(কানেকটিকাট এগ্রিকালচার এক্সপিরিমেন্ট স্টেশন) [2] ^ শক্তির ব্যবহার কর, ধনী হও এবং গ্রহকে বাঁচাও.দ্য নিউইয়র্ক টাইম্স,এপ্রিল ২০, ২০০৯ [4] ^ [3] [6] ^ [5] [8] ^ [7] [11] ^ [10] [13] ^ [12] [15] ^ [14] [17] ^ [16] [19] ^ [18] [21] ^ [20] [23] ^ [22] [25] ^ [24] [27] ^ [26] [30] ^ [29] [32] ^ [31] [34] ^ [33] [38] ^ [37] [40] ^ [39] [42] ^ [41] [43] ^ অরণ্যউচ্ছেদ,সায়েন্স ডেইলি [44] ^ অনুমোদিত:অরণ্যহানী আবহাওয়া পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে,সায়েন্স ডেইলি,মে ১১,২০০৭ [45] ^ অরণ্যউচ্ছেদ বিশ্ব উষ্মায়নের কারন ,FAO [46] ^ ফিলিপ এম.ফিয়ার্নসিড 1 অ্যান্ড উইলিয়াম এফ.লরেন্স,ট্রপিকাল ডিফরেস্টেসন অ্যান্ড গ্রিন হাউস-গ্যাস এমিসনস, ইকলজিকাল এপ্লিকেসন, ভল্যুম 14, ইস্যু ৪(আগস্ট ২০০৪)পিপি. ৯৮২-৯৮৬ [48] ^ [47] [49] ^ http://www.ipcc.ch/pdf/assessment-report/ar4/wg1/ar4-wg1-chapter7.pdf IPCC ফোর্থ এসেসমেন্ট রিপোর্ট, ওয়ার্কিং গ্রুপ I রিপোর্ট "দ্য ফিজিকাল সায়েন্স বেসিস", সেকসন ৭.৩.৩.১.৫(পি. ৫২৭) [50] ^আই.সি. প্রেন্টিস "দ্য কার্বন সাইকেল অ্যান্ড এটমস্ফেরিক কার্বনডাইঅক্সাইড" IPCC, http://www.grida.no/CLIMATE/IPCC_TAR/wg1/pdf/TAR-03.PDF [52] ^ ব্রিঙ্গিং 'REDD' ইনটু আ নিউ ডিল ফর দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট, এস.ওয়ার্ত্জ-কানোউনিকফ, এল.জিমেনা রুবিও আলভারাডো, এনালিসেস, n°2, ২০০৭, ইন্সটিটিউট ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস.[51] [54] ^ [53] [55] ^ ব্রোএকার, ওয়ালেস এস.(২০০৬). "ব্রিদিং ইসি": Et tu, O2." কলোম্বিয়া ইউনিভারসিটি http://www.columbia.edu/cu/21stC/issue-2.1/broecker.htm. [56] ^ মোরান,ই.এফ.,"ব্রাজিলের অ্যামাজনে অরণ্যউচ্ছেদ এবং জমির ব্যবহার", হিউম্যান ইকোলজি, ভোল ২১, নাম্বার. ১,১৯৯৩" [60] ^ [59] [62] ^ [61] [63] ^ চীনের বন্যা:অরণ্য উচ্ছেদকে কি দায়ী করা যায়?,BBC নিউজ [65] ^ [64] "[67] ^ জমি, জল এবং গ্রহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট জলসেচনের ক্ষেত্রে গুরুত্তপূর্ণ।" নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি। [70] ^ http://www.actionbioscience.org/environment/nilsson.html আমাদের কাছে কি যথেষ্ঠ পরিমানে বনভূমি আছে? বাই স্টেন নিলসন [72] ^ [71] [73] ^ রেনফরেস্ট বায়োডাইভার্সিটি শোস ডিফারিং প্যাটার্নস.