বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ এর অসাধারণ নৈপূন্য ও আত্মত্যাগের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগারটি[১] স্থাপিত হয়।
অবস্থান
সম্পাদনাফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগারটি অবস্থিত [২] [৩]।
ইতিহাস
সম্পাদনা২০০৬-০৭ অর্থবছরে ফরিদপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে এক একর জায়গার ওপর তিন হাজার ৫৩৫ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট এই জাদুঘরটি প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয় ২০০৮ সালের ২৮ মে।
বিবরণ
সম্পাদনাজাদুঘরে রক্ষিত স্মৃতিচিহ্ন আর বই নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার কাজটি করে যাচ্ছে।নানা ধরনের বইয়ের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা আলমারি। প্রতিটি আলমারিতে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক নাম, যা দেখে যে বই প্রয়োজন, তা পাওয়া যাবে। রয়েছে জীবনী, উপন্যাস, ধর্মীয়,বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, রচনাবলি, মুক্তিযুদ্ধ, সাধারণ জ্ঞান, শিশুসাহিত্য, কবিতাসমগ্রসহ নানা ধরনের বই।জাদুঘরে রউফের ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রী রয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারী
সম্পাদনাএই জাদুঘরে গ্রন্থাগারিক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মুন্সী সাইদুর রহমান এবং খণ্ডকালীন ঝাড়ুদার হিসেবে রয়েছেন মিল্টন কুমার বিশ্বাস। এই দুজনই সর্বমোট জনবল।
যাতায়াত
সম্পাদনাঢাকার গাবতলী থেকে কামারখালীর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে খুলনা রুটে চলাচলকারী যেকোনো পরিবহনের চেয়ারকোচে ভাড়া 600 টাকা এবং সাধারণ ভাড়া 400 টাকা। কামারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশাভ্যানে জাদুঘর পর্যন্ত ভাড়া জনপ্রতি 40 টাকা।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রন্থগার ও স্মৃতি জাদুঘর সড়ক বিলীন, গৃহহারা শতাধিক পরিবার"। www.amardeshonline.com। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "ফরিদপুর"। www.bangladesh.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের গ্রাম বিদ্যুৎহীন"। bdnews24.com। ২০১৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১৯।