ইসাবেলা থেরেসা "বেল" গোল্ডিং[২] (২৫শে নভেম্বর ১৮৬৪ - ১১ই ডিসেম্বর ১৯৪০)[২] ছিলেন একজন অস্ট্রেলীয় নারীবাদী, ভোটাধিকারবাদী এবং শ্রমিক কর্মী।

বেল গোল্ডিং
১৯০৩ সালে বেল গোল্ডিং[১]
জন্ম
ইসাবেলা থেরেসা গোল্ডিং

(১৮৬৪-১১-২৫)২৫ নভেম্বর ১৮৬৪
মৃত্যু১১ ডিসেম্বর ১৯৪০(1940-12-11) (বয়স ৭৬)
আনানডেল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
জাতীয়তাঅস্ট্রেলীয়
পেশাভোটাধিকারী, শ্রমিক কর্মী

বেল গোল্ডিং নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েলিংটন কাউন্টির তাম্বারুরাতে জন্মগ্রহণ করেন, তাঁর বাবা ও মা ছিলেন যথাক্রমে আয়ারল্যাণ্ডের গালওয়ের একজন স্বর্ণ-খনি শ্রমিক জোসেফ গোল্ডিং (মৃত্যু ১৮৯০) এবং তাঁর স্কটিশ স্ত্রী অ্যান ( জন্ম নাম ফ্রেজার, মারা যান ১৯০৬)। ১৯০০ সালের মে মাসে, বেল গোল্ডিং অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক স্কুলের প্রথম মহিলা পরিদর্শক হন। ১৯০৪ সালে উইমেনস প্রগ্রেসিভ অ্যাসোসিয়েশন গঠনের আগে, প্রায় ১৮৯৩ সালে, তিনি এবং তাঁর দুই বোন অ্যানি ম্যাকেঞ্জি গোল্ডিংকেট ডোয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ওম্যানহুড ভোটাধিকার লীগে যোগ দেন।[২]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৮৯৯ সালের প্রাথমিক সমাপনী আইনের অধীনে, গোল্ডিং অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক স্কুলের প্রথম মহিলা পরিদর্শক হন। একজন সরকারী কর্মচারী হিসাবে নিজের কর্মজীবন জুড়ে, মহিলাদের জন্য জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা ছিল বেল গোল্ডিংয়ের আবেগ। প্রায়শই তিনি মহিলাদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত উদ্বেগগুলি নথিবদ্ধ করেন। পরে, মজুরি সালিশ আইন পাস হলে, তাঁকে শিল্প পরিদর্শক করা হয়। এই ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রথম এবং একমাত্র মহিলা (১৯৪০ সালের হিসেবে) যাঁকে মজুরি বোর্ডের সভানেত্রী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থানে তিনি ফলবিক্রেতা এবং মিষ্টান্ন কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হন। বিরোধটি ৭.৫ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল, এবং তিনি পূর্ণ মেয়াদে কাজ করেছিলেন।[৩] বেল গোল্ডিং অস্ট্রেলিয়ায় প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ সমিতির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[৩]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার

সম্পাদনা

১৯২৭ সালে অসুস্থতার কারণে অবসর নেওয়ার পর, ১৯৪০ সালের ১১ই ডিসেম্বর, বেল গোল্ডিং ৭৬ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের আনানডেলে মারা যান।[৪][৫]

চিশলমের ক্যানবেরা শহরতলিতে গোল্ডিং প্লেস অঞ্চলটির নামকরণ করা হয়েছে বেল গোল্ডিং এবং তাঁর বোন অ্যানি ম্যাকেঞ্জি গোল্ডিংয়ের নামে।[৬]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Here are portraits of the ladies of the hour"The Catholic Press। Sydney, NSW। ১০ ডিসেম্বর ১৯০৩। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  2. Kingston, Beverley (১৯৮৩), "Golding, Isabella Theresa (Belle) (1864–1940)", Australian Dictionary of Biography, Australian National University, সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. "Miss Belle Golding"The Catholic Press। ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  4. "Miss "Belle" Goulding – Retirement From Public Service"The Sydney Morning Herald। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  5. "Obituary – Miss Isabella Golding"The Sydney Morning Herald। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪০। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  6. "Commonwealth of Australia Gazette. Periodic (National : 1977 – 2011) – 15 May 1987 – p2"Trove (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০২ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
  • দ্য গোল্ডিং সিস্টারস ইন দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অফ উইমেন অ্যাণ্ড লিডারশিপ ইন টুয়েন্টিথ-সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়া