কৃষ্ণচুড়ার মত দেখতে হলেও হলুদ-লাল মিশ্রণের এই ফুলটির নাম রাধাচূড়া। তবে কি কৃষ্ণচুড়ার প্রেয়সী রাধাচূড়া?

রাধাচূড়ার আরও অনেক নামের মাঝে রত্নগণ্ডি, সিদ্ধেশ্বর, গুলেটুর নাম গুলো বেশি শোনা যায়। Peacock Flower বা Red Bird of Paradise নামে পরিচিত এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Caesalpinia pulcherrima। স্বভাবে ক্রিস গেইলের মত এই গাছটির আদি নিবাসও ঐ একই দেশে, ওয়েস্ট-ইন্ডিস। যদিও ভারত উপমহাদেশের সর্বত্র দেখা যায় গাছটি।

বর্ণনা

সম্পাদনা

বাগানে এবং রাস্তার ধারে শোভাবর্ধনের জন্য গাছটি লাগানো হয় থাকে। গুল্মজাতিও এই গাছটি ১৪/১৫ ফুট উঁচু হয়। দেখতে ভারি সুন্দরী! ফল শুঁটির মত। ৩-৪/৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। সারা বছরই ফুল ফোটে। গাছ স্লিম দেহের অধিকারী। গাছের ছালের রঙ ধূসর। পাতায় পত্রদণ্ড, উপপত্রদণ্ড আছে এবং উপপত্রদণ্ডের দু'দিলে দুটি ছোট ছোট পত্রিকা থাকে। ফুল কখনো হলুদ কখনো লাল কখনোবা লাল হলুদের মিশ্রণ। এই গণের মোট প্রজাতি ১৫০ টি হলেও ভারত উপমহাদেশের ১০ টির বেশি প্রজাতি দেখা যায় না।

ব্যাবহার

সম্পাদনা

গাছটির পাতা, ফুল, ছাল মূল সব অংশেই ঔষধিগুণ বিদ্যমান। তবে গর্ভাবস্থায় কোন রোগেই এই গাছের কোন অংশই ব্যাবহার করা উচিৎ নয়। অন্যরা অর্শে, ফোঁড়ায়, বমিতে, পুরাতন জ্বরে, ক্রিমিতে মুত্রাঘাতে, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের এই গাছের ব্যাবহার হয়ে থাকননা

রাসায়নিক উপাদান

সম্পাদনা

ফুলে gallic acid, resin, benzoic acid, tannins, ও লাল রঙ উৎপাদক উপাদান বিদ্যমান। ফলেও প্রচুর tannins রয়েছে।