ব্যবহারকারী:আমিনুল ইসলাম/খেলাঘর

সুইৎজারল্যান্ড; পৃথিবীর স্বর্গ!

মানুষের খুশি থাকার গুরুত্ব বুঝেই জাতিসংঘের জেনেরাল অ্যাসেম্বলি ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সুখি দিবসের ঘোষণা করে। ২০১২ সাল থেকেই প্রকাশিত হচ্ছে এই রিপোর্ট।

স্বস্থ্যের সুরক্ষা, সামাজিক সহায়তা, নির্বাচনের স্বাধীনতা ও পার ক্যাপিটা গ্রস ডমেসটিক প্রোডাক্ট, এই কটি মাপকাঠির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশের মানুষের খুশি থাকার ইনডেক্স তৈরি হয়েছে। সে অনুযায়ী পৃথিবীর সুখী দেশ সুইৎজারল্যান্ড অর্থাৎ পৃথিবীর সুখিতম মানুষরা সুইৎজারল্যান্ডে বাস করেন। যাকে বলা যায় পৃথিবীর স্বর্গ।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে এই তথ্যই উঠে এসেছে।

বার্ষিক বিশ্ব খুশি বা সুখি রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫৮টি দেশের মধ্যে খুশির নিরিখে সুইৎজারল্যান্ডের পরেই আছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও কানাডার নাম।সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট সল্যুউশন নেটওয়ার্কের এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে টোগোতে পৃথিবীর দুঃখিতম মানুষরা বাস করেন। দুঃখিতম দেশের তালিকায় এরপরেই আছে বুরান্ডি, সিরিয়া, বেনিন ও রোয়ান্ডার নাম।

‘এই রিপোর্ট প্রমাণ করে কীভাবে কোনও দেশের মানুষদের খুশি রাখা যায়। বিষয়টা শুধুমাত্র অর্থের নয়, তার সঙ্গে সততা, সুস্বাস্থ্য, বিশ্বাস ও সুবিচারের ওপরও নির্ভরশীল।” মন্তব্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেফরি সাচস-এর।

প্রথমবার এই ডেটাতে গবেষকরা স্থান, লিঙ্গ ও বয়সকে আলাদা করে ভেঙে সমীক্ষা চালিয়েছেন।

এই সমীক্ষায় দেখা গেছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা নিজেদের সুখ খুঁজে পান বেশি মাত্রায়। বয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সীরা গড়ে বেশি খুশি থাকেন।

এই বছর প্রথম ১০ সুখিতম দেশের তালিকায় ন’টি দেশ ২০১৩ সালের তালিকাতেও ছিল। যদিও বদলেছে র‍্যাঙ্কিং। গতবছর শীর্ষে ছিল ডেনমার্ক।

এই রিপোর্ট ধরা পড়েছে গোটা বিশ্বের আর্থিক মন্দা কীভাবে মানুষের সুখের উপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে।উদাহরণ হিসেবে আনা যায় গ্রিসের উল্লেখ। আর্থিক মন্দার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল ইউরোপের এই দেশটির উপর। দেখা গেছে এই মন্দা যত বেড়েছে তত গ্রিসের মানুষের সুখ পালিয়েছে। গৃহযুদ্ধ ও অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার জেরে সুখ কমেছে মিশরের মানুষের জীবনেও।

http://bd24hour.com/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A7%8E%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0#sthash.TLtMNAB7.dpbs