ব্যবহারকারী:অদেখা সে/খেলাঘর

  আমি একটা
 “বজ্র আওয়াজ”।
 যা নিমিষে করে তোলে,
  তেজেদীপ্ত আর উদ্দীপিত।
    আমি একটা
 “ভাষার পোস্টার”।
যার বাহক রক্তাক্ত হয়ে,
পড়ে আছে ঐ মিছিলের রাজপথে।
আমি একটা
“অনুভূতির বর্ণমালা”। 
যাকে অনুভব করতে,
 হয়েছে মহা সৃষ্টি শহীদ মিনার।
 আমি একটা
 “উত্তাল শ্লোগান”।
 যা তীক্ষ্ণভাবে আঘাত হেনেছে,
 শোষক আর অত্যাচারীর হৃদয়ে।
 আমি একটা
 “রক্তহারা দুর্বল”। 
 যার রক্ত পান কর,
 এখনও খুধার্থ ঐ পিছাস।


 আমি একটা
“উত্তাল শ্লোগান”। 
 যা আঁকা রক্ত কণিকা দিয়ে,
 ঐ মিছিলের স্বাধীনতাকামিদের ক্ষত বুকে।
 আমি একটা
 “বর্ণমালা”।
 যার অধিকার রক্ষার্থে আন্দোলন,
 যেখানে সব অনুভূতির প্রকাশ।
 আমি একটা
 “রক্ত কণিকা”।
  বর্ণমালাকে ফিরে পেতে অকৃত্রিম দান,
  যা শোষিত হয়েছে আর্দ্র বাতাস দ্বারা।
 আমি একটা

“শোষক প্রাণী”। যে শোষণ করতেই ব্যাস্থ, নিজের মৃত মায়ের দুগ্ধ।

 আমি একটা
 “ভীরু লাশ”।
যাকে ছিঁড়ে খাচ্ছে,
ঐ শকুনের দল।
 আমি একটা
 “ জান্ত লাশ”।
 যার একপাশ ছেড়া,
 আর অন্যপাশ হতে মাচি তাড়াচ্ছি।
আমি একটা
“ভীরু জন্মধাত্রী”।

যে ভয়ে চিৎকার করতে দেইনি,

বদ্ধ করে দিয়েছি মুখ নিজ সন্তানের।


আমি একটা
“বিষাদ আন্দোলন”।
যেখানে আজন্ম জ্বলছে,
বিদ্রোহের আগুন।
আমি একটা

“তাজা রক্ত স্রোত”।

যা প্রবাহিত হয়েছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে,
বিদ্রোহীদের বুকের মাঝখান দিয়ে।
আমি একটা
 “ নোনা রক্তের নদী”।
যার বুকে মৃত্যুকামীরা,
মৃত্যুকে ভয় দেখিয়ে লড়াই করেছে।
 আমি একটা
“সম্পর্কহীন মানুষ”

যেখানে হারিয়েছি বন্ধন,

সেখান হতে দাঁড়িয়েছি জ্বলতে।
 আমি একটা
“জ্বলন্ত ক্ষোভ”।
যে শুধু জ্বালাবার জন্য,
আগ্নেয়গিরি হয়ে জ্বলছে।
আমি একটা
“অনিশ্চিত প্রত্যাশা”।
আশা বাঁধতে যেখানে,
 লড়ছি সর্বস দিয়ে।


আমি একটা
“বীরত্ব”।
নিজ স্বত্বাকে সম্মান করে,
যার লড়াই পরাজয়ের বিরুদ্ধে।
আমি একটা

“মিথ্যে জন্মধাত্রী”। যার কতৃক অসহ্য কষ্টে পাওয়া সন্তান,

ভয়কে ভয় পেয়ে নিজ হস্তে দাপন।
আমি একটা
“চলমান ছবি”। 

যেখানে রহস্য, মানবতা কি!

আমি একটা “ “উদ্ভাস্তু দল”। কোথায় ঠিকানা আমার, তবু ছুটে যাচ্ছি অনিশ্চিত পথ।

আমি একটা “বাস্তব দৃশ্য”। যা চামড়ায় আবৃত কংকাল মানুষদের, বাঁচার ঐ অভিযান।

আমি একটা “নিত্য মৃত্যু সংবাদ”। যা প্রবাহমান ছিল দুর্ভিক্ষে, ঐ উদ্ভাস্তু মানুষদের মধ্যে।

আমি একটা “শুধু সংবাদ”। যা পৌঁছে যেত, প্রতিষ্ঠিত কোন কাব্য হিসেবে।

আমি একটা “বিষাদ গল্প” যা বার বার শুনে অতিষ্ঠ, তবু শুনে যাচ্ছি।

আমি একটা “ “নির্বাক হাসি”। যে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে, হাসছে শত শঙ্কা নিয়ে।

আমি একটা “বেমানান আনন্দ” যার একটু স্বস্তির জন্য, স্তব্ধ হয়েছে সভ্যতা পর্যন্ত।

আমি একটা “দুর্লভ বিস্ময়” যে বিজয় লুটেও, চায় না হাসতে।

আমি একটা “কর্মের যন্ত্র”। যা তুচ্ছ হয়ে মিশে আছে, পথের ধুলোর সাথে।


  আমি একটা
 “অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশা”।
 যা অখ্যাত তবু কাঙ্ক্ষিত হয়ে,
 বিরাজমান একটা ঘটনা।
 আমি একটা
 “অসহ্য কষ্ট”।
 যে লড়াই বাঁচার তাগিদে,
 নিজ স্পৃহার বিরুদ্ধে।
 আমি একটা
“মৃত্যু কামনা”।
 যার প্রানের মূল্য,
 কিছু লোভ মাত্র।
আমি একটা
 “হীন আর তুচ্ছ জীব”।
দুদর্শ আর অসহ্য,
যেখানে ভর করে নিত্য।
আমি একটা
 “ “ধুলো কনা”।
 হ্যাঁ এই চলমান সভ্যতার চাকায়,
  পৃষ্ঠ হয়ে উড়ছি।
 আমি একটা
 “স্বীকৃত যন্ত্রণা”।
 যে কষ্টকে নিজ অস্তিত্বে মানিয়ে,
 তবু চলছি অদ্ভুদভাবে স্বীকার করে।


আমি একটা
“পথ হারা পথিক”।
যার পথের সীমানায়,
অপেক্ষমাণ বোকামীদের ঠায়।
আমি একটা
“প্রতিষ্ঠিত কলংক”।
যার সঙ্গী  মিথ্যাচার আর দারিদ্রতা
তবু বহন করে চলছি এ দুর্বলতা।
আমি একটা
“একক একজন”।
যে এখনও মিছিলে আন্দোলনের সাথে,
অসৎ বোকা সৈনিক হয়ে।

আমি একটা

“পোড়া গন্ধ”।
যা শ্রম দিতে হয়েছে ছাই,
আর জ্বলছি মৃত্যু কামনায়।
আমি একটা
“বদ্ধ ঘরের উন্মাদ চিৎকার”
আমার মৃত্যুর জন্য দুর্ঘটনা দায়ী,
তবু মিছে প্রত্যাশা কেন!
আমি একটা
“ব্যার্থতার ব্যাস্থতা”
আমার মৃত্যুর দায় স্বীকার,
আমার আত্মহত্যা দ্বারা।
আমি একটা
“অন্যায়ের প্রত্যক্ষদর্শী”।
আমাকে ক্ষমা করুন,
আমি বাঁচতে চাই।
আমি একটা

“অপ্রত্যাশিত তথ্য”।

যার উন্মোচনে নষ্ট,

দেশের ভাবমূর্তি।

আমি একটা “ধীর গতির ধোঁয়া”। নিজের কষ্ট বুকে চেপে, নিজের আড়াল করে মিথ্যের পূজা।

আমি একটা “মিথ্যাচার”।

সামান্য স্বার্থের স্বার্থে,

নিজের বিরুদ্ধেই অবিচার।

আমি একটা “অদ্ভুদ আচরন”। এইতো হট্টগোল বাঁধিয়ে, আবার আমার বিরুদ্ধ আচরন।

আমি একটা “এলোমেলো”। ধ্বংস স্তূপের ভেতর হতে, আমার নিভুপ্রানের আত্ম জিজ্ঞাসা।

আমি একটা “হতভম্ব”। নিজের সম্ভাবনা নষ্ট করে, উদ্ভট আমি নিজের মধ্যেই।

আমি একটা “ অপ্রকাশিত মৃত্যু”। এ মৃত্যুর জন্য কতৃপক্ষ দায়ী নয়, শুধু আওয়াজ দাও লোকটি ভালো ছিল।

