বি এম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা অবস্থিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[১] এটি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] জেলার সোনাকান্দা মৌজায়, বর্তমানে যেখানে পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি রয়েছে, সেখানে বি এম ইউনিয়ন হাই স্কুল নামে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত একটি ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বন্দর ও মদনগঞ্জ (বি.এম) ইউনিয়নের ছাত্রদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে এরুপ নামকরণ করা হয়। প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্কুল এবং কলেজ শাখায় বিভক্ত।
বি এম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ | |
---|---|
চিত্র:স্কুলের ছবি | |
অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | 23.61235460926202, 90.5116465033921 |
তথ্য | |
ধরন | মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | বিদ্যালয়ের মূলমন্ত্র |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯০০ |
অবস্থা | প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো |
বিদ্যালয় জেলা | নারায়ণগঞ্জ |
শিক্ষকমণ্ডলী | শিক্ষাকর্মী ৬৫+ |
শ্রেণী | ষষ্ঠ - দশম শ্রেণী |
ভাষা | বাংলা মাধ্যম |
বিদ্যালয়ের কার্যসময় | সকাল ১০.০০-বিকাল ৪.০০ টা । |
শিক্ষায়তন | ১ একর ৫০.৩৮ শতাংশ। |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহরাঞ্চল |
হাউস | হাউস/অধিকার |
রং | বাদামি রঙের |
স্লোগান | স্লোগান |
অ্যাথলেটিক্স | ফুটবল / ক্রিকেট |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মোঃ খলিলুর রহমান (সাবেক সচিব এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য) |
ওয়েবসাইট | স্কুলের ওয়েবসাইট |
ইতিহাসঃ
সম্পাদনা১৯৯০ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনাকান্দা মৌজায়, বর্তমানে যেখানে পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি রয়েছে, সেখানে বি এম ইউনিয়ন হাই স্কুল নামে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত একটি ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বন্দর ও মদনগঞ্জ (বি.এম) ইউনিয়নের ছাত্রদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে এরুপ নামকরণ করা হয়। বন্দরের জমিদার হরি মোহন সেন ও বন্দর-মদনগঞ্জ ইউনিয়নের সন্তান কয়েকজন এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সম্ভবতঃ [ইংরেজি শিক্ষা, নেতৃত্বের প্রাধান্য নিয়ে] স্থানীয় দলাদলীর কারণে ১৯২১ সনে এ স্কুল ঘরটি একদল দুর্বৃত্ত পুড়িয়ে দেয়, সেই সাথে এর পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলটি পূর্বস্থানে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা নিরাপদ ও সুবিধাজনক বিবেচিত না হওয়ায় একটি নতুন স্থান নির্বাচন করার আবশ্যকতা অনুভূত হয়। সে মতে অধিকাংশ স্থানীয় লোক এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও নারায়ণগঞ্জের সাব-ডিভিশনাল অফিসার এবং ঢাজা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্কুলসমূহের ইন্সপেক্টর, দাতাত্রয়ের স্বত্ব দখলীয় এ ভূমি পছন্দ করেন। স্কুল কমিটির সেক্রেটারির বরাবরে এবং স্কুল কমিটির পক্ষে বিনা সেলামিতে সামান্য জমায় বিদ্যালয়ের এ দুর্যোগের সময় ১৫/১২/১৩২৮ বাংলা ৩০/০৩/১৯২২ ইংরেজি তারিখে বন্দরের তদানীন্তন জমিদার শ্রী দিগেন্দ্র মোহন সেন রায়, শ্রী সুরেন্দ্র মোহন সেন রায়, শ্রী সচিন্দ্র মোহন সেন রায় পিতা মৃত রেবতী মোহন সেন রায় জমি দান করতে রাজি হন। দাতাগণ এ স্কুলে তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্কুলের ভবনের গায়ে “আমাদের সৌজন্যে স্কুল এ জমিতে প্রতিষ্ঠিত