সায়েন্স ডেইলি, আগস্ট ১৪,২০০৭ [75] ^ [74] [76] ^ সিংগল-লার্জেস্ট বায়োডাইভার্সিটি সার্ভে সেস প্রাইমারি রেনফরেস্ট ইজ ইরিপ্লেসেবেল,বায়োমেডিসিন,নভেম্বর ১৪,২০০৭ [77] ^ ট্রপিকাল রেনফরেস্ট-দ্য ট্রপিকাল রেনফরেস্ট,BBC [79] ^ [78] [80] ^ U.N.কলস অন এশিয়ান নেশনস টু এন্ড ডিফরেস্টেসন.রিউটার্স [82] ^ [81] [83] ^ ট্রপিকাল রেনফরেস্ট-রেনফরেস্ট ওয়াটার অ্যান্ড নিউট্রিএন্ট সায়কেল্স,BBC [84] ^ প্রাইমারি রেনফরেস্ট রিচার ইন স্পেসিস দ্যান প্ল্যানটেসন, সেকেন্ডারী ফরেস্টস, জুলাই ২,২০০৭ [85] ^ পিম,স্টুয়ার্ট এল,রাসেল,গারেথ যে,গিত্লিম্যান,জন এল,ব্রুকস,থমাস এম. ১৯৯৫ "দ্য ফিউচার অফ বাইওডিভার্সিটি" সায়েন্স ২৬৯:৫২২২ ৩৪৭-৩৪১ [86] ^ থিম্থী চার্লস অ্যান্ড হোইটমোর,জেফরি শেয়ার, ১৯৯২ "ট্রপিকাল ডি ফরেস্টেসন এন্ড স্পেসিস এক্সটিন্টসন" ইন টার ন্যাশনল ইউনিয়ন ফর কন্জার্ভেসন অফ নেচার অ্যান্ড নাচারাল রিসোর্সেস কমিসন অন ইকোলজি. [88] ^ পিম,স্টুয়ার্ট এল,রাসেল,গারেথ যে,গিত্লিম্যান,জন এল,ব্রুকস,থমাস এম. ১৯৯৫ "দ্য ফিউচার অফ বাইওডিভার্সিটি" সায়েন্স ২৬৯:৫২২২ ৩৪৭-৩৪১ [90] ^ [89] [91] ^ লিকি,রিচার্ড অ্যান্ড রজার লিউইন, ১৯৬০, দ্য সিক্সথ একটিন্টসন: প্যাতার্নস অফ লাইফ এন্ড দ্য ফিউচার অফ হিউম্যানকাইন্ড,এনকর,ISBN 0-385-46809-1 [92] ^ দ্য গ্রেট রেনফরেস্ট ট্রাজেডি,দ্য ইনডিপেনডেন্ট [93] ^ বাইওডিভার্সিটি ওয়াইপআউট ফেসিং সাউথ ইস্ট এশিয়া, নিউ সাইনটিস্ট,২৩ জুলাই ২০০৩ [95] ^ নেচার লস 'টু হার্ট গ্লোবাল পুওর',BBC নিউজ, মে ২৯,২০০৮ [96] ^ [96] ^ http://atlas.aaas.org/pdf/63-66.pdf বন সামগ্রী [98] ^ [97] [99] ^ ডিফরেস্টেসন এক্রস দ্য ওয়ার্ড'স ট্রপিকাল ররেস্টস এমিট লার্জ এমাউন্ট অফ গ্রিনহাউস গ্যাস উইথ লিটিল ইকনমিক বেনিফিটস,একরডিঙ টু আ নিউ স্টাডি এট CGIAR.org.ডিসেম্বর ৪,২০০৭ [101] ^ [100] [104] ^ [103] [106] ^ [105] [109] ^ [108] [111] ^ [110] [112] ^ সি মাইকেল হগান. ২০০৭. নসস ফিল্ডনোটস,দ মর্ডান এন্টিকুরিয়ান [114] ^ [113] [115] ^ টিজার্দ এইচ, ভান এন্দেল, এবারহার্ড জ্যান্জের,এনে দেমত্রিক,"ল্যান্ড ইউজ অ্যান্ড সযেল ইরসিওন ইন প্রি হিস্তরিক এন্ড হিস্টোরিক গ্রিস'জার্নাল অফ ফিল্ড আর্কীয়লোজি ১৭.৪ (উইন্টার ১৯৯০),পিপি.