বেইজিং রিভিউ
বেইজিং রিভিউ (চীনা: 北京周報; ফিনিন: běi jīng zhōu bào) হল চীনের একমাত্র ইংরেজিতে প্রকাশিত ম্যাগাজিন। চায়না ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশিং গ্রুপ প্রকাশিত এ ম্যাগাজিনের প্রতি সংখ্যার সার্কুলেশন ৭০,০০০ এবং "পুরো চীন এবং বিশ্বের ১৫০টি রাষ্ট্র ও বেশকিছু অঞ্চলে" এই ম্যাগাজিন যায় বলে দাবি করা হয়।"[২]
ধরন | সাপ্তাহিক পত্রিকা |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | মার্চ, ১৯৫৮ |
রাজনৈতিক মতাদর্শ | চীনের কমিউনিস্ট পার্টি |
ভাষা | ইংরেজি, জাপানি, ফরাসি, জার্মান ও চীনা[১] |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৫৮ সালের ৪ঠা মার্চ সাপ্তাহিক পিকিং রিভিউ নামে প্রকাশ শুরু হয় এই ম্যাগাজিনের। ঝোউ এনলাই-এর পরামর্শে পিপলস চায়না নামের পাক্ষিক ম্যাগাজিনের স্থলে এই ম্যাগাজিনের কথা চিন্তা করা হয়। পিপলস চায়না ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৭'র ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল।[৩]
শুরু থেকেই গণচীনের সরকারের সাথে পুরো বিশ্বের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে এই ম্যাগাজিন কাজ করত। এর প্রথম সংখ্যায় সম্পাদকীয়তে ম্যাগাজিনটির সম্পাদক জানান, যে ম্যাগাজিনটি "চীনের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, এবং সেইসাথে বিশ্বের সাথে চীনের সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় সময়ময়, যথাযথ এবং সর্বাগ্রে তথ্য সরবরাহ করতে চায়।"[৪] ১৯৭৯ সালের পত্রিকাটির নাম বদলে যায়। এ বছরের প্রথম সংখ্যা থেকেই বেইজিং রিভিউ হিসেবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতে থাকে। বৈদেশিক ভাষায় প্রকাশনার উপরে পিনয়িন বর্ণান্তরকরণ নিয়ম আরোপ করায় পত্রিকাটির নাম পরিবর্তন করা হয়।[৫]
অন্যান্য ভাষার সংস্করণ
সম্পাদনা৪ঠা মার্চ, ১৯৫৮ সালে ইংরেজিতে ম্যাগাজিনটি চালু হয়। পরবর্তীতে মার্চ, ১৯৬৩ সাল থেকে ফরাসী ও স্প্যানিশ ভাষায় দ্বি-সাপ্তাহিক হিসেবে ম্যাগাজিনটির প্রকাশ চলতে থাকে। ১৯৬৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এ ভাষাগুলোতেও সাপ্তাহিক হিসেবেই এর প্রকাশ চলতে থাকে। আগস্ট, ১৯৬৩ সালে পত্রিকাটির জাপানি ও জানুয়ারি, ১৯৬৪ সালে ইন্দোনেশীয় সংস্করণ চালু হয়। ২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯৬৪ থেকে এর জার্মান সংস্করণ চালু হয় পিকিং রুন্ডেসচাউ নামে। ১৯৭০-এর শেষ দিকে আরবি সংস্করণ চালু করা হয়।[৫]
অনলাইন সংস্করণ
সম্পাদনাইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত সংস্করণ ছাড়াও চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি ও জার্মান ভাষায় বেইজিং রিভিউর অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ম্যাগাজিনটি আইপ্যাড সংস্করণের পাশাপাশি বহুভাষিক ই-ম্যাগাজিন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল নিউজলেটার চালু করেছে। পত্রিকাটির একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালাও রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।[৬]
প্রকাশক
সম্পাদনাবেইজিং রিভিউর সম্পাদক ও অনুবাদকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈদেশিক ভাষার অন্যান্য প্রেস এবং ম্যাগাজিনের সাথে যুক্ত থাকেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "About BEIJING REVIEW"। ২৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Beijing Review: Introduction"। Beijing Review.com। ২০ ডিসেম্বর ২০০৬। ২৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Zhou Enlai"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Peking Review" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ১৯৫৮। At marxists.org। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ ক খ "Peking Review / Beijing Review"।
- ↑ "Online & iPad edition"। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Beijing Rundschau"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।