হইল” যার ইংরেজি অনুবাদ (Land Attained by courtesy of Babu D. M. Sen Roy) এ কথাটি স্কুলের বভনের গায়ে খোদিত থাকবে এবং তাদের পিতাসহ বর্তমান স্কুলের ভূতপূর্ব সেক্রেটারি স্বর্গীয় হরি মোহন সেন রায়ের একটি তৈল চিত্র, স্কুল নিজ ব্যয়ে এবং একটি মর্ম্মর প্রস্তর নির্মিত প্রতিমূর্তি তাদের নিজ ব্যয়ে প্রস্তুত করে স্কুল লাইব্রেরিতে স্থাপন করবেন। স্কুল লাইব্রেরি অর্থাৎ স্কুল সংলগ্ন পুস্তকালয়টি দলিল দাতা শ্রী দিগেন্দ্র মোহন সেন রায় নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করবেন। ঈশ্বর না করুন যদি কোন কারণে উক্ত হাই স্কুলটি ভেঙ্গে যায় অথবা স্থানান্তরিত হয় এবং উক্ত ভূমি অন্য কোন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে এ পাট্টা ও গ্রহীতার প্রদত্ত কবুলিয়ত বাতিল মর্মে গণ্য হবে। যদি স্কুলটি কলেজে পরিণত হয়, তা হলে এক দলিল ও গ্রহীতার প্রদত্ত কবুলিয়ত প্রবল থাকবে, মর্মে শর্ত আরোপ করেন। পাট্টা গ্রহীতা ছিলেন পির মোহাম্মদ, পিতা মৃত গুল মোহাম্মদ হাজী সাং- মদনগঞ্জ, থানা- সোনাকান্দা, জিলা- ঢাকা, সোনাকান্দা বি.এম.ইউনিয়ন হাই স্কুলের সেক্রেটারি জাতি মুসলমান, ব্যবসা তালুকদারি ও তেজারতি। এ পাট্টামূলে ২৪০ নং গঙ্গাকুল বন্দর মৌজার ২৫ নং খতিয়ানের ২৫২ দাগের অংশ, ৩৭ নং খতিয়ানের ২৪৭ দাগের, ৪৪নং খতিয়ানের ২৪৫ দাগের, ২৪৩ দাগের অংশ এ চৌহদ্দির মধ্যে ভিটি ভূমির ৬৮ শতাংশ বা দুই বিঘা চৌদ্দ ছটাক জমি দান করেন। দাতাদের পিতামহী স্বর্গীয়া কালী তারা চৌধুরানী মালিক দখলকারিনী থাকা অবস্থায় ঢাকার প্রথম সাব-জজ আদালতের ইংরেজি ১৮৯৬ সালের ৫১নং বাটোয়ারায় মোকদ্দমায় পৃথক ছাহাম প্রাপ্তে উক্ত ছাহাম প্রাপ্ত ভূমিতে ষোল আনা মালিক দখলকারিনী থেকে পরলোক গমন করলে তাঁর ত্যাজ্য সম্পত্তিতে তারা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে নির্বিবাদে মালিক দখলকার নিযুক্ত হয়ে দলিল সম্পাদন করেন। সে সাথে আর্থিক সহায়তা দিয়ে টিনের স্কুল ঘর তৈরি করেন। ফলে ১৯২২ সালে বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম আবার শুরু হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৩১ সালের পূর্বেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত স্কুলের তালিকায় স্কুলের নাম Bandar B.M Institution মর্মে তালিকাভূক্ত হয়েছে। উক্ত তালিকাটি ১৯৩১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সংশোধিত মর্মে উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ ১৯৩১ সালের পূর্বেই স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৩১খ্রি. ৮ জানুয়ারি এ বিদ্যালয়ের প্রথম একতলা স্কুল ভবনের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার তদানীন্তন চেয়ারম্যান মি. এইচ এম সিরকোর। ১৯৪৭ সালে বিদ্যালয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং পরবর্তীতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। অতপর ২০০৫ সাল হতে ২০১৬ এর মধ্যে তদানীন্তন গভর্নিং বডি মোট ২৯.৪১ শতক জমি ক্রয় করেন। ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ে ইন্টারমিডিয়েট অর্থাৎ কলেজ শাখা চালু করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় বি.এম.ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যার কলেজ কোড নং ২৫২৯। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ সেশনেই কলেজটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠদানের অনুমতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে গভর্ণিং বডি বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি রাস্তার পূর্ব পাশে ৩২ শতাংশ জায়গা দুই কোটি টাকায় ক্রয় করেছে। সেখানে প্রাথমিক শাখা (প্লে থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত) ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করেন। ২০২০ সালে শাখা বৃদ্ধির সুবিধার্থে একতলা ভবনটি সম্প্রসারণ করে ৪ তলায় উন্নীত করা হয়। এ সময় থেকে শ্রেণি শাখায় ছাত্র সংখ্যা কমিয়ে ৫টি শ্রেণি শাখা বাড়ানো হয়।