৩৭৯-৩৯৬ [116] ^ ইস্টার আইল্যান্ড এর রহস্য,স্মিথসোনইএন ম্যাগাজিন,এপ্রিল ০১,২০০৭ [118] ^ [117] [120] ^ [119] [124] ^ ইন ক্লোসিং দ্য সিভিলায়জেসন অফ দ্য মিডিল এজেস:দ্য লাইফ অ্যান্ড ডেথ অফ আ সিভিলায়জেসন (১৯৯৩)পিপি ৫৬f [126] ^ ই.ও.উইলসন,২০০২,দ্য ফিউচার অফ লাইফ,ভিনতেজ ISBN 0-679-76811-4 [127] ^ ম্যাপ রিভিলস এক্সটেন্ট অফ ডিফরেস্টেসন ইন ট্রপিকাল কান্ট্রিস,gardian.co.uk,জুলাই 1,2008 [128] ^ ম্যাকক,পল এফ,অরণ্যউচ্ছেদ. ওয়াল্র্ড বুক অনলাইন. [129] ^ রন নিয়েলসেন, দ্য লিটিল গ্রিনহ্যান্ডবুক:সেভেম ট্রেন্ডস শেপিং দ্য ফিউচার অফ আওয়ার প্ল্যানেট, পিকাদর, নিউয়র্ক (২০০৬) ISBN 978*0312425814 [130] ^ রেনফরেস্ট-ফ্যাক্টস অ্যান্ড ইনফরমেসন এবাউট দ্য রেন্ফরেস্ট. [138] ^ এডাম,ডেভিড . বিশ্বের অরণ্যউচ্ছেদের পরিসংখ্যান আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। দ্য গার্জিয়ান। জানুয়ারি ৮,২০০৮ [140] ^ [139] [142] ^ [141] [143] ^ নতুন অরণ্য চিরহরিতঅরণ্যের ওপর বিতর্কে উত্সাহিত করেছে দ্য নিউইর্ক টাইমস,জানুয়ারি ৩০,২০০৯ [145] ^ আবহাওয়া পরিবর্তনের(২০০০)ওপর আন্তর্জাতিক সরকারী সভা ভূমির ব্যবহার,ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং বনপালনবিদ্যা. কেমব্রিজ ইউনিভারসিটি প্রেস। [144] [146] ^ ফ্রেডেরিক এখার্দ,হাগ ডি ইভা,হান্স-জুরগেন স্তিবিগ,ফিলিপ মায়াউক্স(২০০২). "ডিটারমিনেসন অফ ডি ফরেস্টেসন রেট্স অফ দ্য ওয়ার্ল্ড'স হিউমিড ট্রপিকাল ফরেস্টস." সায়েন্স ২৯৭:৫৫৮৩:পিপি ৯৯৯-১০০৩ [147] ^ ঝা, আলোক. অ্যামাজন চিরহরিত অরণ্য আগের থেকে দ্বিগুন হারে বিলুপ্ত হচ্ছে। দ্য গার্জিয়ান। অক্টোবর, ২১,২০০৫ [148] ^ উপগ্রহের ব্যবহার অ্যামাজন অরণ্য তরতর বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রমান তুলে ধরছে।csmonitor.com [149] ^ http://www.aseanenvironment.info/Abstract/41014849.pdf ডিফরেস্টেসন অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট কুজনেটস কার্ভ:এন ইনস্টিটিউসনাল পার্সপেক্টিভ। [150] ^ এনভায়রনমেন্টাল ইকনমিক্স:আ ডিফরেস্টেসন কুজনেট কার্ভ?