ব্যবহারকারী:রিজওয়ান আহমেদ/কায়সানিয়

কায়সানিয় (আরবি: كيسانية, রোমানাইজড: Kaysāniyya) ছিলেন ইসলামের একটি শিয়া সম্প্রদায় যারা আল-মুখতারের অনুসারীদের থেকে গঠিত হয়েছিল। তারা ইমামতি মুহাম্মদ ইবনে আল-হানাফিয়ার এবং তার বংশধরদের থেকে অনুসরণ করেছিল। কায়সানিয় নামটি সম্ভবত মুখতারের প্রধান রক্ষী আবূ আমরা কায়সানের নাম থেকে এসেছে।

উৎপত্তি সম্পাদনা

কায়সানিয় সম্প্রদায়টি আল-মুখতার আল-তাকির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি ছিলেন একজন শিয়া নেতা যিনি ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের কুফায় একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মুখতার দাবি করেছিলেন যে তিনি মুহাম্মদ ইবনে আল-হানাফিয়ারের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যিনি ছিলেন আলী ইবনে আবি তালিবের পুত্র এবং শিয়াদের দ্বারা দ্বিতীয় ইমাম হিসাবে বিবেচিত।

বিশ্বাস সম্পাদনা

কায়সানিয়রা বিশ্বাস করত যে ইমামতি মুহাম্মদ ইবনে আল-হানাফিয়ারের পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদে অবতরণ করেছিল। তারা আরও বিশ্বাস করত যে ইমাম একটি অলৌকিকভাবে সুরক্ষিত জীবনযাপন করেছিলেন এবং তিনি একজন অদৃশ্য অবস্থায় ছিলেন।

বিভক্তি সম্পাদনা

৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে মুখতারের মৃত্যুর পর কায়সানিয় সম্প্রদায়টি দুটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল:

  • নাজারিয়া: এই দলটি বিশ্বাস করত যে ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ এখনও বেঁচে আছেন এবং তিনি অদৃশ্য অবস্থায় আছেন।
  • ইয়াজিদিয়া: এই দলটি বিশ্বাস করত যে ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ মারা গেছেন এবং তার পুত্র ইয়াজিদ ইবনে আবদুল্লাহ তার উত্তরাধিকারী।

নাজারিয়া সম্পাদনা

নাজারিয়া কায়সানিয়রা সবচেয়ে বড় দল হয়ে ওঠে। তারা বিশ্বাস করত যে ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ এখনও বেঁচে আছেন এবং তিনি অদৃশ্য অবস্থায় আছেন। তারা বিশ্বাস করত যে তিনি শেষ বিচারের দিন ফিরে আসবেন এবং বিশ্বের উপর শাসন করবেন।

ইয়াজিদিয়া সম্পাদনা

ইয়াজিদিয়া কায়সানিয়রা একটি ছোট দল ছিল। তারা বিশ্বাস করত যে ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ মারা গেছেন এবং তার পুত্র ইয়াজিদ ইবনে আবদুল্লাহ তার উত্তরাধিকারী। তারা বিশ্বাস করত যে ইয়াজিদ ইমামদের একটি নতুন বংশের প্রতিষ্ঠাতা।

উপসংহার সম্পাদনা

কায়সানিয় সম্প্রদায়টি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তারা শিয়া চিন্তার বিকাশে অবদান রেখেছিলেন এবং তারা ইরাকের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি ছিল।