‘বেদিয়া’ হচ্ছে একটি আদিবাসী জাতিসত্তা। কৃষি নির্ভর আদিবাসী জাতিসত্তা। বেদিয়া জাতিসত্তার মানুষ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহার রাজ্য এবং বাংলাদেশে বসবাস করে। ভারতে বেদিয়া নামেই পরিচিত হলেও বাংলাদেশে বেদিয়া বা বেদে নামে পরিচিত। বেদিয়ারা নামের পদবী হিসেবে চৌধুরী, বেদে, মাহাতো, সরদার, বেদিয়া ব্যবহার করে থাকেন। জাতিসত্তা বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এর সংশোধনী (২০১৯) তফশিলে আদিবাসী জাতিসত্তা হিসেবে স্বীকৃত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খান্ড, বিহার ও আসাম রাজ্যে সিডিউল ট্রাইব হিসেবে স্বীকৃত রয়েছে।

উৎপত্তির ইতিহাস সম্পাদনা

বেদিয়া জাতিসত্তার উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে বেদিয়া জাতিসত্তার অনেকেই মনে করেন যে, বেদরাজ রাজার বংশধর বলেই তারা বেদিয়া নামে পরিচিত।

ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ সম্পাদনা

ভারতের ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সংখ্যক ’বেদিয়া’ জাতিসত্তার মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেদিয়া জাতিসত্তার মানুষের বাস রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার  সদর, পাঁচবিবি; নাটোর জেলার সদর, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর; নওগাঁ জেলার পত্নীতলা, ধামুরহাট, নিয়ামতপুর; পাবনা জেলার চাটমোহর; সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ; রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় বেদিয়া জাতিসত্তার মানুেষর বসবাসের খোঁজ পাওয়া যায়।

ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পাদনা

বর্তমানে বেদিয়া জাতিসত্তার মানুষ সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী বা সনাতন ধর্ম পালন করেন।