নভেম্বর ২২,২০০৬ [152] ^ [151] [154] ^ [153] [156] ^ [155] [157] ^ ওয়ার্ল্ডওয়াচ:উড প্রোডাকসন অ্যান্ড ডিফরেস্টেসন ইনক্রিজ এন্ড রিসেন্ট কন্টেন্ট,ওয়ার্ল্ডওয়াচ ইনস্টিটিউট [159] ^ [158] [160] ^ ভয় এর কারণ এই যে বিভিন্ন বাসস্থান তৈরির জন্য গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে চিরহরিত অরণ্য খুব ব্যাপক হারে বিনষ্ট হচ্ছে যা আংশিক ভাবে হলেও অরণ্য উচ্ছেদের কারণ হচ্ছে এবং বনভূমিকে রুক্ষ ও ফাঁকা করে দিচ্ছে। এই ভুলের জন্য,সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে যার ফলে(বাসস্থান তৈরি ) অরণ্য ছেদন হচ্ছে এবং এটি সারা বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। [162] ^ [161] ওয়াল্র্ড ব্যান্কএর পরিসংখ্যান বলছে যে ৮০ শতাংশ গাছ কাটা বলিভিয়া তে এবং কম্বোডিয়ায় ৪২ শতাংশ গাছ কাটা [163] ^ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে পেরুতে অবৈধভাবে ৮০ শতাংশ গাছ কাটা হযেছে। (ওয়ার্ল্ড ব্যান্ক (২০০৪)। ফরেস্ট ল এন্ফ্রোসমেন্ট দ্য পেরুভিয়ান এনভায়রনমেন্টাল ল সোসাইটি (২০০৩)। কেস স্টাডি অন দ্য ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লেমেনটেসন অফ গাইডলাইন ফর দ্য কন্ট্রোল অফ ইললিগাল লগিং উইথ অ ভিউ টু সসতেনেবেল ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট ইন পেরু।) [165] ^ [164] [167] ^ [166] [168] ^ দ্য অ্যামাজন রেনফরেস্ট,BBC [171] ^ [170] [173] ^ [172] [174] ^ IUCN-তিনটে নতুন সাইড ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্ট এ অন্তর্ভুক্ত করা হযেছে।জুন ২৭,২০০৭ [176] ^ [175] [178] ^ [177] [180] ^ [179] [182] ^ [181] [183] ^ অ্যামাজনএ অরণ্য উচ্ছেদ ২০০৭ সাল থেকে প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে.USATODAY.com,জানুয়ারি ২৪,২০০৮ [185] ^ [184] [187] ^ ওয়ালশ,ব্রায়ান। গ্রিন ব্যাঙ্কস:পেইং কান্ট্রিস টু কিপ দিয়ার ট্রিস।" টাইম ডিসেম্বর ৪,২০০৮। [189] ^ ডাইমন্ড,জার্প্দ কলাপ্স:হাউ সসিতিস চুস টু ফেল অফ সাকসিড;ভাইকিং প্রেস ২০০৪, পাজেস ৩০১-৩০২ [190] ^ ডাইমন্ড, পেজেস ৩২০-৩৩১ [191] ^ "স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস ফরেস্টস ২০০৯". ইউনাইটেড নেশনস ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেসন [193] ^ জোনাথান এ ফলি, রুথ দিফ্রাইস,গ্রেগরী পি এস্নার,ক্যারল বার্ফোর্দ,এত অল। ২০০৫ "গ্লোবাল কোন্সিকুএন্সেস অফ ল্যান্ড ইউজ"সায়েন্স ৩০৯:৫৭৩৪ ৫৭০-৫৭৪ [194] ^ জেমস ওয়েন,২০০৬,"ওয়ার্ল্ড'স ফরেস্টস রিবাউনডিং,স্টাডি সাজেস্টস "ন্যাশনাল জীয়গ্রাফিক নিউজ http://news.nationalgeographic.com/news/2006/11/061113-forests.html [197] ^ জন গিটিংস,২০০১,"ব্যাট্লিং চায়নাস ডিফরেস্টেসন"ওয়ার্ল্ড নিউজ http://www.guardian.co.uk/world/2001/mar/20/worlddispatch.china [200] ^ [199] [201] ^ বিশ্ব বনভূমির সামগ্রিক মানচিত্র [203] ^ [202] [204] ^ নো ম্যানস গার্ডেন ডানিয়েল বি.বুত্কিন পি ২৪৬-২৪৭ [205] ^ স্যামপ্লে,ইএন। ফরেস্টস আর পইজেদ টু মেক আ কামব্যাক,স্টাডি শোওশ"। দ্য গার্জিয়ান। নভেম্বর ১৪, ২০০৬. [206] ^ নিকোলাস বালাব্কিনস,"জার্মানি আন্ডার ডএইরেক্ট কোনট্রোলস;ইকনমিক এসপেক্তস অফ ইন্ডাসত্রিয়াল ডিসারমামেন্ট ১৯৪৫-১৯৪৮,রাত্জার্স ইউনিভার্সিটি প্রেস,১৯৬৪.পি.১১৯ দ্য টু কোটস ইউসড বাই বালাব্কিনস আর রেফারেন্সড টু রেসপেকটিভলি; U.S. অফিস অফ মিলিটারী গভর্মেন্ট. আ ইআর অফ পটসডাম:দ্য জার্মান ইকনমি সিনস দ্য সারেন্ডার (১৯৪৬),পি ৭০;অ্যান্ড U.S. অফ মিলিটারী গভর্মেন্ট.দ্য জার্মান ফরেস্ট রিসোর্সেস সার্ভে(১৯৪৮)। পি. II.ফর সিমিলার অব্সার্ভেসন সী জি.ডাব্লু.হার্ম্সেন,রেপারাটীয়নেন,সজিয়ালপ্রডাক্ট,লেবেনস্ট্যানডার্ড(বৃমেন:এফ ত্রুজেন ভের্লাগ.১৯৪৮),১,৪৮ "[207] ^ এনসাইক্লোপেডিয়া অফ ওয়ার্ল্ড এনভাইরনমেন্টাল হিস্ট্রি". রত্লেজ,২০০৪ ISBN 04 15937337 [208] ^ পাত্রিসিয়া মার্চক,"লগিং দ্য গ্লোব"পি.১৫৭ [210] ^ [209] HIDDEN TEXT This section contains tooltips, titles and other text that are usually hidden in the body of the HTML page. This text should be translated to bring the entire page into your language. HTML ATTRIBUTES দক্ষিণ মেক্সিকোতে কৃষিকাজের জন্য অরণ্য পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। অরণ্যউচ্ছেদ এবং রাস্তাঘাট ও বাসস্থানের বৃদ্ধি অ্যামাজন অরণ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ মানবজাতির অরণ্যের ওপর অধিক অনধিকার প্রবেশ, সম্ভারের নিষ্কাশন জৈব বৈচিত্রের ওপর আঘাত হানছে। ডিফরেস্টেসন ফর দ্য ইউজ অফ ক্লে ইন রিও দে জানেইরো সিটি-ব্রাজিল। মর্র দা কভানকার চিত্র-জাকারেপাগুয়া। নিওলিথিক সৈন্যশ্রেনীর জন্য হস্তনির্মিত বস্তু এছাড়া ব্রেসলেট,কুঠার,ছেনী এবং মসৃন অস্ত্র তৈরি করা হত। ইস্টার্ন বলিভিয়ার তিয়েরাস বাজাস প্রজেক্ট এর কাক্ষিক চিত্রে মানুষের দ্বারা অরণ্য উচ্ছেদ প্রদর্শিত। অকিনাওয়া তে আমেরিকার শের্মান ট্যাঙ্ক জাপানি কামান দ্বারা পর্যুদস্ত হয়েছিল।