আমি একটা “ভাব”। যে দুর্বলতাকে ডেকে, নীতিহারা ছন্দছাড়া।

আমি একটা “ভাবুক”। যার ভাবনাগুলো ভুল ছিল, কিম্বা মনে নেই।

আমি একটা “সমস্যার সন্ধিক্ষণ”। ব্যার্থতা আর দুর্বলতার মাঝখানে, নিজের অনড় অবস্থান।

আমি একটা “বেওয়ারিশ”। ফুটপথের শিশুদের মাঝে, যার অনিশ্চিত চলা।

আমি একটা “ক্ষুদা” দুর্গন্ধময় ময়লা স্তূপে, যার সাম্রাজ্য আর আহার।


আমি একটা “চলমান হাসপাতাল”। নেতৃত্বের অবরোধের বদ্ধ ঘরে, যার সঙ্গী মৃত্যু তবু বাঁচার প্রত্যয়।

আমি একটা “বিশ্বাস ঘাতক”। যাকে বিশ্বাস করে ক্ষুব্ধ হয়ে, এখন বিশ্বাসই গৃনীত।

আমি একটা “অসহায় নীতি”। কর্তৃত্ব রক্ষার্থে যাকে বার বার, নেতৃত্ব দ্বারা অসম্মান করা হচ্ছে।

আমি একটা “ভদ্রতার চিহ্ন”। বোধহীন দেহে শত আঘাত সহ্য করেও, যে প্রতিবাদ করতে লজ্জা পায়।

আমি একটা “ “চাপা কান্না”। জ্বলে পুড়ে আঙ্গার হয়ে, নিজের ভেতর যার যন্ত্রণা আর হাহাকার।

আমি একটা “দানবীর”। দয়ার বদলে বিশ্বাস ঘাতকতা পেয়ে, যার অনুভূতি ক্ষুব্ধ নীরব।

আমি একটা “দুরন্ত সম্ভাবনা”। যে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আবার ঝড় বেগে, দানবের প্রতিপক্ষ হয়ে আবার বাঁচার আশায় পুনঃলড়াই।

আমি একটা “উর্বর ভূমি”। যেখানে সোনা ফলে নৃত্য, ভর করে কৃষক-কৃষাণীর লাঙল-জোয়ালের উপর।

আমি একটা “বাকরুদ্ধ”। যার নিরবতা তীক্ষ্ণভাবে বেঁধ করল, ঐ নির্যাতিতদের তেজহীন হৃদয়ে।

আমি একটা

“ “অসম রীতি”।

যার নির্দয় আচরন অসহনীয়, সর্বহারা উন্মাদদের জন্য।

আমি একটা “অসহ্য সম্পর্ক”। ঐতিহ্য আর শেকড়ের সন্ধান খুড়ে, যা প্রাপ্তি তাতেই লজ্জিত।

আমি একটা “বৈষম্যের আচরন”। যার কঠোর শ্রমের মূল্য, নিচু, অভদ্র আর শূন্য সম্মানের।

আমি একটা “সম্ভাবনার ঊষা”। শত বাধার সম্মুখীন হয়ে, নিজেকে সভ্যতার মধ্যে উপস্থাপন।

আমি একটা “পথিক”। শত বাধাকে ডিঙ্গিয়ে, যার পথ চলা নির্ভীক।

আমি একটা “দুদর্শ”। যার নির্ভীক পদাচরনে, ভয়ে পদ হারাল বাধার জাল।

আমি একটা “অকাল মৃত্যু”। যে সম্ভাবনার দ্যুতি না ছড়াতেই, অকালে প্রান নাশ কোন দুর্ঘটনা অথবা মানুষরূপী জানোয়ার দ্বারা।

