বেবো

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট

বেবো ২০০৫ সালে চালু হওয়া একটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটি ক্রাইটেরিওন ক্যাপিটাল পার্টনারস কর্তৃক পরিচালিত হয়। ২০১০-এর জুনে আমেরিকান অনলাইনের কাছ থেকে ক্রাইটেরিওন বেবো ক্রয় করে। বেবো ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করতে পারে এবং প্রোফাইলে তারা নিজের ইচ্ছেমত ব্লগ লিখতে পারে, ছবি, সঙ্গীত, ভিডিও ও প্রশ্ন রাখতে পারে। অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ব্যবহারকারীরা নিজের প্রোফাইল ব্যবহার করে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ ও তাদের বন্ধু তালিকায় যুক্ত করতে পারে।

বেবো
ব্যবসার প্রকারব্যক্তিগত
সাইটের প্রকার
সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সার্ভিস
উপলব্ধবিভিন্ন
প্রতিষ্ঠাজানুয়ারি ২০০৫ (2005-01)[১]
সদরদপ্তরসানফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠাতা(গণ)মিখাইল ব্রিচ
জচি ব্রিচ
প্রধান ব্যক্তিঅ্যাডাম লিভিন[২] (সিইও)
শিল্পসামাজিক যোগাযোগ
অপারেটিং আয়$৯০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
Profitনাই
কর্মচারী৫৬
ধারক কোম্পানীক্রাইটেরিওন ক্যাপিটাল পার্টনারস
বিভাগসঙ্গীত, ভিডিও, লেখক (অক্টোবর ২০১১)
স্লোগানব্লগ আর্লি, ব্লগ ওপেন
ওয়েবসাইটbebo.link
নিবন্ধনআবশ্যক
চালুর তারিখজানুয়ারি ২০২১ (2021-01)
বর্তমান অবস্থাসক্রিয়

ইতিহাস সম্পাদনা

বেবো অন্যান্য সামাজিক যোগযোগের ওয়েবসাইট বিশেষ করে ফেসবুকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।[১] মিখাইল ও জচি ব্রিচ নামে স্বামী-স্ত্রী দুই জন প্রকৌশলী ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে সানফ্রান্সিকোতে তাদের নিজেদের বাড়িতে বেবো ওয়েবসাইটটি চালু করেন।[১][৩][৪]


১৩ মার্চ, ২০০৮ সালে মার্কিন এওএল বেবো ওয়েবসাইটটি $৮৫০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়, চুক্তির শর্তানুযায়ী ব্রিচদ্বয় লাভের $৫৯৫ মিলিয়ন ডলার অর্জন করেন।[৫][৬][৭] বেবো ক্রয়ের ঘটনাকে বিবিসি, যুগের সবচেয়ে বাজে চুক্তি হিসেবে আক্ষাইত করে [৮] যার জন্য এওএল-এর সাবেক সিইও রেনডি ফালকোকে চাকরি হারাতে হয়েছিল।[৯]


ক্রয় করার পর এওএল বেবোতে বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে যার ফলে ওয়েবসাইটটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছিল। এরপর এওএল অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতার জন্য বেবোতে অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করে।[১০][১১] কিন্তু এপ্রিল ২০১০ সালে এওএল বেবো ব্রিক্রি বা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।[১২] ১৭ জুন, ২০১০ সালে এওএল বেবো সাইটটি ক্রাইটেরিয়ন ক্যাপিটাল পার্টনারস এর কাছে ব্রিক্রি করে দেয়। বিক্রয়মূল্য গোপন রাখা হয়, তবে অনেকেই মনে করেন এর পরিমান $১০ মিলিয়ন ডলারের কম হতে পারে।[৮][১৩]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Burkeman, Oliver (২০০৬-১১-০৪)। "Bebo, Michael and Xochi Birch"। London: The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৪ 
  2. Worthen, Ben (২০১০-০৭-১৩)। "Meet the New Bebo"Wall Street Journal। ২০১০-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১৪ 
  3. Michael Birch speaking on the BBC Radio 4 programme "The Bottom Line" broadcast on June 30, 2011.
  4. "How to make 80 million friends and influence people", The Independent (2011-02-11)
  5. Edgecliffe, Andrew. (2008-03-13) / In depth – AOL to ‘supercharge’ Bebo revenues. Ft.com. Retrieved on 2013-01-03.
  6. "AOL acquires Bebo social network"BBC News। ২০০৮-০৩-১৩। ২০০৮-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৩ 
  7. "AOL to 'supercharge' Bebo revenues"Financial Times। London। ২০০৮-০৩-১৩। ২০০৮-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৩ 
  8. "Bebo sold by AOL after just two years"BBC News। ২০১০-০৬-১৭। ২০১০-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৭ 
  9. Bebo Not Worth a Pail of Spit to AOL? This Comes as a Shock to Exactly–Hmm–No One. Kara.allthingsd.com (2010-04-07). Retrieved on 2013-01-03.
  10. Kiss, Jemima (২০১০-০৪-০৭)। "Bebo: where did it all go wrong?"The Guardian। London। 
  11. McNaughton, Mathieas (২০১০-০৭-১৪)। "The Rise and Fall of Bebo: The Video Network That Could Have Been (Part 1)"। News.tubefilter.tv। ২০১১-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৫ 
  12. Letzing, John (২০১০-০৪-০৬)। "AOL pulls plug on Bebo social networking effort"The Wall Street Journal। New York। ২০১০-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-০৬ 
  13. "AOL Sells Bebo to Criterion for Less Than $10 Million"Bloomberg Businessweek। ২০১০-০৬-১৭। ২০১০-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা