ব্যবহারকারী:জুনায়েদ বি রাহমান/খেলাঘর

অবস্থান: দাসের বাজার,বড়লেখা জেলা: মৌলভীবাজার বিভাগ : সিলেট দেশ: বাংলাদেশ

শাহ খাজা জমে মসজিদঃ মসজিদটি বড়লেখা উপজেলার প্রাচীন জনপদ দাসেরবাজারে অবস্থিত। মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদটি স্থানীয়ভাবে খোঁজার মসজিদ অথবা মান্নতের মসজিদ নামে পরিচিত। প্রায় ৬০০ বছরের পুরানো এই মসজিদটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট, কারুকার্যময়। মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় ৭৮ ইঞ্চি। প্রাচীর, সংশ্লিষ্ট মিনার ও তোরণসহ পুরো মসজিদ ভবন চুন-সুরকিতে নির্মিত।

শাহ খাজা জমে মসজিদ

সম্পাদনা

অবস্থান: দাসের বাজার,বড়লেখা জেলা: মৌলভীবাজার বিভাগ : সিলেট দেশ: বাংলাদেশ

শাহ খাজা জমে মসজিদঃ মসজিদটি বড়লেখা উপজেলার প্রাচীন জনপদ দাসেরবাজারে অবস্থিত। মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদটি স্থানীয়ভাবে খোঁজার মসজিদ অথবা মান্নতের মসজিদ নামে পরিচিত। প্রায় ৬০০ বছরের পুরানো এই মসজিদটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট, কারুকার্যময়। মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় ৭৮ ইঞ্চি। প্রাচীর, সংশ্লিষ্ট মিনার ও তোরণসহ পুরো মসজিদ ভবন চুন-সুরকিতে নির্মিত।

ইতিহাসঃ প্রাচীনতম এই মসজিদটি কখন কে বা কারা নির্মাণ করেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য অদ্যাবধি নেই। তবে প্রজন্ম পরম্পরায় স্থানীয় লোকজন জানতে পেরেছে মসজিদটি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়কার। (লঘাটি গ্রামের অভিজাত বংশের উত্তরাধিকারী মতছির আলী মাস্টারের ঘরে সুরক্ষিত বাদশাহী ফরমানের তথ্য অনুযায়ী। ফরমানটি ১০৭৫ হিজরির ২ রবিউল আউয়াল তারিখে সংরক্ষিত।) আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার তৎকালীন সুবেদার খাজা শাহবাজের ভাই খাজা শেখ মুসা আলমগীর বিশ্বস্ত কর্মচারী হিসেবে জায়গির পেয়ে লঘাটিতে স্থায়ী হন। এলাকাবাসীসহ প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার তৎকালীন সুবেদার খাজা শাহবাজের ভাই খাজা শেখ মুসা আলমগীর জায়গির পেয়ে লঘাটিতে বসবাস করেন। অনেকের ধারণা, মসজিদটি খাজা মুসার নির্মিত। ধ কালের আবর্তে খাজা মসজিদটি ‘খোঁজার মসজিদ’ হিসেবে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে বাইরেও পরিচিতি লাভ করেছে। ঐতিহ্যবাহী এই খাজা মসজিদের একটি বিশেষ গুণ হলো-এখানে যে কেউ যে কোনো কিছু মানত করলে ফল পাওয়া যায়। এখানে এসে কেউ বিফল হয়েছেন এমন কেউ খোঁজে পাওয়া কঠিন। আর তাই বিভিন্ন আশা ও মানত নিয়ে এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার নারী-পুরুষ আবালবৃদ্ধবণিতার আগমনের সংখ্যা বেড়ে যায়। খাজা মসজিদের উত্তর-পূর্বে রয়েছে খাজা দীঘি। এককালে এর ব্যাপ্তি ও পরিসর ছিলো ২০ একর জায়গাজুড়ে। সেই পুকুরের অস্তিত্ব এখনো থাকলেও অনেকটা ছোটো হয়ে এসেছে। দীঘির পশ্চিমাংশে এককালে একটি সুরম্য আবাসস্থল ছিলো, যা কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে। এর পাশেই রয়েছে চুন-সুরকিতে পাকা কবরস্থান। সময়ের বিবর্তন আর অযতœ-অবহেলায় কবরস্থানের অস্তিত্বও বিলুপ্তির পথে।