বর্তমান অবস্থা :
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণিতে দুইটি শাখা বিদ্যমান এবং প্রথম থেকে পঞ্চম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে একটি করে শাখা বিদ্যমান। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ২২৭৬ শিক্ষার্থী স্কুল শাখায় : ১৯৭০ জন কলেজ শাখায় : ৩০৬ জন এবং ৬১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।
একাডেমিক কার্যক্রম :
সম্পাদনাপ্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড NCTB[৩] কর্তৃক প্রকাশিত অনুমোদিত কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করা হয়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ছাত্রদের আসন সংখ্যা প্রতিশ্রেনিতে ৬৫ জন । প্রতিষ্ঠানের অফিস হতে ফর্ম সংগ্রহ করে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়।ষষ্ঠ শ্রেণি ছাড়াও অন্যান্য শ্রেণিতে আসন সংখ্যা খালি থাকা সাপেক্ষে ছাত্র ভর্তি করা হয়। স্বস্ব শ্রেণি শিক্ষক ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকেন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। ছাত্র:সাদা শার্ট ও নীল প্যান্ট, সোল্ডার, মনোগ্রাম, ও আইডি কার্ড। ছাত্রী: সাদা রঙের গোল জামা,সাদা সেলোয়ার,ওড়না, স্কার্ফ, বেল্ট ক্যাডস ও মনোগ্রাম। ছাত্র: সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট, সোল্ডার, সাদা জুতা ও মনোগ্রাম।
ছুটির নিয়মাবলীঃ
সম্পাদনাকোন শিক্ষার্থীর ছুটির প্রয়োজন হলে অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থী কর্তৃক শ্রেণি শিক্ষকের নিকট আবেদন করতে হয়। শ্রেণি শিক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে ছুটি মঞ্জুর করা হয়। শিক্ষকদের বেলায় উপর্যুক্ত কারণ দর্শানোর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট আবেদন করতে হয় এবং অধ্যক্ষ মহোদয় ছুটি মঞ্জুর করেন।
সময়সূচিঃ
সম্পাদনাস্কুল শাখা-সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
কলেজ শাখা-সকাল ১০টা থেকে বিকেল৩ টা পর্যন্ত
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
সম্পাদনাষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণিতে মূল্যায়নসহ চারটি ধাপে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু আছে।
১। প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক অভীক্ষা ২। অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ৩। দ্বিতীয় প্রাতিষ্ঠানিক অভীক্ষা ৪। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে উপরের শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়।
পাঠদান কৌশল ও প্রশ্নপত্র তৈরিঃ
সম্পাদনাশিক্ষার্থীদের পাঠকে সহজ, আনন্দায়ক এবং পাঠের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যেক শিক্ষক তার নিজস্ব পাঠদান কৌশল অবলম্বন করেন। শিক্ষকগণ পোস্টার,ফ্লিপ চার্ট, প্রজেক্টর , স্মার্ট বোর্ড এবং বাস্তব উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান করে থাকেন। বিভিন্ন পরীক্ষার সময় স্বস্ব বিষয়ের শিক্ষক দ্বারা প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। ডিজিটাল নোটিস বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে, কম্পিউটার ল্যাব পরিচালনা, অনলাইন ক্লাস কিংবা শিক্ষকদের পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাবলীর সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা চালু রয়েছে যা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আইডি খোলা আছে। এখান থেকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য আপলোড করা হয়। এর ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ উপকৃত হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন চলমান কার্যক্রমের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও এতে শেয়ার করা হয়।
সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলীঃ
সম্পাদনাকোন প্রতিষ্ঠানের সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সৃজনশীল মনোভাব তৈরিতে সাহায্য করে। সমাবেশ প্রতিদিন সকাল ১০ টায় শুরু হয় ১০ .১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। সমাবেশে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, শপথ বাক্য পাঠ, জাতীয় সংগীত এবং পিটি প্যারেড করানো হয়।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাঃ
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন।প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম একটি অনুষ্ঠান হল বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্ট রয়েছে যেমন নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, কৌতুক,ও নাটক ইত্যাদি। অভিভাবকবৃন্দ, এলাকাবাসী এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আনন্দের সহিত উক্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানে বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ ডিবেটিং ক্লাব নামে একটি বিতর্ক সংঘ গঠন করা হয়েছে। সপ্তাহে একদিন বিতর্ক চর্চা করা হয়।তাছাড়াও অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে
১। ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
২। সরস্বতী পূজা উদযাপন
৩। ত্রৈমাসিক দেওয়ালিকা প্রকাশ
৪। বার্ষিক মিলাদ এবং বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
৫। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
৬। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
৭। স্কাউটিং কার্যক্রম
৮। শিক্ষক অভিভাবক মতবিনিময় সভা
৯। ল্যাংগুয়েজ ক্লাব গঠন ও পরিচালনা
১০। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর
১১। শিক্ষকদের শিক্ষা সফর ইত্যাদি
ভৌত অবকাঠামো ঃ
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানের নাম : বি এম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
প্রতিষ্ঠার সন : ১৯০০ খ্রি:
ভৌত অবকাঠামো : বিদ্যালয়ের পূর্ব-পশ্চিমে ২ টি ৩ তলা ভবন । উত্তর –দক্ষিণে ২ টি ৪ তলা ভবন।
জমির পরিমান : ১ একর ৫০.৩৮ শতাংশ।
লাইব্রেরি- ৮৫০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট । বই সংখ্যা – ২৭০০ টি।
শ্রেণি কক্ষ : ৩৯ টি, অধ্যক্ষের রুম-০১ টি, সহকারী প্রধান শিক্ষকের রুম-০১ টি, শিক্ষক কমন রুম-০৩ টি,
অফিস রুম-০১ টি, নামাজ ঘর-০১ টি ও অন্যান্য-০৫ টি।
ল্যাবের সংখ্যা-০৩ টি : পদার্থ-০১ টি, রসায়ন-০১ টি, জীব বিজ্ঞান-০১ টি।
কম্পিউটার ল্যাবের সংখ্যা – ০১ টি। ডেস্কটপ-১০ টি, ল্যাপটপ-২২ টি।
স্মার্টবোর্ড শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা – ০৪ টি।
বর্তমানে ১৪ টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের (সচল ৪টি) মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী :
সম্পাদনামোঃ খলিলুর রহমান[৪] (সাবেক সচিব এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Times, Narayanganj। "বিএম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায়, দোয়া"। নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২১।
- ↑ "নারায়ণগঞ্জ জেলা"। উইকিপিডিয়া। ২০২৪-০৫-২২।
- ↑ "জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড"। উইকিপিডিয়া। ২০২৪-০২-২৫।
- ↑ "মোঃ খলিলুর রহমান"। উইকিপিডিয়া। ২০২৪-০৪-১৪।
৪। ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়