আমি একটা “বিরক্তি”। বঞ্চনা হতে পাওয়া সম্ভাবনা, পেয়ে হারিয়েও যার স্বস্তি।

আমি একটা “কামনা”। বাঁচার জন্য মৃত্যু আশা, যার অভিরাম চাওয়া।

আমি একটা “কলংক”। বিশ্বাস ঘাতককে বিশ্বাস করে, যার বোকামি চরমে চলমান।

আমি একটা “মোড়ক”। যা স্পন্দিত হল, কলংক উন্মোচন করতে।

আমি একটা “রক্তপাত”। নির্যাতিতদের পক্ষ অধিকারের আদায়ে, যা আন্দোলনরত কোন যুবকের বুক হতে রাজপথে।

আমি একটা “মুগ্ধ”। চির সবুজ কিম্বা নদীর কূল ভাঙ্গনের মত যৌবন, যার তারুণ্যের শুদ্ধতা।

আমি একটা “অনিশ্চিত আশা”। যার প্রখরতার দৃষ্টি, দূর দর্শনে হয়ত ধুসর।

আমি একটা “পাহারাদার”। ধনীদের অঢ়েল সম্পদের পাহাড় পুঞ্জিভুল, তার মূল্যহীন ক্লান্তির পাহারায়।

আমি একটা “দিকহারা”। পথের দিশা নির্ণয়ে, যে নিজেই অনির্ণেয় সীমানার অন্ধ প্রকোষ্ঠে।


আমি একটা “আহত হাহাকার”। তীব্র ভাঙ্গনে যার কপাল পুড়লো, নদীর যৌবন বেগে আহত কূলের মত।

আমি একটা “প্রত্যাশা”। যে সূর্যোদয়ে জেগেছে, নদীর বুকে জাগা নতুন চরের প্রন্ত ঘেঁসে।

আমি একটা “বিশালতা”।

যা দানে কিম্বা ধ্বংসে,

সঙ্গী শুধু ভাঙ্গা গড়া নিত্য খেলা।

আমি একটা “একঘেয়ামী”। চলছে শে আপন মনে, অন্ধকারের গহীনে কোন শব্দ কর্ণপাত না করে।

আমি একটা “দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য”। যা সকল সুন্দরীদের সৌন্দয্য আর হৃদয় মাঝে, হতাশা আর কষ্ট ভুলাতে।

আমি একটা “অনুভূতি”। যার স্পর্শ নিতে, পাপের ভেলাতে সাতরে ওঠা।


আমি একটা “কথপোকথন”। বিশ্রামের জন্য ক্লান্ত পথিকের বটবৃক্ষ চায়াতলে, যা প্রবাহিত শান্ত বায়ুতে।

আমি একটা “স্মৃতি”। ক্ষত ছুতেই যা জীবন্ত, নিজেরই যৌবনের বেগ আর রোমাঞ্চ ঘিরে।

আমি একটা “নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড”। যার জন্য নির্ধারিত বিশ্ব মানচিত্রে, নির্দিষ্ট জাতি স্বত্বা।

আমি একটা “স্বপ্। যা আজন্ম লালিত ঐ পথ শিশুদের, এলোমেলো ছুটে চলা পথ ধরে।

আমি একটা
“ছন্দছাড়া কাব্য”।
যার ভাব এলোমেলো,
বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ অযোগ্য।
আমি একটা
“হারান স্মৃতি”।

বহু অপেক্ষা আর ত্যাগের বিনিময়ে,

কাঙ্খিত স্বাধীনতা যা ধূসর অতীত। 

আমি একটা “জাগরণ”। সীমাহীন ক্ষোভের বিস্পোরন করে, ছড়িয়ে আছি বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে।

আমি একটা “পতাকা”। যাকে ঘিরে উত্তাল শ্লোগানে মুখরিত সারা বাংলা কাঁপিয়ে।

আমি একটা “আকাঙ্খা”। স্বাধীনতা তৃষ্ণা, আজও নিজ সত্ত্বার প্রতি কোষে।