বাংলা গুঁইসাপ
বাংলা গুঁইসাপ (Varanus bengalensis) বা বাংলা গুঁই Varanus গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির গুঁইসাপ। প্রজাতিটি বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। এরা মূলত স্থলচর। পুরুষরা সাধারণত স্ত্রীদের চেয়ে বড় হয়। ভারী বেঙ্গল মনিটর ৭.২ কেজি এবং বন্দী স্থূলকায় বেঙ্গল মনিটর এমনকি তারচেয়েও ওজনদার হতে পারে।[২] এই প্রজাতিটি প্রধানত নিচু উচ্চতায় বিস্তৃত এবং শুষ্ক প্রায়-ঊষর মরুভূমির আবাস এবং আর্দ্র বনে দেখা যায়। প্রায়ই এদেরকে কৃষিজ অঞ্চলে এবং ১৫০০ মিটার উচ্চতার নিচে পাওয়া যায়।[৩]
বাংলা গুঁই | |
---|---|
বাংলা গুঁইসাপ, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, বাংলাদেশ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Lacertilia |
পরিবার: | Varanidae |
গণ: | Varanus |
উপগণ: | V. (Empagusia) |
প্রজাতি: | V. bengalensis |
দ্বিপদী নাম | |
Varanus bengalensis (দুদ্যাঁ , ১৮০২) | |
প্রতিশব্দ | |
Tupinambis bengalensis |
বিবরণ সম্পাদনা
বাংলা গুঁইসাপের তুণ্ড থেকে পায়ু পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার। দেহ জলপাই সবুজ রঙের, তাতে হলুদ রঙের সজ্জা ও কালো ফোঁটা থাকে। কখনো কখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক গুঁইসাপের দেহে কালো প্রান্তবিশিষ্ট ওসিলি আড়াআড়ি দাগ সৃষ্টি করে। টেম্পোরাল দাগ দুইটি। অপ্রাপ্তবয়স্ক গুঁইসাপের মাথার পাশে এ দাগ সুস্পষ্ট। এছাড়া দেহে সাদাটে, হলুদ এবং সরু কালো রঙের আড়াআড়ি রেখা থাকতে পারে। কখনো কখনো অনিয়মিত ছোট ছোট ফোঁটা দেখা যায়। মাথা লম্বা, তুণ্ড সূচালো, শীর্ষ উত্তল, গ্রীবা লম্বা, নাসারন্ধ্র ছিদ্রের মতো এবং তুণ্ডের শীর্ষের তুলনায় চোখের সামনে অবস্থিত। গ্রীবার পার্শ্বীয় ভাঁজ সুগঠিত। ক্রাউন আঁইশ বৃত্তাকার এবং নুকাল আঁইশের তুলনায় বড়। লেজ চাপা ও শীর্ষে দু'টি শির থাকে। দেহের মধ্যভাগ আঁইশের সংখ্যা ৭০-১১০ সারি। স্ত্রী গুঁইসাপের লেজ পুরুষ গুঁইসাপের চেয়ে ছোট।[৪]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Papenfuss, T.; Shafiei Bafti, S.; Sharifi, M.; Bennett, D. & Sweet, S.S. (২০১০)। "Varanus bengalensis"। আইইউসিএন লাল তালিকা। আইইউসিএন। 2010: e.T164579A5909661। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2010-4.RLTS.T164579A5909661.en। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ওয়াল্টার অফেনবার্গ (১৯৯৪), "The Bengal Monitor. University Press of Florida", পৃষ্ঠা ১৪-১৫। আইএসবিএন ০-৮১৩০-১২৯৫-৩.
- ↑ ওয়াল্টার অফেনবার্গ (১৯৯৪), "The Bengal Monitor. University Press of Florida", পৃষ্ঠা ১০৩-১১৮। আইএসবিএন ০-৮১৩০-১২৯৫-৩.
- ↑ জিয়া উদ্দীন আহমেদ (সম্পা.) (২০১১)। বাংলাদেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর ও সরীসৃপ। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১০৯–১০।