ব্যবহারকারী:আশরাফুজ্জামান বাবু/খেলাঘর

আশরাফুজ্জামান বাবু------নাট্যকার, ছড়াকার,গল্পকার।

আশরাফুজ্জামান বাবু’র উল্লেখযোগ্য একটি ছড়া ‘‘বঙ্গমাতা’’। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদায়িনী নারী। এই মহীয়সী নারী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন। জনগণের জন্য সমগ্র জীবন তিনি অকাতরে দুঃখবরণ করেছেন এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। বঙ্গমাতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

বঙ্গমাতা

আশরাফুজ্জামান বাবু

‘রেণু’ নামে এই দেশেতে আছে অনেক নারী,

সহসী এক ‘রেণু’র কথা আমি বলতে পারি।


উনিশ শত ত্রিশ সালের আগস্ট মাসের আট,

টুঙ্গিপাড়ার শেখ বাড়িতে বসে খুশির হাট।

খুশি দাদু শেখ কাশেম, নাতনীকে নেয় কোলে,

দাদুর খুশি ‘রেণু’র হাসি সুখের তুফান তোলে।


বয়স মাত্র তিন হয়েছে উঠছে কেবল বেড়ে,

হঠাৎ বাবা শেখ জহুরুল তাকে গেলেন ছেড়ে।

বোঝে না তো ছোট্ট ‘রেণু’ আনন্দ বা শোক,

কেন মা হোসনে আরা শুধুই মোছে চোখ।


পাঁচ বছরের শিশু ‘রেণু’ কী বা তখন বোঝে,

ফরিদপুরের ঘরে ঘরে মাকেই কেবল খোঁজে।

না পেয়ে সে দিনে দিনে পাথর বাঁধে বুকে,

সারা জীবন তাই অবিচল শত ঝড়ের মুখে।


‘রেণু’ ‘মিশন স্কুলে’ যায়, বন্ধু পড়ার বই,

চলো ওই ‘রেণু’র কথা আরো কিছু কই।


পুতুল খেলার দিন ফুরালো ‘রেণু’ হলো বড়,

তারপরে কী ঘটে গেলো সেই ঘটনা পড়ো।


হলুদ বাটে মেন্দি বাটে বাজে সানাই-সুর,

টোপর মাথায় বরের সাজে এলেন মুজিবুর।


শ্বাশুড়ি মা শেখ সায়েরা, শ্বশুর বাবা লুৎফর,

‘রেণু’ তাদের ঘরে যে এক আলোর কারিগর।


বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এক মালাতে গাথা,

সেই মালাটি গেঁথে ‘রেণু’ হলেন ‘বঙ্গমাতা’।

০৮.০২.২০১৬


নাটকঃ

প্রথম নাটকঃ অযতন যতনে (বৈশাখী টিভির তোমার গল্পে সবার ঈদ-এ নির্বাচিত গল্প) গল্পঃ আশরাফুজ্জামান বাবু নাট্যরুপঃ আহসান আলমগীর চিত্রনাট্য ও পরিচালনাঃ তুহিন অবন্ত অভিনয়ঃ আজিজুল হাকিম, তাজিন আহমেদ, শশী, উজ্জ্বল মাহমুদ, তুলি, কাসিফ, কাজী উজ্জ্বল প্রমূখ। বৈশাখী টেলিভিশন, ২৬/০৮/২০১২, ঈদ-উল-ফিতরের ৭ম দিন রাত ১০: ৩০মিনিট

দ্বিতীয় নাটকঃ গীত গল্পঃ আশরাফুজ্জামান বাবু চিত্রনাট্যঃ ফাহমিদা মাহমুদ ও মাতিয়া বানু শুকু পরিচালনাঃ মাতিয়া বানু শুকু অভিনয়ঃ স্বাগতা, কল্যান কোরাইয়া, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, নাজনীন নাজ, আখি, সুমি, মামুন প্রমূখ। চ্যানেল নাইন, ২৭/১০/২০১২, ঈদ-উল-আযহার দিন বেলা ০৩: ৩৫মিনিট


  • ঊধ্বপতন
  • সদা সত্য বলিবো
  • দারুন অফার (সাপ-লুডু প্রেম)
  • কাকাতুয়া
  • চিরকালের আকুতি
  • দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
  • ভালোবাসা ভাড়া চাই (ধারাবাহিক)

মঞ্চ নাটকঃ ময়নার বিদায় একাধিক বার সফল মঞ্চায়ন।

যৌথভাবে প্রকাশনাঃ বাংলাদেশের ভ্যালেনটাইন ছড়া আজ আমাদের ছুটি ভালবাসার নীল পদ্ম সোনালী জলের ঘ্রান

বলা বাহুল, গত জুলাই (2012) মাসে বৈশাখী টেলিভিশন আয়োজিত ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী তোমার প্রেমের গল্পে সবার ঈদ" শিরোনামে গল্প আহ্ববান করে, সেই আহ্বাবানে সাড়া দিয়ে সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার গল্প জমা পড়েছিল। সেখান থেকে সেলিনা হোসেন,ইমদাদুল হক মিলন,ওবায়েদ আকাশ,মোহন খান এবং জাফর আহমেদ রাশেদ-এর বিচারক প্যানেল সাতটি গল্প নির্বাচন করেন। নির্বাচিত সাতটি গল্প অবলম্বনে ঈদুল ফিতরের জন্য নাটক নির্মিত হয়। সেই সাতটি গল্পের একটি ছিল রংপুরের আশরাফুজ্জামান বাবুর অযতন যতনে" । অনুষ্টানে আরও উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধরী, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, অঞ্জন আইচ, আশরাফুল আলম রিপন, মতিয়া বানু শুকু, জাহিদ হোসেন শেভন, পলাশ মাহাবুব, ইউনিলিভারের তানভীর ফারুকী এবং বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল।

আশরাফুজ্জামান বাবু রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলাধীন পৌর এলাকার সাহাপুরে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহন করেন।পিতাঃ মোঃ সহিদুল ইসলাম মাতাঃ মোছাঃ আরজুমান আরা বেগম। লেখালেখিতে প্রবল অনুরাগ, সাহিত্য চর্চা তাঁর নেশা। দেশের বাইরে কোলকাতা থেকেও তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালেখি সেই প্রথম সপ্তম শ্রেণী থেকে শুরু। রংপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক অটল পত্রিকায় খন্ডকালীন স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। ২০০০ ইং সালে অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, রংপুর এর ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দেশব্যাপী সাহিত্য প্রতিযোগীতায় তিনি বিদায় গল্পের জন্য দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ গল্পকার নির্বাচিত হন। তিনি একাধারে ছড়াকারও, রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার অংকুর মেলা'র ২০০০-২০০১ সালের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রতিভা সাহিত্য কাফেলা -এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ছড়া প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ছড়াকারের গৌরব অর্জন করেন। একুশে বইমেলা-২০১১ সাহস পালিকেশন্স থেকে জগলুল হায়দার ও কাদের বাবু সম্পাদিত বাংলাদেশের ভ্যালেন্টাইন ছড়া গ্রন্থে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কবি ও ছড়াকারদের সাথে ছড়া প্রকাশিত হয়। দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে রহীম শাহ্ সম্পাদিত ছোটদের আনন্দবার্ষিকী আজ আমাদের ছুটি গ্রন্থেও তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আশরাফুজ্জামান বাবু বদরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে বদরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে এস.এস.সি পাশ করেন এবং ২০০৮ সালে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।