বৈজ্ঞানিক বিপ্লব হল কয়েকটি ক্রমিক ঘটনাবলী,যা প্রাক আধুনিক যুগে আধুনিক বিজ্ঞানের আবির্ভাবের সূচনা করেছিল,এইসময় গণিত, পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, জীববিদ্যা (মানব শারীরস্থান সহ) এবং রসায়নের বিকাশ প্রকৃতি সম্পর্কে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায়। রেনেসাঁ পর্বের শেষের দিকে ইউরোপে বৈজ্ঞানিক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল এবং ১৮ শতকের শেষের দিক পর্যন্ত এটি অব্যাহত ছিল যা পরবর্তী বৌদ্ধিক সামাজিক আন্দোলন জ্ঞানদীপ্তির যুগকে প্রভাবিত করে। যদিও বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের আক্ষরিক সূচনাপর্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে,তবে ১৫৪৩ সালে নিকোলাস কোপার্নিকাসের ডি রেভেলিউসনিবাস অর্বিয়াম কোয়েলেস্টিয়াম (অন দ্য রেভোলিউশনস অফ দ্য হেভেনলি স্ফিয়ারস) এর প্রকাশনাকেই সাধারণত বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, যা দীর্ঘ সময় ধরে পরিব্যাপ্ত, এই ধারণাটি আঠারো শতকে জিন সিলভাইন বেলির কাজের মধ্যে গড়ে উঠেছিল, যিনি পুরানোকে সরিয়ে নতুনকে প্রতিষ্ঠা করার একটি দ্বি-পর্যায়ের প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন। বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনায় ঘটেছিল একপ্রকার 'বৈজ্ঞানিক নবজাগরণ', যেখানে লক্ষ্য ছিল প্রাচীনদের জ্ঞান পুনরুদ্ধার করা এবং মনে করা হয় যার সমাপ্তি ঘটে ১৬৩২ সালে গ্যালিলিওর 'ডায়লগ কনসার্নিং দ্য টু চিফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেম'-এর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। আর, বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সমাপ্তি ঘটে ১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটনের প্রিন্সিপিয়ার "গ্র্যান্ড সিনথেসিস" এর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এর মাধ্যমে গতির সূত্র ও মাধ্যাকর্ষণ সূত্রের উন্মোচন ঘটে যা কসমোলজি শাখার নতুন দিগন্তের সন্ধান দেয়। ১৮ শতকের শেষের দিকে, বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের হাত ধরে আলোকিতকরণের তথি জ্ঞানদীপ্তির যুগের আবির্ভাব ঘটে যা আরো পরবর্তীতে "প্রতিফলনের যুগ"-এর আবির্ভাবের পথ করে দিয়েছিল।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা