আল বুদাইয়া শহর ( আরবি: البديع ) হচ্ছে, বাহরাইন দ্বীপের উপকূলে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, যা উত্তরাঞ্চলীয় গভর্নোরেট রাজ্য বাহরাইন এর অন্তর্গত। এটি দিরাজ এবং বনি জামরা গ্রামের পাশে অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

শহরটি দাওয়াসিরি উপজাতিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের সাথে বিরোধের উদ্ভবের পর ১৯২৩ সালে বেশিরভাগ উপজাতি মূল ভূখণ্ড সৌদি আরবে চলে যায়। দাওয়াসির উপজাতির অনেক সদস্য পরে বুদাইয়াতে ফিরে আসেন, যাদের কেউ কেউ আজও গ্রামে বসবাস করেন। বাহরাইনে তেল আবিষ্কারের আগে, বেশিরভাগ বুদাইয়ার বাসিন্দা মুক্তা সংগ্রহ ও মাছ ধরার শিল্পের সাথে জড়িত ছিল।

১৯১৭ সালে পারস্য উপসাগর, ওমান এবং মধ্য আরবের গেজেটিয়ার অনুসারে, বুদাইয়া গ্রাম তিনটি স্বতন্ত্র কোয়ার্টার নিয়ে গঠিত ছিল; সগুলো হলো- ফারিক-আল আমরাহ, ফারিক-আল ড্যাম (রাস-বুদাইয়ার উপর অবস্থিত) এবং ফারিক-আল বুদাইয়া (প্রাচীনতম শহর)। শহরে প্রচুর পাথরের ঘর ও নগদ কুঁড়েঘর ছিল।[১] আনুমানিক জনসংখ্যা ৮,০০০ জন। মনে করা হয় যে তারা সবাই সুন্নি ইসলামের অনুসারী। এখানে ৮০০টি বাড়ি দাওয়াসির উপজাতির, ১০০টি আমারাহ উপজাতির, ৫০টি হুওয়ালার, ২০০টি "মুক্ত নিগ্রোদের" এবং কালো দাসদের জন্য প্রায় ৪৫০টি বাড়ি রয়েছে। বন্দরটিতে ১০০টিরও বেশি নৌকা ছিল, যার অর্ধেকেরও বেশি মুক্তা সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়াও শহরে ৩টি কোরআনিক স্কুল ছিল। বাহরাইনের শায়খের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শহরের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি দাওয়াসিরের শেখ দ্বারা পরিচালিত হত।[১]

ভূগোল সম্পাদনা

বুদাইয়া শহর ঐতিহ্যগতভাবে যথাক্রমে দিরাজ ও বনি জামরা গ্রামের সংলগ্ন খেজুর বাগান বষ্টিত এবং এ বাগানে কূপ থেকে পানি সরবরাহ করা হয়।[১] এটি এখন বেশিরভাগ খামার, আস্তাবল এবং ঐতিহ্যবাহী উপসাগরীয় পারিবারিক খামার/পশ্চাদপসরণ নাখালের অবস্থান বলে পরিচিত। শহরটি বুদাইয়া রোডের একটি শেষ পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে, যা মানামা পর্যন্ত চলে গেছে । রাস্তার উভয় পাশের অঞ্চলগুলিকে লোকমুখে বুদাইয়া বলা হয়।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বুদাইয়া রোডটি গ্রাম অঞ্চলের মুখোমুখি হযয়ে অরণ্যবিনাশ নির্মাণ একটি এলাকার সাথে মিলিত হয়েছে এবং প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ খণিজ সম্পদে ভরপুর এক এলাকা। এর মধ্যে সমুদ্রের কারণে জলস্তর ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বেশি ব্যবহার হয়, ফলে মীনা সালমান বন্দর ১৯৫০-এর দশকে সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়। বুদাইয়া রোডকে এখনও বাহরাইনের একমাত্র "প্রাকৃতিকভাবে ছায়াযুক্ত" রাস্তা হিসাবে স্মরণ করা হয় যেখানে হাজার হাজার বুনো পাম গাছ উত্তপ্ত, উজ্জ্বল মরুভূমির সূর্য থেকে ফিল্টার হিসাবে কাজ করে। রুটটি প্রসারিত করতে এবং এলাকাটিকে 'আধুনিক' করতে বেশিরভাগ গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 'Gazetteer of Arabia Vol. I' [449] (468/1050), British Library: India Office Records and Private Papers, IOR/L/MIL/17/16/2/1, in Qatar Digital Library <http://www.qdl.qa/en/archive/81055/vdc_100023909213.0x000045> [accessed 29 October 2016]

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  • ফুয়াদ ইসহাক খুরী (১৯৮০)। বাহরাইনে উপজাতি এবং রাষ্ট্র: একটি আরব রাষ্ট্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের রূপান্তরআইএসবিএন ০-২২৬-৪৩৪৭৩-৭