বোস কেবিন
বোস কেবিন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে ২ নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ।[১] ব্রিটিশ শাসনামল ও পাকিস্তান শাসনামলে রাজনৈতিক আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চলের তৎকালীন জাতীয় রাজনীতিবিদগণ এখানে আড্ডা দেওয়ার ফলে স্থানটি পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠে।[২][৩][৪]
বোস কেবিন | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
ঠিকানা | ২ নং রেলগেট, নারায়ণগঞ্জ |
শহর | নারায়ণগঞ্জ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯২১ সালে নৃপেন চন্দ্র বসু (ভুলুবাবু) নামে একজন নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নং ও ২ নং রেলগেটের মধ্যবর্তী ফলপট্টি এলাকায় একটি টংঘরে (চালাঘর) রেস্তোরাঁটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] নৃপেন ছিলেন তৎকালীন বিক্রমপুরের (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলা) শ্রীনগর থানার ষোলঘর গ্রামের বাসিন্দা। জীবিকার সন্ধানে বিক্রমপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসার পর তিনি রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে চা ও বিস্কুট নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও আস্তে আস্তে সেটি রেস্তোরাঁতে রুপ নেয়।[৬] ১৯৮৮ সালে রেস্তোরাঁ চেম্বার রোডে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে এর নাম ‘নিউ বোস কেবিন’।[৭]
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কেবিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ অঞ্চলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বেগবান করার জন্য আন্দোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন চিঠিপত্র বোস কেবিনের ঠিকানায় পাঠানো হত। তারপর এখান থেকে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হত।[৮] এছাড়াও ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় স্থানটি সংস্কৃতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৯][১০]
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যরা বোস কেবিনে আড্ডা দিতেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও বাঙালি রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এবং মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।[৮]
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বোস কেবিনে বসে..."। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "শতবর্ষে বোস কেবিন"। জনকন্ঠ। ২২ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "ওপারে গেলে নারায়ণগঞ্জের বোস কেবিনে প্লিজ যাবেন, নেতাজিও যেতেন!"। এই সময়। ২৩ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "৯১ বছরে বোস কেবিন আড্ডাপ্রিয়দের সম্মিলন"। প্রথম আলো। ২০১৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "৯৬ বছরের পুরোনো বোস কেবিনে একদিন"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "নারায়ণগঞ্জের বোস কেবিন: পথচলার ৯১ বছর"। প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বোস কেবিনের সেই আড্ডা আজও আছে"। রাইজিংবিডি। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ ক খ "সেই বোস কেবিন"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "শতবর্ষে পা দিতে চলেছে নারায়ণগঞ্জের বোস কেবিন"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "বোস কেবিন : ঐতিহ্যের মহিমায় রঙের ছোঁয়া"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।